মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা ধনু নদী ও বাউলা নদীতে বেড়েই চলছে পানি। আগের তুলনায় গতকাল বুধবারও হাওরে পানি বাড়তে দেখা যায়। গেল কয়েক দিনে উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে ৭০০ একর বোরো জমি। স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কার এবং তা রক্ষায় দিনরাত পালা করে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের ছিমতখালী বাঁধসহ কয়েকটি বাঁধ সংস্কারে শত শত কৃষককে দেখা যায় মাটি কাটতে, বাঁশ ও প্লাস্টিক বস্তা দিয়ে আড় বাঁধতে। তাঁরা জানান, পানি বেড়ে এখন বাঁধের প্রায় সমান রয়েছে। আর ৫-৭ ইঞ্চি পানি বাড়লে বাঁধ উপচে জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জমিতে আধা পাকা ধান থাকায় কাটতেও পারছেন না তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের জিওলের হাওর, চাচুয়ার হাওরে পানি ঢুকেছে। ব্রাহ্মণদিঘা হাওর, নরবিল হাওর, হুরুঙ্গা হাওর, বুড়ির লাইন হাওর ও তেরালিয়ার হাওরের বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে কৃষকেরা বাঁধ রক্ষায় পানির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকেরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে বাঁধে পড়ে রয়েছেন।
ইটনা বাউনদিঘা হাওরের কৃষক রঞ্জিত কুমার পাল বলেন, ‘আর ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি পানি বাড়লে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি ঢুকবে। আমরার স্বপ্ন (ধান) তলিয়ে যাবে। এই দুঃস্বপ্নে ঘুম আসে না। ঋণ করে জমি চাষ করছি। এখন কাটতে না পারলে পথে বসতে হবে।’
মৃগা ইউনিয়নের ছিমতখালী হাওরের কৃষক কবির হোসেন বলেন, ‘নিজেরা মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়েছি। আগাম পানি আসায় সংস্কার ও রাতে-দিনে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এখানে সরকারি বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
মৃগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দারুল ইসলাম দারুল বলেন, ‘পানি কমতে শুরু না করলে কৃষকদের আতঙ্ক কমবে না। মৃগা ইউনিয়নের ৮টি ফসল রক্ষা বাঁধ প্রতিবছর স্থানীয় কৃষকেরা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব বাঁধ নির্মাণ করলে আরও সুরক্ষিত হতো।’
ইটনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী প্রায় ২৮৫ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে। তবে মূল হাওর এখনো সুরক্ষিত রয়েছে. ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো পাউবো এবং স্থানীয় কৃষকেরা সংস্কার করছেন। আমরা নিয়মিত খোঁজ রাখছি।’
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা ধনু নদী ও বাউলা নদীতে বেড়েই চলছে পানি। আগের তুলনায় গতকাল বুধবারও হাওরে পানি বাড়তে দেখা যায়। গেল কয়েক দিনে উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে ৭০০ একর বোরো জমি। স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কার এবং তা রক্ষায় দিনরাত পালা করে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের ছিমতখালী বাঁধসহ কয়েকটি বাঁধ সংস্কারে শত শত কৃষককে দেখা যায় মাটি কাটতে, বাঁশ ও প্লাস্টিক বস্তা দিয়ে আড় বাঁধতে। তাঁরা জানান, পানি বেড়ে এখন বাঁধের প্রায় সমান রয়েছে। আর ৫-৭ ইঞ্চি পানি বাড়লে বাঁধ উপচে জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জমিতে আধা পাকা ধান থাকায় কাটতেও পারছেন না তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের জিওলের হাওর, চাচুয়ার হাওরে পানি ঢুকেছে। ব্রাহ্মণদিঘা হাওর, নরবিল হাওর, হুরুঙ্গা হাওর, বুড়ির লাইন হাওর ও তেরালিয়ার হাওরের বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে কৃষকেরা বাঁধ রক্ষায় পানির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকেরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে বাঁধে পড়ে রয়েছেন।
ইটনা বাউনদিঘা হাওরের কৃষক রঞ্জিত কুমার পাল বলেন, ‘আর ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি পানি বাড়লে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি ঢুকবে। আমরার স্বপ্ন (ধান) তলিয়ে যাবে। এই দুঃস্বপ্নে ঘুম আসে না। ঋণ করে জমি চাষ করছি। এখন কাটতে না পারলে পথে বসতে হবে।’
মৃগা ইউনিয়নের ছিমতখালী হাওরের কৃষক কবির হোসেন বলেন, ‘নিজেরা মাটি দিয়ে বাঁধ দিয়েছি। আগাম পানি আসায় সংস্কার ও রাতে-দিনে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এখানে সরকারি বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
মৃগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দারুল ইসলাম দারুল বলেন, ‘পানি কমতে শুরু না করলে কৃষকদের আতঙ্ক কমবে না। মৃগা ইউনিয়নের ৮টি ফসল রক্ষা বাঁধ প্রতিবছর স্থানীয় কৃষকেরা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব বাঁধ নির্মাণ করলে আরও সুরক্ষিত হতো।’
ইটনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী প্রায় ২৮৫ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে। তবে মূল হাওর এখনো সুরক্ষিত রয়েছে. ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো পাউবো এবং স্থানীয় কৃষকেরা সংস্কার করছেন। আমরা নিয়মিত খোঁজ রাখছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪