Ajker Patrika

ভালো ফলন ও দামে লিচুচাষির হাসি

­বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১৬: ৩৩
ভালো ফলন ও দামে লিচুচাষির হাসি

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চলতি মৌসুমে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। আর ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় লিচুর ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় প্রায় ৬৯০ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল ৭৬৭ মেট্রিক টন। আর বাগানগুলোর প্রায় ৯৫ ভাগ গাছেই লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি লিচু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উপজেলায় প্রায় ৭ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকা লিচুর বাণিজ্য হবে বলে আশাবাদী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জামনগর, রহিমানপুর, তকিনগর, তমালতলা, যোগিপাড়া, নওশেরা এবং গালিমপুর এলাকায় বেশি লিচুর চাষ হয়। ইতিমধ্যে বম্বাই ও স্থানীয় (আঁটি) জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা, সিলেট, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহ এবং খুলনা এলাকার পাইকাররা এসে সরাসরি বাগান থেকে লিচু কিনছেন।

তমালতলা এলাকার লিচুচাষি আলাউদ্দিন বলেন, এ বছর তাঁর পাঁচ বিঘাতে বম্বাই জাতের লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। পাইকারেরা বাগানে এসে লিচুর দাম করছেন। তিনি আশা করছেন, সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় দুই-একদিনের মধ্যে বিক্রয় করতে পারবেন।

আরেক লিচুচাষি মাহাবুর রহমান বলেন, তাঁর চার বিঘা জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। এ বছর প্রতিটি গাছেই লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে লিচু বিক্রিও শুরু করেছেন তিনি। প্রতি হাজার লিচু ১ হাজার ৮০০ টাকায় বাগান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারেরা। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার লিচু বিক্রি করেছেন তিনি।

বরিশাল থেকে লিচু কিনতে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় লিচু কিনে বরিশাল পাঠাচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন গড়ে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার লিচু বরিশালে পাঠান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাগাতিপাড়ায় এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত