প্রশ্ন: এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগছে?
পারভেজ রসুল: ডিপিএলে পাঁচ মৌসুম খেললাম, কখনোই এমন হয়নি যে ২-৩ ম্যাচ খেলে চলে গেছি। গত মৌসুমে ২৮ উইকেট নিয়েছি। এ বছর ৩৩ উইকেট নিয়েছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দল ভালো খেলেছে। এটাই পারফরম্যান্সের মজা। দল ভালো না করলে মজাটা আসে না। এ বছর আমরা অল্পের জন্য শিরোপা হাত ছাড়া করেছি। গত বছর আমরা শিরোপা জিতেছি। দলের এই ধারাবাহিকতা অবশ্যই ভালো লাগছে। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে দল থেকে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সাধারণত আমি পাঁচে ব্যাটিং করি। কিন্তু এখানে কখনো ৭-৮ নম্বরে ব্যাটিং করেছি। আমি পাওয়ার প্লেতে বোলিং করেছি, ডেথে করেছি। যখনই সোহানের ভাইয়ের (নুরুল হাসান সোহান) মনে হয়েছে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এখানেই একজন খেলোয়াড়ের তৃপ্তি, ভালো লাগা।
প্রশ্ন: শেখ জামালের সঙ্গে ভালোই মানিয়ে নিয়েছেন তাহলে...
রসুল: শেখ জামালের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় মৌসুম। তারা যেভাবে খেলোয়াড়দের দেখভাল করে, এটা অবিশ্বাস্য। একটা দলের যে পেশাদার ব্যাপার থাকে, খেলোয়াড়দের গুরুত্ব বুঝতে পারা—এটা তারা (শেখ জামাল) বোঝে। আমাদের দলে সেরকম কোনো বড় তারকা ছিল না। কিন্তু এ নিয়ে দুই মৌসুম আমরা শিরোপার লড়াই করেছি। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধন থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে সেরাটা কখনোই বেরিয়ে আসবে না। সোহান ভাই এবং আরও যারা আছে, আমরা একটা পরিবার হয়ে খেলেছি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, আমি উপভোগ করেছি।
প্রশ্ন: অধিনায়ক সোহান এবং কোচ শেখ সোহেলের সঙ্গে কাজ কেমন উপভোগ করেছেন?
রসুল: গত বছর বাঁহাতি স্পিনার আরিফ (আরিফ আহমেদ) আমাদের দলে ছিল। একটা ম্যাচও খেলেনি। একদিন নেটে আমাকে বোলিং করেছে। সেশন শেষে আমি সোহেল স্যারকে বলি, এই ছেলে দারুণ বোলিং করে। একে নিয়ে যদি আপনি কাজ করলে আরও ভালো স্পিনার হয়ে উঠবে। সে কিন্তু ক্রিকেট বলে আগে খেলেনি। এ বছর সে আমাদের হয়ে ২১ উইকেট নিয়েছে। (১৬ ম্যাচ)। আমি সোহেল ভাইকে পুরো কৃতিত্ব দেব। এটাই হচ্ছে ভালো কোচের গুণ। অন্য কোচদের দেখেন, তারা ভালো খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিল রেখে চলে। কিন্তু যে কোচ খেলোয়াড় তৈরি করেন, তিনি আলাদা। এ বছর যেমন তিনি একজন লেগ স্পিনার নিয়ে কাজ করছেন। এই জিনিসগুলো আমার ভালো লেগেছে। তিনি খেলোয়াড় তৈরি করেন। সোহান ভাইও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে সুপার লিগে। ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমাদের নিয়মিত অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার দল থেকে মৃত্যুঞ্জয় ও তাওহীদ হৃদয় জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। তাঁদের কেমন দেখেছেন?
রসুল: ওরা দুর্দান্ত। মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে গত বছরও খেলেছি। তবে হৃদয়ের সঙ্গে এবারই প্রথম। সে যেভাবে ব্যাটিং করে, অবিশ্বাস্য লাগে। নেটে আর ম্যাচে তার ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভিন্ন। নেটে সে বল চার দিকে মারে। কিন্তু ম্যাচে সে একজন দুর্দান্ত মিডল অর্ডার ব্যাটার। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সব রকম ব্যাটিংই করতে পারে। সে বাংলাদেশের সম্পদ। মৃত্যুঞ্জয় একজন তরুণ ক্রিকেটার যে এখনো শিখছে। কিন্তু তাওহীদ (হৃদয়) অন্য লেভেলের।
প্রশ্ন: এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগছে?
পারভেজ রসুল: ডিপিএলে পাঁচ মৌসুম খেললাম, কখনোই এমন হয়নি যে ২-৩ ম্যাচ খেলে চলে গেছি। গত মৌসুমে ২৮ উইকেট নিয়েছি। এ বছর ৩৩ উইকেট নিয়েছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দল ভালো খেলেছে। এটাই পারফরম্যান্সের মজা। দল ভালো না করলে মজাটা আসে না। এ বছর আমরা অল্পের জন্য শিরোপা হাত ছাড়া করেছি। গত বছর আমরা শিরোপা জিতেছি। দলের এই ধারাবাহিকতা অবশ্যই ভালো লাগছে। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে দল থেকে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সাধারণত আমি পাঁচে ব্যাটিং করি। কিন্তু এখানে কখনো ৭-৮ নম্বরে ব্যাটিং করেছি। আমি পাওয়ার প্লেতে বোলিং করেছি, ডেথে করেছি। যখনই সোহানের ভাইয়ের (নুরুল হাসান সোহান) মনে হয়েছে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এখানেই একজন খেলোয়াড়ের তৃপ্তি, ভালো লাগা।
প্রশ্ন: শেখ জামালের সঙ্গে ভালোই মানিয়ে নিয়েছেন তাহলে...
রসুল: শেখ জামালের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় মৌসুম। তারা যেভাবে খেলোয়াড়দের দেখভাল করে, এটা অবিশ্বাস্য। একটা দলের যে পেশাদার ব্যাপার থাকে, খেলোয়াড়দের গুরুত্ব বুঝতে পারা—এটা তারা (শেখ জামাল) বোঝে। আমাদের দলে সেরকম কোনো বড় তারকা ছিল না। কিন্তু এ নিয়ে দুই মৌসুম আমরা শিরোপার লড়াই করেছি। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধন থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে সেরাটা কখনোই বেরিয়ে আসবে না। সোহান ভাই এবং আরও যারা আছে, আমরা একটা পরিবার হয়ে খেলেছি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, আমি উপভোগ করেছি।
প্রশ্ন: অধিনায়ক সোহান এবং কোচ শেখ সোহেলের সঙ্গে কাজ কেমন উপভোগ করেছেন?
রসুল: গত বছর বাঁহাতি স্পিনার আরিফ (আরিফ আহমেদ) আমাদের দলে ছিল। একটা ম্যাচও খেলেনি। একদিন নেটে আমাকে বোলিং করেছে। সেশন শেষে আমি সোহেল স্যারকে বলি, এই ছেলে দারুণ বোলিং করে। একে নিয়ে যদি আপনি কাজ করলে আরও ভালো স্পিনার হয়ে উঠবে। সে কিন্তু ক্রিকেট বলে আগে খেলেনি। এ বছর সে আমাদের হয়ে ২১ উইকেট নিয়েছে। (১৬ ম্যাচ)। আমি সোহেল ভাইকে পুরো কৃতিত্ব দেব। এটাই হচ্ছে ভালো কোচের গুণ। অন্য কোচদের দেখেন, তারা ভালো খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিল রেখে চলে। কিন্তু যে কোচ খেলোয়াড় তৈরি করেন, তিনি আলাদা। এ বছর যেমন তিনি একজন লেগ স্পিনার নিয়ে কাজ করছেন। এই জিনিসগুলো আমার ভালো লেগেছে। তিনি খেলোয়াড় তৈরি করেন। সোহান ভাইও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে সুপার লিগে। ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমাদের নিয়মিত অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার দল থেকে মৃত্যুঞ্জয় ও তাওহীদ হৃদয় জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। তাঁদের কেমন দেখেছেন?
রসুল: ওরা দুর্দান্ত। মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে গত বছরও খেলেছি। তবে হৃদয়ের সঙ্গে এবারই প্রথম। সে যেভাবে ব্যাটিং করে, অবিশ্বাস্য লাগে। নেটে আর ম্যাচে তার ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভিন্ন। নেটে সে বল চার দিকে মারে। কিন্তু ম্যাচে সে একজন দুর্দান্ত মিডল অর্ডার ব্যাটার। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সব রকম ব্যাটিংই করতে পারে। সে বাংলাদেশের সম্পদ। মৃত্যুঞ্জয় একজন তরুণ ক্রিকেটার যে এখনো শিখছে। কিন্তু তাওহীদ (হৃদয়) অন্য লেভেলের।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে