বাসাইল উপজেলায় আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। উপজেলার চার ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ৩২ জন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। নৌকা প্রতীক পেতে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও স্থানীয় সাংসদের বাসায় প্রতিদিন ভিড় করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

এদিকে উপজেলা ও জেলা পর্যায় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে। জেলা পর্যায় থেকে কার কার নাম কেন্দ্রে পাঠানো হবে, তা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা সমীকরণ।

এদিকে দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচনী মাঠে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছেন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলো ভোটের মাঠে থাকলেও প্রার্থীদের অবস্থান তেমন শক্তিশালী নয়। এ জন্য ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেলে জয় অনেকটা নিশ্চিত বলে মনে করছেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘উপজেলার চারটি ইউপিতে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ভোট। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ১২ ডিসেম্বর। আপিল ১৩ থেকে ১৪ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৯ ডিসেম্বর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাউলজানী ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১৪ জন। তার মধ্যে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও কাউলজানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারিবুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু হানিফ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম মাস্টার, সদস্য নজরুল ইসলাম হিটু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনি হাবিব, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুবেল খান মিঠু, এনামুল হক লাবু, শাহ আলম সাজু, মোস্তফা মিয়া, আরিফুজ্জামান হিটু, রফিকুল ইসলাম রফিক, ছাদেক হোসেন রনি, সাইফুল ইসলাম, ফন্নু মিয়া।

ফুলকি ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন তুলেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল মিয়া, সাবেক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম শাহাদত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল আলম বিজু, সাবেক ছাত্রনেতা সফিকুল ইসলাম, ছাত্র নেতা রিয়াদ হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা বাবলু।

হাবলা ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৬ জন। তাঁরা হলেন হাবলা বর্তমান চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, হাবলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন রুমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুরুজ্জামান সুরুজ, ইউপির কৃষক লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা চান মিয়া।

কাঞ্চনপুর ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন তুলেছেন মাত্র দুজন। তাঁরা হলেন সাবেক ইউপি সদস্য ও বাসাইল উপজেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. রাকিব শাহীন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দুই-এক দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভার মাধ্যমে ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

সাংসদ জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বায়োডাটা নিচ্ছেন। তা যাচাই বাছাই করে তিন থেকে পাঁচজনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্র থেকেই প্রার্থীদের আমলনামা বিচার বিশ্লেষণ করেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ বিদ্রোহ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’