ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ

বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ৫৩

চলতি বছরের কৃষিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ফলাফল সঠিকভাবে মূল্যায়নের জন্য ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুকেরা।

তাদের দাবিগুলো হলো, পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও জিপিএতে প্রাপ্ত নম্বর আলাদাভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা, যে উত্তরপত্র দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে তা দেখানো, ফল নির্ণয়ে যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি আছে কি না, তা তদন্ত করা এবং সমস্যা সমাধানের আগপর্যন্ত চলমান ভর্তি কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা।

জানা যায়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কৃষির গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা গত ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে আটটি কৃষি ও কৃষিসম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেয়। এবারের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজকের দায়িত্বে ছিল শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ওই পরীক্ষার ফলাফল গত ১৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে প্রকাশের পর থেকেই নানা অভিযোগ করেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন জায়গায় সমাধান করা প্রশ্নোত্তরের সঙ্গে মিলিয়ে যে নম্বর পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন, ফল প্রকাশের পর তার ধারেকাছেও নেই তাঁরা। অনেকের মেধাতালিকাতেই নাম আসেনি। এ ছাড়া কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও ফলাফল পেয়েছেন।

এদিকে গত রোববার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফলাফলের পুনর্নিরীক্ষণ করতে হলে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফি হিসেবে ১ হাজার টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।

তবে ভর্তি-ইচ্ছুক ও তাদের অভিভাবকেরা জানান, এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রশ্নোত্তর পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এক হাজার টাকা দিয়ে আবেদন কোনো যুক্তিতেই ঠিক নয়। 
এবার সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৭৯ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তবে ১০টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৬৫ হাজার ২৯০ জন পরীক্ষার্থী। এ বছর ৮টি কৃষি ও কৃষি-সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫৩৯।

তবে মেধাতালিকায় মোট ৩ হাজার ৪৯৬ জন এবং অপেক্ষমাণ তালিকায় মোট ৬ হাজার ৮১৭ জনকে রাখা হয়েছে। এ বছর মেধাতালিকায় 
থাকা শিক্ষার্থীদের পেতে হয়েছে সর্বনিম্ন ৬২ নম্বর।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২১-২২ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় যারা জায়গা পায়নি, তাদের মধ্যে নানা রকম প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কীভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার নম্বর দেওয়া হয়, তা নিয়ে সংশয়ের কারণে এমনটা হতে পারে।’

পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেও তালিকায় থাকার ব্যাখ্যায় শেকৃবি উপাচার্য বলেন, ‘কেন্দ্রে পরিবর্তনের জন্য আবেদনের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে নতুন কেন্দ্র দেওয়া হয়েছে। এতে করে মনে হয়েছে তিনি অনুপস্থিত। আসলে তিনি অন্য কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এ নিয়ে অভিযোগ অমূলক।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত