গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় অসময়ে ঝড়-বৃষ্টি, বাজারদর কম ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কুল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে লোকসানের ঘানি টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শোভনা ব্লকে সবচেয়ে বেশি কুল চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন কুল উৎপন্ন হয়ে থাকে।
শোভনা পশ্চিম পাড়ার কুলচাষী আলমগীর মোড়ল বলেন, আমি ৩ একর জমিতে ২২০টি দেশি জাতের কুল ও ১২০টি আপেল কুল চাষ করেছি। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু গত ২–৩ বছর ধরে বাজারে এর চাহিদা ও দর খুবই কম থাকায় উৎপাদন খরচও উঠছে না।
একই অভিযোগ ইনতাজ খান, হারুন শেখ, ওয়াদুদ সরদারসহ আরও অনেক চাষির। তারা বলেন, গত সপ্তাহে ঝড়বৃষ্টির কারণে গাছের অনেক ফল ঝরে গেছে। তা ছাড়া এখন মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কুল ৮০–৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনা ভালো না থাকায় এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আমরা কুল চাষে আর আগ্রহ পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানান, এ বছর কুলের দাম কম থাকায় কুল চাষিদের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আশির দশকে এ অঞ্চলে কুল চাষ শুরু হয়। সে সময় শখের বশে প্রতি বাড়িতে ১–২টি কুল গাছ দেখা যেত। পরবর্তীতে বাজারে কুলের চাহিদা এবং এটি একটি লাভজনক ফসল জেনে প্রথমে শোভনা পশ্চিম পাড়ার প্রয়াত যশোর আলী খান ওরফে চেনিখান বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করে সাফল্য পান। তাকে অনুসরণ করে পরবর্তীতে ওই এলাকার অনেকেই কুল চাষে ঝুঁকে পড়েন।
পরে উঁচু জমি ও মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে ব্যাপকভাবে এর চাষ শুরু হয়। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা এ এলাকার কুল শোভনা বটতলা মোড়, আড়ুয়াখালী, বালুইঝাকি, বড়বিল ওয়াপদা মোড় থেকে ৪–৫টি পিকআপ বোঝাই করে খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে এর চাহিদা ও দর কম থাকায় উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষিদের।
ডুমুরিয়ায় অসময়ে ঝড়-বৃষ্টি, বাজারদর কম ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে কুল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে লোকসানের ঘানি টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শোভনা ব্লকে সবচেয়ে বেশি কুল চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন কুল উৎপন্ন হয়ে থাকে।
শোভনা পশ্চিম পাড়ার কুলচাষী আলমগীর মোড়ল বলেন, আমি ৩ একর জমিতে ২২০টি দেশি জাতের কুল ও ১২০টি আপেল কুল চাষ করেছি। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু গত ২–৩ বছর ধরে বাজারে এর চাহিদা ও দর খুবই কম থাকায় উৎপাদন খরচও উঠছে না।
একই অভিযোগ ইনতাজ খান, হারুন শেখ, ওয়াদুদ সরদারসহ আরও অনেক চাষির। তারা বলেন, গত সপ্তাহে ঝড়বৃষ্টির কারণে গাছের অনেক ফল ঝরে গেছে। তা ছাড়া এখন মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কুল ৮০–৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনা ভালো না থাকায় এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আমরা কুল চাষে আর আগ্রহ পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানান, এ বছর কুলের দাম কম থাকায় কুল চাষিদের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আশির দশকে এ অঞ্চলে কুল চাষ শুরু হয়। সে সময় শখের বশে প্রতি বাড়িতে ১–২টি কুল গাছ দেখা যেত। পরবর্তীতে বাজারে কুলের চাহিদা এবং এটি একটি লাভজনক ফসল জেনে প্রথমে শোভনা পশ্চিম পাড়ার প্রয়াত যশোর আলী খান ওরফে চেনিখান বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করে সাফল্য পান। তাকে অনুসরণ করে পরবর্তীতে ওই এলাকার অনেকেই কুল চাষে ঝুঁকে পড়েন।
পরে উঁচু জমি ও মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে ব্যাপকভাবে এর চাষ শুরু হয়। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা এ এলাকার কুল শোভনা বটতলা মোড়, আড়ুয়াখালী, বালুইঝাকি, বড়বিল ওয়াপদা মোড় থেকে ৪–৫টি পিকআপ বোঝাই করে খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে এর চাহিদা ও দর কম থাকায় উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষিদের।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৬ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪