নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বাভাবিক প্রসবের সময় দুই গ্রাম অ্যাজিথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন গর্ভবতী মায়েদের সেপসিস বা মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কমাবে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।
গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ফর উইমেনস অ্যান্ড চিলড্রেনস হেলথ রিসার্চের আওতায় পরিচালিত ‘প্রসবের সময় অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রফিল্যাক্সিস ব্যবহার (এ-প্লাস)’ শীর্ষক বহুদেশীয় ওই গবেষণাটির ফল ইতিমধ্যে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশের ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. রাশিদুল হক, আইসিডিডিআরবির অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট এস কে মাসুম বিল্লাহ এবং আমেরিকার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. উইলিয়াম পেট্রি।
বাংলাদেশ, কঙ্গো, গুয়াতেমালা, ভারত, কেনিয়া, পাকিস্তান এবং জাম্বিয়ার ২৯ হাজার ২৭৮ জন গর্ভবতী নারীর ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে। তাঁদের দুটি ভাগে বিভক্ত করে একটি গ্রুপকে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও অন্য গ্রুপটিকে প্লাসিবো দেওয়া হয়। এতে দেখা গেছে, প্লাসিবো গ্রুপের তুলনায় অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপে মাতৃকালীন সেপসিস বা মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কম।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রহণকারী নারীদের মধ্যে এন্ডোমেট্রিওসিস বা গর্ভের আস্তরণের সংক্রমণ, ক্ষত থেকে রোগ সংক্রমণ এবং প্রস্রাবের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কম দেখা গেছে। অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রহণকারী নারীরা প্লাসিবো গ্রুপের তুলনায় প্রসব-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কম এবং ডাক্তারের কাছেও অনির্ধারিত সময়ে দেখা করেছেন কম। তবে, গবেষণায় অ্যাজিথ্রোমাইসিন নবজাতকের সেপসিস বা মৃত্যুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে কি না তা জানা যায়নি।
গবেষণাটির প্রভাব প্রসঙ্গে ড. রাশিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে যেখানে প্রায় প্রতি তিনটি প্রসবের মধ্যে দুটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়, সেখানে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রসবের সময় দুই গ্রাম অ্যাজিথ্রোমাইসিনের একক ডোজ অনেকের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবা দানকারী এবং নীতিনির্ধারকরা স্বাভাবিক প্রসবের সময় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ও গবেষণাটির প্রাথমিক অনুদান প্রদানকারী ডায়ানা ডব্লিউ বিয়াঞ্চি বলেন, ‘গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে একটি নিরাপদ, কার্যকর এবং সাশ্রয়ী চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসরণ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক মাতৃত্বকালীন সেপসিস এবং মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। গর্ভাবস্থাসংক্রান্ত সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের কার্যকর কৌশল নির্ণয় করা প্রয়োজন। কেননা মাতৃমৃত্যুর প্রায় ১০ শতাংশ এর জন্য দায়ী।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ জানিয়েছে, জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর ‘মাতৃমৃত্যুর প্রবণতা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলছে, বর্তমানে বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী গর্ভাবস্থায় বা সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে মাতৃমৃত্যু কমেনি বরং অনেক স্থানে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, মহিলাদের জন্য গর্ভাবস্থা একটি আশার সময় এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত, তবে দুঃখজনকভাবে এটি এখনও বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জন্য একটি মর্মান্তিকভাবে বিপজ্জনক অভিজ্ঞতা। এ বিষয়ে উচ্চমানের, সম্মানজনক স্বাস্থ্যসেবার অভাব রয়েছে। সন্তান প্রসবের আগে এবং পরে গুরুতর স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো প্রত্যেকের জন্য নিশ্চিত করা জরুরি।
স্বাভাবিক প্রসবের সময় দুই গ্রাম অ্যাজিথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন গর্ভবতী মায়েদের সেপসিস বা মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কমাবে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।
গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ফর উইমেনস অ্যান্ড চিলড্রেনস হেলথ রিসার্চের আওতায় পরিচালিত ‘প্রসবের সময় অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রফিল্যাক্সিস ব্যবহার (এ-প্লাস)’ শীর্ষক বহুদেশীয় ওই গবেষণাটির ফল ইতিমধ্যে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশের ইমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. রাশিদুল হক, আইসিডিডিআরবির অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট এস কে মাসুম বিল্লাহ এবং আমেরিকার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. উইলিয়াম পেট্রি।
বাংলাদেশ, কঙ্গো, গুয়াতেমালা, ভারত, কেনিয়া, পাকিস্তান এবং জাম্বিয়ার ২৯ হাজার ২৭৮ জন গর্ভবতী নারীর ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে। তাঁদের দুটি ভাগে বিভক্ত করে একটি গ্রুপকে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও অন্য গ্রুপটিকে প্লাসিবো দেওয়া হয়। এতে দেখা গেছে, প্লাসিবো গ্রুপের তুলনায় অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপে মাতৃকালীন সেপসিস বা মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ কম।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রহণকারী নারীদের মধ্যে এন্ডোমেট্রিওসিস বা গর্ভের আস্তরণের সংক্রমণ, ক্ষত থেকে রোগ সংক্রমণ এবং প্রস্রাবের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কম দেখা গেছে। অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রহণকারী নারীরা প্লাসিবো গ্রুপের তুলনায় প্রসব-পরবর্তী জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কম এবং ডাক্তারের কাছেও অনির্ধারিত সময়ে দেখা করেছেন কম। তবে, গবেষণায় অ্যাজিথ্রোমাইসিন নবজাতকের সেপসিস বা মৃত্যুর ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে কি না তা জানা যায়নি।
গবেষণাটির প্রভাব প্রসঙ্গে ড. রাশিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে যেখানে প্রায় প্রতি তিনটি প্রসবের মধ্যে দুটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়, সেখানে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রসবের সময় দুই গ্রাম অ্যাজিথ্রোমাইসিনের একক ডোজ অনেকের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবা দানকারী এবং নীতিনির্ধারকরা স্বাভাবিক প্রসবের সময় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ও গবেষণাটির প্রাথমিক অনুদান প্রদানকারী ডায়ানা ডব্লিউ বিয়াঞ্চি বলেন, ‘গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে একটি নিরাপদ, কার্যকর এবং সাশ্রয়ী চিকিৎসাপদ্ধতি অনুসরণ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক মাতৃত্বকালীন সেপসিস এবং মাতৃমৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। গর্ভাবস্থাসংক্রান্ত সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের কার্যকর কৌশল নির্ণয় করা প্রয়োজন। কেননা মাতৃমৃত্যুর প্রায় ১০ শতাংশ এর জন্য দায়ী।’
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ জানিয়েছে, জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর ‘মাতৃমৃত্যুর প্রবণতা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলছে, বর্তমানে বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী গর্ভাবস্থায় বা সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে মাতৃমৃত্যু কমেনি বরং অনেক স্থানে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, মহিলাদের জন্য গর্ভাবস্থা একটি আশার সময় এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত, তবে দুঃখজনকভাবে এটি এখনও বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জন্য একটি মর্মান্তিকভাবে বিপজ্জনক অভিজ্ঞতা। এ বিষয়ে উচ্চমানের, সম্মানজনক স্বাস্থ্যসেবার অভাব রয়েছে। সন্তান প্রসবের আগে এবং পরে গুরুতর স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো প্রত্যেকের জন্য নিশ্চিত করা জরুরি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪