সম্পাদকীয়
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে তাঁর শাসনামলের লুটপাট, অনিয়ম, দুর্নীতির কোনো না কোনো খবর প্রকাশিত হচ্ছে। মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে কে দুর্নীতি করে বিপুল অঙ্কের টাকার মালিক হননি, তা খুঁজে পাওয়াই মনে হয় এখন দুষ্কর। কেউ কেউ নাকি বস্তা ভরে টাকা ঘুষ নিতেন। টাকা উপার্জনের কত উপায়ের কথা এখন শোনা যাচ্ছে, জানা যাচ্ছে!
আমরা এটা জানি যে ধনতান্ত্রিক উৎপাদনব্যবস্থা শোষণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। পুঁজির শোষণ গরিব ও মেহনতি মানুষকে অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য করে। কাজ করবে গরিব, মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষ আর উৎপাদনের সিংহভাগ ভোগ করবে পুঁজির মালিক। এ ব্যবস্থায় মূলধনের ওপর পুঁজিপতিদের অধিকারকে কার্ল মার্ক্স ‘আইনসিদ্ধ চুরি’ বলে অভিহিত করেছেন। এই চৌর্যবৃত্তির বলে বলীয়ান হয়েই সম্পদের মালিকেরা সরকারি আইনকানুনের ওপর ভর করে সমাজের ওপর খবরদারি করার সুযোগ পায়। গরিব মেহনতি মানুষেরা মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। সমাজের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়। মুষ্টিমেয় মানুষের কবজায় চলে যায় দেশের সিংহভাগ সম্পদ। সব জায়গায় দেখা যায় বৈষম্য।
শেখ হাসিনা প্রায়ই বলতেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ কিছু পায়। কিন্তু তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষের চেয়ে বহুগুণ বেশি পেয়েছেন তাঁর সহযোগীরা। রাজনীতির মাধ্যমে ব্যক্তিমালিকানায় সম্পত্তি অর্জনের ঝোঁক এ দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে কোন সময় থেকে এবং কীভাবে প্রবল হয়ে ওঠে তা নিঃসন্দেহে বড় গবেষণার বিষয়। তবে স্বাধীনতা লাভের সময়ও সমাজের নীতিমান, ন্যায়পরায়ণ, সৎ চরিত্রের ব্যক্তিদেরই বেশি সংখ্যায় রাজনীতির আঙিনায় দেখা যেত। আইনবিদ, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার কিংবা সমাজসেবী ব্যক্তিদেরই দেশের মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখত। এসব জনপ্রতিনিধিকে ক্বচিৎ অসদাচরণ করতে দেখা যেত।
তখনকার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা শতভাগ রাজনীতিক হওয়ায় ব্যক্তিগত লাভালাভ তাঁদের কাছে মুখ্য হয়ে ওঠেনি কখনো।
অবস্থার পরিবর্তন ঘটে বঙ্গবন্ধু-পরবর্তী বাংলাদেশে। সামরিক ছত্রচ্ছায়ায় একশ্রেণির অ-দেশপ্রেমিক, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও ক্ষমতালোভীর হাতে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পর লুটেরা ধারা প্রবল হয়। শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে সর্বগ্রাসী লুটপাটের যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, প্রায় একই রকম খবর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের ২০০১-২০০৬ সময়ের বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিদায়ের পরও পাওয়া গিয়েছিল।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন হয়ে দুর্নীতির পঙ্কে নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনা তাই এবারই প্রথম নয়। ক্ষমতার বাইরে থেকে সততার বুলি আওড়ে ক্ষমতায় গিয়ে যাদের কর্মকাণ্ডে সততার লেশমাত্র দেখা যায় না, ঘুরেফিরে ক্ষমতা যেন তাদের হাতে না যায়।
একটি কথা আছে, ‘একবার নিয়ম ভঙ্গ করলে এই ভঙ্গের আর সীমা-পরিসীমা থাকে না।’ জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া নিয়ম ভঙ্গ করে দুঃশাসন-অপশাসনের যে ধারা তৈরি করে গেছেন, শেখ হাসিনা সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে নতুন ধারা তৈরি করা কি সম্ভব?
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদপত্রে তাঁর শাসনামলের লুটপাট, অনিয়ম, দুর্নীতির কোনো না কোনো খবর প্রকাশিত হচ্ছে। মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে কে দুর্নীতি করে বিপুল অঙ্কের টাকার মালিক হননি, তা খুঁজে পাওয়াই মনে হয় এখন দুষ্কর। কেউ কেউ নাকি বস্তা ভরে টাকা ঘুষ নিতেন। টাকা উপার্জনের কত উপায়ের কথা এখন শোনা যাচ্ছে, জানা যাচ্ছে!
আমরা এটা জানি যে ধনতান্ত্রিক উৎপাদনব্যবস্থা শোষণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। পুঁজির শোষণ গরিব ও মেহনতি মানুষকে অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য করে। কাজ করবে গরিব, মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষ আর উৎপাদনের সিংহভাগ ভোগ করবে পুঁজির মালিক। এ ব্যবস্থায় মূলধনের ওপর পুঁজিপতিদের অধিকারকে কার্ল মার্ক্স ‘আইনসিদ্ধ চুরি’ বলে অভিহিত করেছেন। এই চৌর্যবৃত্তির বলে বলীয়ান হয়েই সম্পদের মালিকেরা সরকারি আইনকানুনের ওপর ভর করে সমাজের ওপর খবরদারি করার সুযোগ পায়। গরিব মেহনতি মানুষেরা মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। সমাজের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়। মুষ্টিমেয় মানুষের কবজায় চলে যায় দেশের সিংহভাগ সম্পদ। সব জায়গায় দেখা যায় বৈষম্য।
শেখ হাসিনা প্রায়ই বলতেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ কিছু পায়। কিন্তু তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষের চেয়ে বহুগুণ বেশি পেয়েছেন তাঁর সহযোগীরা। রাজনীতির মাধ্যমে ব্যক্তিমালিকানায় সম্পত্তি অর্জনের ঝোঁক এ দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে কোন সময় থেকে এবং কীভাবে প্রবল হয়ে ওঠে তা নিঃসন্দেহে বড় গবেষণার বিষয়। তবে স্বাধীনতা লাভের সময়ও সমাজের নীতিমান, ন্যায়পরায়ণ, সৎ চরিত্রের ব্যক্তিদেরই বেশি সংখ্যায় রাজনীতির আঙিনায় দেখা যেত। আইনবিদ, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার কিংবা সমাজসেবী ব্যক্তিদেরই দেশের মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখত। এসব জনপ্রতিনিধিকে ক্বচিৎ অসদাচরণ করতে দেখা যেত।
তখনকার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা শতভাগ রাজনীতিক হওয়ায় ব্যক্তিগত লাভালাভ তাঁদের কাছে মুখ্য হয়ে ওঠেনি কখনো।
অবস্থার পরিবর্তন ঘটে বঙ্গবন্ধু-পরবর্তী বাংলাদেশে। সামরিক ছত্রচ্ছায়ায় একশ্রেণির অ-দেশপ্রেমিক, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও ক্ষমতালোভীর হাতে রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পর লুটেরা ধারা প্রবল হয়। শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে সর্বগ্রাসী লুটপাটের যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, প্রায় একই রকম খবর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের ২০০১-২০০৬ সময়ের বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিদায়ের পরও পাওয়া গিয়েছিল।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন হয়ে দুর্নীতির পঙ্কে নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনা তাই এবারই প্রথম নয়। ক্ষমতার বাইরে থেকে সততার বুলি আওড়ে ক্ষমতায় গিয়ে যাদের কর্মকাণ্ডে সততার লেশমাত্র দেখা যায় না, ঘুরেফিরে ক্ষমতা যেন তাদের হাতে না যায়।
একটি কথা আছে, ‘একবার নিয়ম ভঙ্গ করলে এই ভঙ্গের আর সীমা-পরিসীমা থাকে না।’ জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া নিয়ম ভঙ্গ করে দুঃশাসন-অপশাসনের যে ধারা তৈরি করে গেছেন, শেখ হাসিনা সেই ধারাকেই এগিয়ে নিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে নতুন ধারা তৈরি করা কি সম্ভব?
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে