বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর ইউনিয়নের কদমা গ্রামের আওয়ামী লীগ মনোনীত এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ও এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর প্রচার কার্যালয়ে একই রাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার সময় আওয়ামী লীগের অফিসে ও তালা প্রতীকের এক ইউপি সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলামের নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুটি অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাড়া ও নন্দীগ্রাম এলাকায় নৌকার নির্বাচনী অফিস দুটিতে এ ঘটনা ঘটে।

আদমদীঘি উপজেলার কদমা গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, রাত ৩টার দিকে অফিসে আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আগুন নেভায়।

ওই ওয়ার্ডের তালা প্রতীকের ইউপি সদস্য প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি আদমদীঘি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।’

আদমদীঘি সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান কদমা গ্রামের তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে পাঁচবিবির ঘটনায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম রবিউল আলম চৌধুরী (পিন্টু) বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোরবেলা খবর পাই দক্ষিণ সোনাপাড়া ও নন্দীগ্রামে আমার নির্বাচনী অফিসে কে বা কাহারা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। নৌকার গণজোয়ার দেখেই আমার প্রতিপক্ষরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন পাঁচবিবির পাঁচ ইউপি ও আদমদীঘির ছয় ইউপিতে অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করেই ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে।