আবু সাইম, ঢাকা
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র নারীদের সামর্থ্য উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ২০১৫ সালে নেওয়া হয় ‘স্বপ্ন’ প্রকল্প। প্রকল্পে ৬৪০ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার কথা ছিল, তবে ৮ বছরেও প্রতিশ্রুত অর্থের সামান্যই পাওয়া গেছে। তাই কিছু টাকা খরচের পর বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। ভেস্তে যাওয়া সে প্রকল্প ফিরছে নতুন করে। নতুন প্রতিশ্রুতির ওপর ভর করে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে আগের চেয়ে প্রকল্পের খরচ নামছে ছয় ভাগের এক ভাগে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. সারোয়ার বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বপ্ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। যদিও তাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এখন দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে। এবার অর্থায়নের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। তবে আমরা যে পরিমাণ আশা করছিলাম সে অনুপাতে পাইনি।’
জানা গেছে, উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন) প্রকল্পে মোট ব্যয় ছিল ৮৫৩ কোটি টাকা। এতে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), সুইডেন দূতাবাস সিডা, এসডিজিএফ (স্পেন)সহ কয়েকটি সংস্থার কাছ থেকে ৬৪০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার কথা ছিল। তবে বৈদেশিক সহায়তা ৮৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। প্রকল্পে ব্যয় হয় মাত্র ১৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
জানা গেছে, প্রথম প্রকল্পের ৬৪ হাজার ৯৮০ জন নারী উপকারভোগী সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৮ বছরে পেয়েছেন পাঁচ জেলার মাত্র ১২ হাজার ৪৯২ জন নারী। এ সময়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় তিনবার।
অতীত অভিজ্ঞতা সুখের না হওয়ায় এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প ছোট করে নেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হচ্ছে মাত্র ১৪৮ কোটি টাকা, যা আগের প্রকল্পের ছয় ভাগের এক ভাগ। এ টাকার মধ্যেও ইউএনডিপি, ম্যারিকো বাংলাদেশ, সুইডেনের কাছ থেকে ৬৮ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদানের আশা করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
পিছিয়ে পড়া ১২টি জেলার ৩২ উপজেলার ২৮৩ ইউনিয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে এসব এলাকার ১০ হাজার ১৮৮ জন নারীর কর্মদক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
নতুন প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে দেখা যায়, নারীদের রাস্তাঘাট মেরামত, বাঁধ সংস্কার, মাটি ভরা ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত করা হবে। এ জন্য দিনে ২৫০ টাকা মজুরি দেওয়া হবে। তার মধ্যে ৫০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে, যা দিয়ে লাভজনক সমবায় সমিতি গঠন করা হবে। প্রত্যেক উপকারভোগীকে একটি করে ১ হাজার ২৫০ টাকা দামের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেওয়া হবে।
তবে একই ধরনের কাজ আগে হলেও এ প্রকল্পের জন্য সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে পরামর্শক খাতে। বিভিন্ন সেমিনারের জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এনজিওর মাধ্যমে মনিটরিংয়ে ব্যয় হবে ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর সড়ক মেরামতে ৭৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং প্রশিক্ষণে ২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, আগের প্রকল্পে ঠিকমতো অনুদান পাওয়া যায়নি। তাই এবার আগেই অনুদানের নিশ্চয়তা দিতে হবে। পুরোনো প্রকল্পের কী অবস্থা তা জানাতে হবে। মোবাইল সেট না দিয়ে মোবাইল ভাতা দেওয়া যেতে পারে। পরামর্শক ব্যয়সহ বিস্তারিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় জানাতে হবে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র নারীদের সামর্থ্য উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ২০১৫ সালে নেওয়া হয় ‘স্বপ্ন’ প্রকল্প। প্রকল্পে ৬৪০ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার কথা ছিল, তবে ৮ বছরেও প্রতিশ্রুত অর্থের সামান্যই পাওয়া গেছে। তাই কিছু টাকা খরচের পর বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। ভেস্তে যাওয়া সে প্রকল্প ফিরছে নতুন করে। নতুন প্রতিশ্রুতির ওপর ভর করে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে আগের চেয়ে প্রকল্পের খরচ নামছে ছয় ভাগের এক ভাগে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. সারোয়ার বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বপ্ন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। যদিও তাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এখন দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে। এবার অর্থায়নের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। তবে আমরা যে পরিমাণ আশা করছিলাম সে অনুপাতে পাইনি।’
জানা গেছে, উৎপাদনশীল ও সম্ভাবনাময় কর্মের সুযোগ গ্রহণে নারীর সামর্থ্য উন্নয়ন (স্বপ্ন) প্রকল্পে মোট ব্যয় ছিল ৮৫৩ কোটি টাকা। এতে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), সুইডেন দূতাবাস সিডা, এসডিজিএফ (স্পেন)সহ কয়েকটি সংস্থার কাছ থেকে ৬৪০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়ার কথা ছিল। তবে বৈদেশিক সহায়তা ৮৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। প্রকল্পে ব্যয় হয় মাত্র ১৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
জানা গেছে, প্রথম প্রকল্পের ৬৪ হাজার ৯৮০ জন নারী উপকারভোগী সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৮ বছরে পেয়েছেন পাঁচ জেলার মাত্র ১২ হাজার ৪৯২ জন নারী। এ সময়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় তিনবার।
অতীত অভিজ্ঞতা সুখের না হওয়ায় এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প ছোট করে নেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হচ্ছে মাত্র ১৪৮ কোটি টাকা, যা আগের প্রকল্পের ছয় ভাগের এক ভাগ। এ টাকার মধ্যেও ইউএনডিপি, ম্যারিকো বাংলাদেশ, সুইডেনের কাছ থেকে ৬৮ কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদানের আশা করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
পিছিয়ে পড়া ১২টি জেলার ৩২ উপজেলার ২৮৩ ইউনিয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে এসব এলাকার ১০ হাজার ১৮৮ জন নারীর কর্মদক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
নতুন প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে দেখা যায়, নারীদের রাস্তাঘাট মেরামত, বাঁধ সংস্কার, মাটি ভরা ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত করা হবে। এ জন্য দিনে ২৫০ টাকা মজুরি দেওয়া হবে। তার মধ্যে ৫০ টাকা সঞ্চয় করতে হবে, যা দিয়ে লাভজনক সমবায় সমিতি গঠন করা হবে। প্রত্যেক উপকারভোগীকে একটি করে ১ হাজার ২৫০ টাকা দামের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেওয়া হবে।
তবে একই ধরনের কাজ আগে হলেও এ প্রকল্পের জন্য সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে পরামর্শক খাতে। বিভিন্ন সেমিনারের জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। এনজিওর মাধ্যমে মনিটরিংয়ে ব্যয় হবে ১৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর সড়ক মেরামতে ৭৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং প্রশিক্ষণে ২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, আগের প্রকল্পে ঠিকমতো অনুদান পাওয়া যায়নি। তাই এবার আগেই অনুদানের নিশ্চয়তা দিতে হবে। পুরোনো প্রকল্পের কী অবস্থা তা জানাতে হবে। মোবাইল সেট না দিয়ে মোবাইল ভাতা দেওয়া যেতে পারে। পরামর্শক ব্যয়সহ বিস্তারিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় জানাতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে