ড. আজহারুল ইসলাম
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।…
কড়ি ও কোমল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদমাধ্যম আমাদের বিভিন্ন বয়সী নারীর অনেক আত্মহত্যার সংবাদ জানিয়েছে। পুরুষেরাও যে আত্মহত্যা করেননি, তা নয়। বিভিন্ন কারণে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই আত্মহত্যার ঘটনাগুলো আমাদের ভাবিয়েছে এবং ভাবাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে আত্মহত্যাই একমাত্র পথ নয়।
বেঁচে থাকার আকুতি প্রতিটি জীবের সহজাত প্রবৃত্তি। পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে কীভাবে টিকে থাকতে হয় তার কৌশল জীবের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। সব মানুষই বাঁচতে চায়। তারপরও কিছু মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। বেঁচে থাকাটা তাদের জন্য এতটাই কষ্টের হয় যে মরে যাওয়ার মধ্যেই মুক্তির স্বাদ খোঁজে তারা। নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেশি, কিন্তু আত্মহত্যার কারণে মৃত্যু বেশি হয় পুরুষের।
গত ৩০ বছরে বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার নিম্নগামী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালে বলেছে, ১৯৯০ সালে প্রতি লাখে ১১ দশমিক ৭৮ থেকে কমে ২০১৯ সালে ৪ দশমিক
৭ জন মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করেছে।
তবে করোনা মহামারির সময়ে এই সমস্যার অবনতি হয়েছে; বিশেষ করে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা মহামারির ফলে আরোপিত নানা বিধিনিষেধ, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং চাকরির নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্তিমিত থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্নতা এবং উদ্বিগ্নতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। আত্মহত্যার পেছনে বিষণ্নতা অন্যতম প্রধান কারণ। সার্বিক মানসিক অসুস্থতা এবং মাদকাসক্তিও মানুষকে আত্মহত্যার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।
ঝুঁকি কেন বাস্তব হয়
এই ঝুঁকি বাস্তবে রূপ নিতে পারে যদি যাপিত জীবনে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেল, চাকরি চলে গেল, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করার পরও খারাপ ফল হলে কিংবা ব্যবসায় বিরাট অঙ্কের লোকসান হলে মানুষ ভেঙে পড়ে।
তার মানসিক শক্তির খুঁটিগুলো নড়বড়ে হয়ে যায়। চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে। দম যেন বন্ধ হয়ে আসতে চায়। জীবনে কোনো আশা নেই, আলো নেই; অর্থহীন এই জীবন রেখে কী লাভ—এমন ভাবনা থেকে মানুষের মনে আত্মহত্যার চিন্তা আসে। বলাই বাহুল্য, এ সময় মানুষের জীবনছবি খুব সংকুচিত হয়ে আসে। তার মধ্যে সমস্যা মোকাবিলার দক্ষতার ঘাটতিও থাকে।
শুধু ছন্দপতন ঘটলেই একজন ব্যক্তি আত্মহননের পথে যায়, তা নয়। কেউ কেউ নির্যাতন আর বিভিন্ন ধরনের শোষণের হাত থেকে মুক্তির জন্যও এ পথে হাঁটে। যৌন হয়রানি, নির্যাতন ও শোষণ, পারিবারিক সহিংসতা, প্রতারণা, লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েও অনেকে আত্মহত্যা করে থাকে। এগুলো আত্মহত্যা না হত্যা, তা নিয়ে বিতর্ক প্রয়োজন।
একজন ব্যক্তি হঠাৎ করেই জীবন শেষ করার কাজ করে না। নিজেকে শেষ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগের সময়টাতে মানুষটি ভীষণ কষ্টে থাকে। কষ্টগুলো একপর্যায়ে এতটাই অসহনীয় হয়ে পড়ে যে বাঁচার ইচ্ছাটাই শেষ হয়ে যায়। মৃত্যুই তখন একমাত্র সমাধান হিসেবে চোখের সামনে চলে আসে। এই অন্তিম মুহূর্তে পৌঁছানোর আগে আত্মহত্যায় ইচ্ছুক ব্যক্তি নানা রকম ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। তার আচরণের মাধ্যমে সেগুলো প্রকাশও পায়। সে ইঙ্গিতগুলো ধরতে পারাটা আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রথম ধাপ।
যে বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে
আত্মহননচেষ্টার পরেও যাঁরা বেঁচে গেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, একজন পেশাদার মনোচিকিৎসক বা মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া, নিজের ক্ষমতা উপলব্ধি করা, ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সাফল্য পাওয়া এবং জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ফলে তাঁরা আত্মহত্যার চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন এবং সুস্থ জীবনযাপন করছেন। তীব্র আত্মহননের আকুতি মোকাবিলার জন্য মন খুলে কথা বলা, পেশাদার মনোচিকিৎসক বা মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং সাহায্য চাওয়া খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই ওপরের কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত সাড়া দিন কারও সঙ্গে কথা বলুন, বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।
মন খুলে কথা বলা উপকারী। কিন্তু আত্মহত্যার চেষ্টার পরেও বেঁচে যাওয়া মানুষদের মতে, চরম মুহূর্তে মনের কথা বলার মতো মানুষ পাওয়া যায় না। মানুষ পাওয়া গেলেও সঠিক কথাটা বলা হয়ে ওঠে না। মানুষ নিজেও অনেক সময় দ্বিধাহীন থাকে তার মধ্যে কম চলছে, কেমন বোধ করছে, কেন করছে—এসব বিষয় নিয়ে। তখন সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আবার বললেও অন্যের কাছ থেকে যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে, তারও নিশ্চয়তা নেই। অন্যেরা দ্রুতই নেতিবাচক মন্তব্য করে ফেলে—তার কিছু হয়নি, ওসব অ্যাটেনশন পাওয়ার যত বাহানা। এসবের পরও পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের মধ্যেই পাওয়া যায় প্রকৃত সহায়তা। অনেক ক্ষেত্রে টেলিফোন হেল্প লাইন সেবা অথবা অনলাইনভিত্তিক সামাজিক সেবার প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
যা করতে পারেন
সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানসিকভাবে শান্তিতে থাকার গুরুত্ব অনেক বেশি। এ জন্য যা করতে পারেন,
‘লোকে কী ভাববে’ এই ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। এতে মনের ওপর চাপ কম পড়বে। অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের ওপর আস্থা বাড়াতে হবে।
মানুষের জীবনে সব সময় ভালো দিন যায় না, এটাই স্বাভাবিক। জীবনে ঝড় আসতে পারে পারে। এ সময় মন শান্ত রাখা প্রয়োজন। মনের অস্থিরতা দূর করার জন্য পছন্দের কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে পারেন।
মানসিক অস্থিরতায় নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে। বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। অথবা খোলা জায়গায় গিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন। এটি আপনাকে মানসিকভাবে শান্ত থাকতে অনেক সহযোগিতা করবে।
নিজের যোগ্যতা অনুসারে আশা করুন। যোগ্যতার বেশি কিছু পাওয়ার আশা মানুষকে নিরাশ করে অনেক বেশি।
লেখক: কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।…
কড়ি ও কোমল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদমাধ্যম আমাদের বিভিন্ন বয়সী নারীর অনেক আত্মহত্যার সংবাদ জানিয়েছে। পুরুষেরাও যে আত্মহত্যা করেননি, তা নয়। বিভিন্ন কারণে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই আত্মহত্যার ঘটনাগুলো আমাদের ভাবিয়েছে এবং ভাবাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে আত্মহত্যাই একমাত্র পথ নয়।
বেঁচে থাকার আকুতি প্রতিটি জীবের সহজাত প্রবৃত্তি। পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে কীভাবে টিকে থাকতে হয় তার কৌশল জীবের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। সব মানুষই বাঁচতে চায়। তারপরও কিছু মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। বেঁচে থাকাটা তাদের জন্য এতটাই কষ্টের হয় যে মরে যাওয়ার মধ্যেই মুক্তির স্বাদ খোঁজে তারা। নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেশি, কিন্তু আত্মহত্যার কারণে মৃত্যু বেশি হয় পুরুষের।
গত ৩০ বছরে বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার নিম্নগামী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালে বলেছে, ১৯৯০ সালে প্রতি লাখে ১১ দশমিক ৭৮ থেকে কমে ২০১৯ সালে ৪ দশমিক
৭ জন মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করেছে।
তবে করোনা মহামারির সময়ে এই সমস্যার অবনতি হয়েছে; বিশেষ করে এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা মহামারির ফলে আরোপিত নানা বিধিনিষেধ, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং চাকরির নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্তিমিত থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিষণ্নতা এবং উদ্বিগ্নতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। আত্মহত্যার পেছনে বিষণ্নতা অন্যতম প্রধান কারণ। সার্বিক মানসিক অসুস্থতা এবং মাদকাসক্তিও মানুষকে আত্মহত্যার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়।
ঝুঁকি কেন বাস্তব হয়
এই ঝুঁকি বাস্তবে রূপ নিতে পারে যদি যাপিত জীবনে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেল, চাকরি চলে গেল, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করার পরও খারাপ ফল হলে কিংবা ব্যবসায় বিরাট অঙ্কের লোকসান হলে মানুষ ভেঙে পড়ে।
তার মানসিক শক্তির খুঁটিগুলো নড়বড়ে হয়ে যায়। চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে। দম যেন বন্ধ হয়ে আসতে চায়। জীবনে কোনো আশা নেই, আলো নেই; অর্থহীন এই জীবন রেখে কী লাভ—এমন ভাবনা থেকে মানুষের মনে আত্মহত্যার চিন্তা আসে। বলাই বাহুল্য, এ সময় মানুষের জীবনছবি খুব সংকুচিত হয়ে আসে। তার মধ্যে সমস্যা মোকাবিলার দক্ষতার ঘাটতিও থাকে।
শুধু ছন্দপতন ঘটলেই একজন ব্যক্তি আত্মহননের পথে যায়, তা নয়। কেউ কেউ নির্যাতন আর বিভিন্ন ধরনের শোষণের হাত থেকে মুক্তির জন্যও এ পথে হাঁটে। যৌন হয়রানি, নির্যাতন ও শোষণ, পারিবারিক সহিংসতা, প্রতারণা, লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েও অনেকে আত্মহত্যা করে থাকে। এগুলো আত্মহত্যা না হত্যা, তা নিয়ে বিতর্ক প্রয়োজন।
একজন ব্যক্তি হঠাৎ করেই জীবন শেষ করার কাজ করে না। নিজেকে শেষ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগের সময়টাতে মানুষটি ভীষণ কষ্টে থাকে। কষ্টগুলো একপর্যায়ে এতটাই অসহনীয় হয়ে পড়ে যে বাঁচার ইচ্ছাটাই শেষ হয়ে যায়। মৃত্যুই তখন একমাত্র সমাধান হিসেবে চোখের সামনে চলে আসে। এই অন্তিম মুহূর্তে পৌঁছানোর আগে আত্মহত্যায় ইচ্ছুক ব্যক্তি নানা রকম ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। তার আচরণের মাধ্যমে সেগুলো প্রকাশও পায়। সে ইঙ্গিতগুলো ধরতে পারাটা আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রথম ধাপ।
যে বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে
আত্মহননচেষ্টার পরেও যাঁরা বেঁচে গেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, একজন পেশাদার মনোচিকিৎসক বা মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া, নিজের ক্ষমতা উপলব্ধি করা, ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সাফল্য পাওয়া এবং জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ফলে তাঁরা আত্মহত্যার চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন এবং সুস্থ জীবনযাপন করছেন। তীব্র আত্মহননের আকুতি মোকাবিলার জন্য মন খুলে কথা বলা, পেশাদার মনোচিকিৎসক বা মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং সাহায্য চাওয়া খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তাই ওপরের কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত সাড়া দিন কারও সঙ্গে কথা বলুন, বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।
মন খুলে কথা বলা উপকারী। কিন্তু আত্মহত্যার চেষ্টার পরেও বেঁচে যাওয়া মানুষদের মতে, চরম মুহূর্তে মনের কথা বলার মতো মানুষ পাওয়া যায় না। মানুষ পাওয়া গেলেও সঠিক কথাটা বলা হয়ে ওঠে না। মানুষ নিজেও অনেক সময় দ্বিধাহীন থাকে তার মধ্যে কম চলছে, কেমন বোধ করছে, কেন করছে—এসব বিষয় নিয়ে। তখন সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আবার বললেও অন্যের কাছ থেকে যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে, তারও নিশ্চয়তা নেই। অন্যেরা দ্রুতই নেতিবাচক মন্তব্য করে ফেলে—তার কিছু হয়নি, ওসব অ্যাটেনশন পাওয়ার যত বাহানা। এসবের পরও পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের মধ্যেই পাওয়া যায় প্রকৃত সহায়তা। অনেক ক্ষেত্রে টেলিফোন হেল্প লাইন সেবা অথবা অনলাইনভিত্তিক সামাজিক সেবার প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
যা করতে পারেন
সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য মানসিকভাবে শান্তিতে থাকার গুরুত্ব অনেক বেশি। এ জন্য যা করতে পারেন,
‘লোকে কী ভাববে’ এই ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। এতে মনের ওপর চাপ কম পড়বে। অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের ওপর আস্থা বাড়াতে হবে।
মানুষের জীবনে সব সময় ভালো দিন যায় না, এটাই স্বাভাবিক। জীবনে ঝড় আসতে পারে পারে। এ সময় মন শান্ত রাখা প্রয়োজন। মনের অস্থিরতা দূর করার জন্য পছন্দের কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে পারেন।
মানসিক অস্থিরতায় নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে। বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। অথবা খোলা জায়গায় গিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন। এটি আপনাকে মানসিকভাবে শান্ত থাকতে অনেক সহযোগিতা করবে।
নিজের যোগ্যতা অনুসারে আশা করুন। যোগ্যতার বেশি কিছু পাওয়ার আশা মানুষকে নিরাশ করে অনেক বেশি।
লেখক: কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট, সহযোগী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে