ফরিদপুর সংবাদদাতা
ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য বানানো বাসভবনে থাকেন না কেউ। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এখন সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই ওই ভবনে শুরু হয় মাদকসেবীদের আড্ডা।
জানা গেছে, শহরের টেপাখোলা এলাকায় সোহরাওয়ার্দী সরোবরের পূর্ব পাশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন হিসেবে ওই ভবনটি বানানো হয়। ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয় ২০০৯ সালে। এরপর কেটে গেছে ১৩ বছর। কিন্তু ভবনটিতে এক দিনের জন্যও কোনো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকেননি। জেলা পরিষদের কোনো নজরদারি না থাকায় ভবনটি মাদকসেবীদের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।
সন্ধ্যা হলেই ওই ভবনে চলে মাদকসেবীদের আড্ডা।
জেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৬-০৭ অর্থবছরে। সেই সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ও জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে ‘মেসার্স আর আর কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে নির্মাণকাজ শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদকে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়। ওই সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন ইয়াসমিন আফসানা। তবে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত ফাইলটি পাওয়া যায়নি। ফলে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাদের আবাসন থাকার পরও কোনো প্রেক্ষাপটে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজল বলেন, ‘ওই ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত ফাইলটি খুঁজে পাইনি। অনেক দিন আগের ব্যাপার। ওই সময়ের কর্মকর্তারাও কেউ নেই। তাই এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, দ্বিতল ভবনের মূল ফটকে কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে। তবে ভবনটির চারপাশে জানালার থাই গ্লাস ভাঙা। পূর্ব পাশে একটি জানালার গ্রিল কাটা। ভেতরের কাঠের দরজা-জানালাগুলোও ভাঙা। ফ্যান-লাইটসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ হোসেন বলেন, ভবনটির পূর্ব পাশের জানালার গ্রিলের কাটা অংশ দিয়ে সন্ধ্যার পর মাদকসেবীরা ঢুকে নেশা করেন। গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপও চলে। জেলা পরিষদের নজরদারি না থাকায় ভবনটি মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা সবুর বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদের কোনো ব্যক্তিকে ভবনের আশপাশে আসতে দেখেননি। ভবনটি পাহারা দেওয়া হলে মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হতো না। এ ছাড়া জানালার গ্লাস, দরজা সহ ইলেকট্রনিক সামগ্রীও চুরি হতো না।’
ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি সম্প্রতি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। কয়েক দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় নেওয়া হবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ভবনটি নির্মাণ করা হলো, কিন্তু কোনো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ভবনে থাকলেন না। আমরা যারা জেলা শহরে কাজে আসি, তাঁদের পক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাসের সুযোগ কম।
ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য বানানো বাসভবনে থাকেন না কেউ। দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এখন সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই ওই ভবনে শুরু হয় মাদকসেবীদের আড্ডা।
জানা গেছে, শহরের টেপাখোলা এলাকায় সোহরাওয়ার্দী সরোবরের পূর্ব পাশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জায়গায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন হিসেবে ওই ভবনটি বানানো হয়। ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয় ২০০৯ সালে। এরপর কেটে গেছে ১৩ বছর। কিন্তু ভবনটিতে এক দিনের জন্যও কোনো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থাকেননি। জেলা পরিষদের কোনো নজরদারি না থাকায় ভবনটি মাদকসেবীদের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।
সন্ধ্যা হলেই ওই ভবনে চলে মাদকসেবীদের আড্ডা।
জেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৬-০৭ অর্থবছরে। সেই সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ও জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে ‘মেসার্স আর আর কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে নির্মাণকাজ শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদকে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়। ওই সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন ইয়াসমিন আফসানা। তবে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত ফাইলটি পাওয়া যায়নি। ফলে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাদের আবাসন থাকার পরও কোনো প্রেক্ষাপটে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজল বলেন, ‘ওই ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত ফাইলটি খুঁজে পাইনি। অনেক দিন আগের ব্যাপার। ওই সময়ের কর্মকর্তারাও কেউ নেই। তাই এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, দ্বিতল ভবনের মূল ফটকে কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে। তবে ভবনটির চারপাশে জানালার থাই গ্লাস ভাঙা। পূর্ব পাশে একটি জানালার গ্রিল কাটা। ভেতরের কাঠের দরজা-জানালাগুলোও ভাঙা। ফ্যান-লাইটসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ হোসেন বলেন, ভবনটির পূর্ব পাশের জানালার গ্রিলের কাটা অংশ দিয়ে সন্ধ্যার পর মাদকসেবীরা ঢুকে নেশা করেন। গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপও চলে। জেলা পরিষদের নজরদারি না থাকায় ভবনটি মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা সবুর বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদের কোনো ব্যক্তিকে ভবনের আশপাশে আসতে দেখেননি। ভবনটি পাহারা দেওয়া হলে মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হতো না। এ ছাড়া জানালার গ্লাস, দরজা সহ ইলেকট্রনিক সামগ্রীও চুরি হতো না।’
ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি সম্প্রতি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। কয়েক দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় নেওয়া হবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ভবনটি নির্মাণ করা হলো, কিন্তু কোনো প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ভবনে থাকলেন না। আমরা যারা জেলা শহরে কাজে আসি, তাঁদের পক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাসের সুযোগ কম।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪