শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ায় খাবারের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন মুরগির খামারিরা। বেকার হয়ে পড়েছেন অসংখ্য খামারি। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির খাবারের দাম বস্তায় বেড়েছে ৩০০ টাকা। সে অনুযায়ী বাড়েনি মুরগির দাম। এতে অনেক খামারি পথে বসেছেন। অনেক খামার রয়েছে বন্ধের পথে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় দেশীয় জাতের মুরগির খামার রয়েছে ১২২টি, সোনালি জাতের মুরগির খামার ৬৭টি, লেয়ার জাতের ৬৭টি, ব্রয়লার জাতের ৫৪টি এবং প্যারেন্টস (ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদিত হয়) জাতের রয়েছে চারটি খামার।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার এবং খামার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি দরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি খামারে বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর চারমাথা এলাকার ফিড ব্যবসায়ী রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির খাবারের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। এক মাসের বাকিতে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির খাবারের বস্তা নগদ ২ হাজার ৫৫০ টাকা, বাকিতে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। লেয়ার মুরগির খাবারের দামেরও একই অবস্থা।
আড়িয়াবাজার স্ট্যান্ডের খুচরা ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
খামারি এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘হাইব্রিড জাতের সোনালি মুরগির খামার করেছিলাম। খাদ্য, ওষুধ, শেড ভাড়া মিলিয়ে যে খরচ হয়, তা মুরগি বিক্রি করে তোলা সম্ভব হয় না।’
সাজাপুর দাড়িকামারি গ্রামের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্রয়লারের এক হাজার বাচ্চা কেনা থেকে লালন-পালন পর্যন্ত ৩০ দিনে সব মিলিয়ে মোট খরচ হয় ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিক ঠিকঠাক থাকলে এক মাসে মুরগির গড় ওজন হয় ১ কেজি ৮০০ গ্রাম। বাজারে বিক্রি করে পাওয়া যায় মোট ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। সে হিসেবে ১ হাজার মুরগিতে লোকসান হয় ১৭ হাজার টাকা। যাঁরা বাকিতে খাবার কেনেন তাঁদের ঘাটতি আরও বেশি।’
খামারি মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি সোনালি জাতের ৪ হাজার মুরগি তুলেছেন খামারে। বাচ্চা ফার্মে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৬০ দিনে খাবার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আছে বিদ্যুৎ বিল, ওষুধ, তুষ ও শ্রমিকের মজুরি খরচও। সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা খরচ হবে। মুরগি বিক্রি করে যা পাবেন, তাতে পোষায় না বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্জন কানিজ ফারজানা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় মোট ৪১৪টি খামার রয়েছে। ছোট খামারে তিনজন, বড় খামারগুলোতে প্রায় ২৫ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করেন। সম্প্রতি মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের কিছু করার নেই, এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়।’
বগুড়ায় খাবারের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন মুরগির খামারিরা। বেকার হয়ে পড়েছেন অসংখ্য খামারি। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির খাবারের দাম বস্তায় বেড়েছে ৩০০ টাকা। সে অনুযায়ী বাড়েনি মুরগির দাম। এতে অনেক খামারি পথে বসেছেন। অনেক খামার রয়েছে বন্ধের পথে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় দেশীয় জাতের মুরগির খামার রয়েছে ১২২টি, সোনালি জাতের মুরগির খামার ৬৭টি, লেয়ার জাতের ৬৭টি, ব্রয়লার জাতের ৫৪টি এবং প্যারেন্টস (ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদিত হয়) জাতের রয়েছে চারটি খামার।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার এবং খামার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি দরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি খামারে বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর চারমাথা এলাকার ফিড ব্যবসায়ী রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির খাবারের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। এক মাসের বাকিতে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির খাবারের বস্তা নগদ ২ হাজার ৫৫০ টাকা, বাকিতে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। লেয়ার মুরগির খাবারের দামেরও একই অবস্থা।
আড়িয়াবাজার স্ট্যান্ডের খুচরা ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
খামারি এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘হাইব্রিড জাতের সোনালি মুরগির খামার করেছিলাম। খাদ্য, ওষুধ, শেড ভাড়া মিলিয়ে যে খরচ হয়, তা মুরগি বিক্রি করে তোলা সম্ভব হয় না।’
সাজাপুর দাড়িকামারি গ্রামের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্রয়লারের এক হাজার বাচ্চা কেনা থেকে লালন-পালন পর্যন্ত ৩০ দিনে সব মিলিয়ে মোট খরচ হয় ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিক ঠিকঠাক থাকলে এক মাসে মুরগির গড় ওজন হয় ১ কেজি ৮০০ গ্রাম। বাজারে বিক্রি করে পাওয়া যায় মোট ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। সে হিসেবে ১ হাজার মুরগিতে লোকসান হয় ১৭ হাজার টাকা। যাঁরা বাকিতে খাবার কেনেন তাঁদের ঘাটতি আরও বেশি।’
খামারি মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি সোনালি জাতের ৪ হাজার মুরগি তুলেছেন খামারে। বাচ্চা ফার্মে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৬০ দিনে খাবার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আছে বিদ্যুৎ বিল, ওষুধ, তুষ ও শ্রমিকের মজুরি খরচও। সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা খরচ হবে। মুরগি বিক্রি করে যা পাবেন, তাতে পোষায় না বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্জন কানিজ ফারজানা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় মোট ৪১৪টি খামার রয়েছে। ছোট খামারে তিনজন, বড় খামারগুলোতে প্রায় ২৫ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করেন। সম্প্রতি মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের কিছু করার নেই, এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে