রিপন চন্দ্র রায়, রাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জালিয়াতির মাধ্যমে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। সে সময় ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনজনকে কারাদণ্ড দেন। তবে মূল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জালিয়াতির নথি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াত চক্র ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগের বছরে জড়িত থাকা কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের অপরাধ করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল সাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে কর্তৃপক্ষ। ওই মামলার এজাহারে হোতার নাম নেই। ফলে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ঘিরে চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাল সোমবার থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৩ হাজার ৯৩০টি (কোটাবিহীন) আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। ২৯ মে ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩০ মে ‘এ’ ইউনিট (মানবিক) এবং ৩১ মে ‘বি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দুই পদ্ধতিতে জালিয়াতি হতে পারে। প্রথমত, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর ছবি কারসাজি করে অন্য একজন পরীক্ষা দিতে পারেন। দ্বিতীয়ত, ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে প্রশ্ন সংগ্রহ করে সমাধানের পর তা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নজির মেলেনি। তবে বরাবরের মতো জালিয়াতের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের ভর্তির নজির রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করতে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করছেন জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। এ চক্রের মধ্যে অধিকাংশই বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৫-২৭ জুলাই তিনটি ইউনিটে রাবির সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষার কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষার সময় জালিয়াতিতে জড়িত তিনজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
সে সময় জালিয়াতির অভিযোগে আটক বায়েজিদ নামের এক শিক্ষার্থী হোতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক পদস্থ নেতার নাম জানান। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানে কয়েকটি কোচিং সেন্টারের নাম উঠে এলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে ওই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। তবে আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকরী ও কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার মোবাইল ফোনে কল করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা জালিয়াত চক্র ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আগের বছরে জড়িত থাকা কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের অপরাধ করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পরীক্ষার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সক্রিয় আছেন।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জালিয়াতির মাধ্যমে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হন। সে সময় ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনজনকে কারাদণ্ড দেন। তবে মূল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জালিয়াতির নথি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াত চক্র ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগের বছরে জড়িত থাকা কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের অপরাধ করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল সাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে কর্তৃপক্ষ। ওই মামলার এজাহারে হোতার নাম নেই। ফলে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ঘিরে চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাল সোমবার থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৩ হাজার ৯৩০টি (কোটাবিহীন) আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। ২৯ মে ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩০ মে ‘এ’ ইউনিট (মানবিক) এবং ৩১ মে ‘বি’ (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দুই পদ্ধতিতে জালিয়াতি হতে পারে। প্রথমত, ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর ছবি কারসাজি করে অন্য একজন পরীক্ষা দিতে পারেন। দ্বিতীয়ত, ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে প্রশ্ন সংগ্রহ করে সমাধানের পর তা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নজির মেলেনি। তবে বরাবরের মতো জালিয়াতের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগের ভর্তির নজির রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করতে ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করছেন জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। এ চক্রের মধ্যে অধিকাংশই বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্রসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৫-২৭ জুলাই তিনটি ইউনিটে রাবির সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষার কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষার সময় জালিয়াতিতে জড়িত তিনজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
সে সময় জালিয়াতির অভিযোগে আটক বায়েজিদ নামের এক শিক্ষার্থী হোতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক পদস্থ নেতার নাম জানান। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানে কয়েকটি কোচিং সেন্টারের নাম উঠে এলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে ওই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। তবে আশা করব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকরী ও কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার মোবাইল ফোনে কল করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা জালিয়াত চক্র ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আগের বছরে জড়িত থাকা কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের অপরাধ করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পরীক্ষার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সক্রিয় আছেন।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে