শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ (রংপুর)
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ায় কৃষকদের চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ১৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে। এদিকে নেই বৃষ্টি, বেড়েছে ডিজেলের দামও। এতে উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রংপুর জেলার কৃষকেরা। কৃষকেরা বলছেন, এত টাকা খরচ করেও ধানের দাম না পেলে পথে বসতে হবে তাঁদের।
তবে জেলা কৃষি অফিস বলছে, উৎপাদন খরচ বাড়লেও বর্তমানে ধানের যে দাম আছে তা অব্যাহত থাকলে লাভের মুখ দেখতে পাবেন কৃষকেরা।
রংপুর জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের আট উপজেলায় এবারে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৬ হেক্টর। চাষির সংখ্যা দুই লাখ ১৫ হাজার। গত রোববার পর্যন্ত এক লাখ ৬২ হাজার ৯৩০ হেক্টরে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির অভাবে সম্পূরক সেচ দিয়ে আমন লাগানো হয়েছে ২৯ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে। সম্পূরক সেচ দেওয়ায় আমন চাষে ব্যয় আরও বাড়বে।
অন্তত ১৫ জন কৃষক ও কৃষি বিভাগের চারজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি হেক্টরে আমন চাষ করতে গড়ে ইউরিয়া লাগে ১৮০ কেজি। এ হিসেবে জেলায় এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৬ হেক্টর জমিতে আমন চাষে ইউরিয়া লাগবে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ কেজি। কেজি প্রতি ইউরিয়ায় ৬ টাকা বেড়ে যাওয়ায় এবারে শুধু আমন উৎপাদনে জেলার কৃষকদের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারে আমন লাগানো থেকে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত একরপ্রতি খরচ পড়বে কমপক্ষে ৩৬ হাজার টাকা। গত আমন মৌসুমে খরচ হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা। ইউরিয়া সার, ডিজেল ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি এবং জমিতে সম্পূরক সেচের কারণে বাড়তি এই খরচ হবে।
কৃষকেরা জানান, অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকলে এলাকায় প্রতি একরে গড়ে ধান পাওয়া যাবে ৫৫ মণ (প্রতিমণ ২৮ কেজি)। এতে উৎপাদনে খরচ হবে ৩৮ হাজার টাকা। এ হিসেবে মণপ্রতি (২৮ কেজি) সম্ভাব্য উৎপাদন খরচ পড়বে ৬৯০ টাকা।
বুড়িরহাট গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন আজম বলেন, কীটনাশক, শ্রমিকসহ সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এক একরে শুধু হালচাষে এবার খরচ বেড়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি ইউরিয়ার দাম ৬ টাকা বাড়ায় সারে বেশি লাগছে ৪৮০ টাকা। ভরা বর্ষায় বৃষ্টি না থাকায় সেচ খরচ একরে অতিরিক্ত লাগছে ৮০০ টাকা। শ্রমিক ব্যয়ও বেড়েছে। এভাবে উৎপাদন খরচ বাড়লে আবাদ ছেড়ে দিতে হবে।
প্রামাণিকপাড়া গ্রামের বড় কৃষক জিয়াউর রহমান জানান, গত বছর প্রতিমণ আমন উৎপাদনে খরচ পড়েছিল ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা। ভরা মৌসুমে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছিল ৫৭০-৫৮০ টাকায়। তখন একরপ্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছিল ২৯ হাজার টাকা। এবারে খরচ বেড়ে ৩৮ হাজার টাকা পড়লে প্রতি মণ আমনের উৎপাদন খরচেই পড়বে ৬৯০ টাকা। কৃষকদের দুশ্চিন্তা মূলত সেখানেই। কারণ ভরা মৌসুমে বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে কৃষকদের পথে বসতে হবে।
এ বিষয়ে রংপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘আমন বৃষ্টিনির্ভর আবাদ। কিন্তু এবারে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকে সম্পূরক সেচ দিয়ে আমন লাগাচ্ছেন। ইউরিয়া সারসহ ডিজেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে বাজারে এখন ধানের যে দাম, তা অব্যাহত থাকলে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখতে পাবেন।’
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ায় কৃষকদের চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ১৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে। এদিকে নেই বৃষ্টি, বেড়েছে ডিজেলের দামও। এতে উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রংপুর জেলার কৃষকেরা। কৃষকেরা বলছেন, এত টাকা খরচ করেও ধানের দাম না পেলে পথে বসতে হবে তাঁদের।
তবে জেলা কৃষি অফিস বলছে, উৎপাদন খরচ বাড়লেও বর্তমানে ধানের যে দাম আছে তা অব্যাহত থাকলে লাভের মুখ দেখতে পাবেন কৃষকেরা।
রংপুর জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের আট উপজেলায় এবারে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৬ হেক্টর। চাষির সংখ্যা দুই লাখ ১৫ হাজার। গত রোববার পর্যন্ত এক লাখ ৬২ হাজার ৯৩০ হেক্টরে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির অভাবে সম্পূরক সেচ দিয়ে আমন লাগানো হয়েছে ২৯ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে। সম্পূরক সেচ দেওয়ায় আমন চাষে ব্যয় আরও বাড়বে।
অন্তত ১৫ জন কৃষক ও কৃষি বিভাগের চারজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি হেক্টরে আমন চাষ করতে গড়ে ইউরিয়া লাগে ১৮০ কেজি। এ হিসেবে জেলায় এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৬ হেক্টর জমিতে আমন চাষে ইউরিয়া লাগবে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ কেজি। কেজি প্রতি ইউরিয়ায় ৬ টাকা বেড়ে যাওয়ায় এবারে শুধু আমন উৎপাদনে জেলার কৃষকদের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারে আমন লাগানো থেকে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত একরপ্রতি খরচ পড়বে কমপক্ষে ৩৬ হাজার টাকা। গত আমন মৌসুমে খরচ হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা। ইউরিয়া সার, ডিজেল ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি এবং জমিতে সম্পূরক সেচের কারণে বাড়তি এই খরচ হবে।
কৃষকেরা জানান, অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকলে এলাকায় প্রতি একরে গড়ে ধান পাওয়া যাবে ৫৫ মণ (প্রতিমণ ২৮ কেজি)। এতে উৎপাদনে খরচ হবে ৩৮ হাজার টাকা। এ হিসেবে মণপ্রতি (২৮ কেজি) সম্ভাব্য উৎপাদন খরচ পড়বে ৬৯০ টাকা।
বুড়িরহাট গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন আজম বলেন, কীটনাশক, শ্রমিকসহ সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এক একরে শুধু হালচাষে এবার খরচ বেড়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি ইউরিয়ার দাম ৬ টাকা বাড়ায় সারে বেশি লাগছে ৪৮০ টাকা। ভরা বর্ষায় বৃষ্টি না থাকায় সেচ খরচ একরে অতিরিক্ত লাগছে ৮০০ টাকা। শ্রমিক ব্যয়ও বেড়েছে। এভাবে উৎপাদন খরচ বাড়লে আবাদ ছেড়ে দিতে হবে।
প্রামাণিকপাড়া গ্রামের বড় কৃষক জিয়াউর রহমান জানান, গত বছর প্রতিমণ আমন উৎপাদনে খরচ পড়েছিল ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা। ভরা মৌসুমে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছিল ৫৭০-৫৮০ টাকায়। তখন একরপ্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছিল ২৯ হাজার টাকা। এবারে খরচ বেড়ে ৩৮ হাজার টাকা পড়লে প্রতি মণ আমনের উৎপাদন খরচেই পড়বে ৬৯০ টাকা। কৃষকদের দুশ্চিন্তা মূলত সেখানেই। কারণ ভরা মৌসুমে বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে কৃষকদের পথে বসতে হবে।
এ বিষয়ে রংপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘আমন বৃষ্টিনির্ভর আবাদ। কিন্তু এবারে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকে সম্পূরক সেচ দিয়ে আমন লাগাচ্ছেন। ইউরিয়া সারসহ ডিজেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে বাজারে এখন ধানের যে দাম, তা অব্যাহত থাকলে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখতে পাবেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে