Ajker Patrika

৫টির মধ্যে সচল দুটি ইউনিট

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, ১০: ২৮
৫টির মধ্যে সচল দুটি ইউনিট

পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে পানির স্তর কমে গেছে। এতে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে। পানির স্তর আরও কমে গেলে কয়েকটি ইউনিট বন্ধ রাখতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় আকাশের পানে চেয়ে থাকা ছাড়া আপাতত কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রকৌশলীরা।

এদিকে কাপ্তাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটটি বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাকি ইউনিটগুলোর উৎপাদনে সক্ষম থাকা সত্ত্বেও পানির অভাবে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, দেশের একমাত্র পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র কাপ্তাইয়ে অবস্থিত। কাপ্তাই লেকের পানির ওপর নির্ভর করেই চলে এ কেন্দ্রের উৎপাদন। লেকে পানির পরিমাণ যত বেশি থাকবে, বিদ্যুৎ উৎপাদনও তত বেশি হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে লেক পানিতে টইটম্বুর থাকে। তখন এখানকার ৫টি ইউনিট পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায়। আর ৫টি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪০ মেগাওয়াট।

বৃষ্টি না হওয়ায় বছরের ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে কমতে থাকে কাপ্তাই লেকে পানি। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে পানির পরিমাণ আরও কমে যায়। এদিকে টানা খরায় লেকের পানির স্তর নেমে গেছে। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পানির স্তর এর চেয়েও নেমে গেলে আরও ইউনিটও বন্ধ রাখতে হতে পারে। বর্তমানে সচল দুই ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৭১ মেগাওয়াট।

কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি আবদুজ্জাহের জানান, আপাতত বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধিরও কোনো সম্ভাবনা নেই।

তবে জানুয়ারি-মার্চের কোনো কোনো সময় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সে রকম হঠাৎ করে বৃষ্টি নামলে কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়বে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকৌশলীরা জানান, সচরাচর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বৃষ্টি হয় না। প্রতিবছর খরায় এই সময় কাপ্তাই লেকে পানি কমে যায়। তখন কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। এখন বৃষ্টি আশার অপেক্ষায় আকাশের পানে চেয়ে থাকা ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের আপাতত কিছু করার নেই।

এ বিষয়ে জানতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রকৌশলী জানান, রুলকার্ভ অনুযায়ী (পানির পরিমাপ) কাপ্তাই লেকে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট ‘মিনস সি লেভেল’ (এমএসএল)। কিন্তু বর্তমানে লেকে পানি আছে ৮৫ দশমিক ৫১ ফুট (এমএসএল)। পানি কম থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট একযোগে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রকৌশলী জানান, কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ২টি সচল। সচল ইউনিট দুটি হলো ২ ও ৩ নম্বর। ২ নম্বর ইউনিট থেকে বর্তমানে ৩৫ মেগাওয়াট ও ৩ নম্বর থেকে ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

পাগল বেশে রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সম্পর্কে যা জানা গেল

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী কে এই আনিসুজ্জামান চৌধুরী

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের ফলকার তুর্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল আইএসপিআর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত