সম্পাদকীয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ছিনতাই করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ নামে একসময় পরিচিত হলেও এখন সেই সুখ্যাতি নেই প্রতিষ্ঠানটির। পৃথিবীর সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নাম যখন নেওয়া হয়, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই তালিকায় পাওয়া যায় না। এর পেছনে যে কারণগুলো আছে, তা নিয়ে আলোচনা করা জরুরি, তবে শিক্ষার্থীদের ছিনতাই অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে তার সরাসরি কোনো যুক্ততা নেই।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হলে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়, সেই সামর্থ্য সবার থাকে না। সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো শিক্ষক কিংবা ভালো শিক্ষার পরিবেশ আছে, সেটাও বলা যাবে না। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অন্তত ভালো শিক্ষক ও ভালো শিক্ষার পরিবেশ দিতে পারবে বলে অভিভাবকেরা মনে করেন। শিক্ষার জন্য আর্থিক ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলে অনেকের কাছে, বিশেষ করে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে স্বায়ত্তশাসিত (যাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়) বিশ্ববিদ্যালয়ই পছন্দের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে একটি সোনালি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করবে বলে অনেকেরই ধারণা।
শ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আচরণগত সততা, মানবিকতা, পড়াশোনায় মনোযোগ ইত্যাদি প্রত্যাশিত। উচ্চশিক্ষার পাওয়া জ্ঞান ঠিকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে অন্যদের আলোকিত করার প্রত্যাশাও তার সঙ্গে যোগ হয়। কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি কারও মনে যদি মুফতে বড়লোক হওয়ার দুরভিসন্ধি জেগে ওঠে, তাহলে সেটা কোন কোন দিকে নিয়ে যেতে পারে, তার একটি খণ্ডিত উদাহরণ হলো এই ছিনতাইয়ের ঘটনা। বলতে লজ্জা লাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের তিন শিক্ষার্থী ভোররাতে (৩টার দিকে) পলাশীর কাছে একটি কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আদালতে নিশ্চয়ই তাঁরা বলবেন, কেন তাঁরা এই চাঁদা দাবি করেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া উচিত। তাতে সমাজকাঠামোর বিভিন্ন স্তরের ভাবনার জগৎটা একটু পরিষ্কার হবে। তো, কাভার্ড ভ্যানচালক ৫০ হাজার টাকা কোথায় পাবেন? তিনি দিতে পারেননি। আর তখন চালকের কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তিন ছিনতাইকারী মনের আনন্দে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন। কিন্তু চকবাজার থানা-পুলিশ তাঁদের আটক করে। ছিনতাইয়ের শিকার চালক দস্যুতার মামলা দিলে তা আমলে নিয়ে তাঁদের কোর্টে পাঠানো হয়।
এই তিন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা যখন শুনেছেন তাঁদের সন্তানেরা পড়াশোনার পাশাপাশি টু-পাইস কামানোর জন্য রাত-বিরেতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করেছেন, তখন কেমন হয়েছিল তাঁদের মনের অবস্থা? একটি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীর জীবনে নীতি-নৈতিকতার বোধ জন্ম নেবে না কেন—সে প্রশ্নও ওঠা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কি একজন শিক্ষার্থীর মননে মূল্যবোধের জন্ম দেয় না? প্রশ্ন অনেক আছে। সেগুলোর উত্তরও জানা। পরিবেশ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। পরিবেশ থেকেই সে শিক্ষা নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী দুই পক্ষকেই ভাবতে হবে বেশি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ছিনতাইকারী বনে যাচ্ছে মানুষ, এটা কোনো কাজের কথা নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী ছিনতাই করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ নামে একসময় পরিচিত হলেও এখন সেই সুখ্যাতি নেই প্রতিষ্ঠানটির। পৃথিবীর সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নাম যখন নেওয়া হয়, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই তালিকায় পাওয়া যায় না। এর পেছনে যে কারণগুলো আছে, তা নিয়ে আলোচনা করা জরুরি, তবে শিক্ষার্থীদের ছিনতাই অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে তার সরাসরি কোনো যুক্ততা নেই।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হলে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়, সেই সামর্থ্য সবার থাকে না। সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো শিক্ষক কিংবা ভালো শিক্ষার পরিবেশ আছে, সেটাও বলা যাবে না। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অন্তত ভালো শিক্ষক ও ভালো শিক্ষার পরিবেশ দিতে পারবে বলে অভিভাবকেরা মনে করেন। শিক্ষার জন্য আর্থিক ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলে অনেকের কাছে, বিশেষ করে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে স্বায়ত্তশাসিত (যাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়) বিশ্ববিদ্যালয়ই পছন্দের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে একটি সোনালি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করবে বলে অনেকেরই ধারণা।
শ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আচরণগত সততা, মানবিকতা, পড়াশোনায় মনোযোগ ইত্যাদি প্রত্যাশিত। উচ্চশিক্ষার পাওয়া জ্ঞান ঠিকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে অন্যদের আলোকিত করার প্রত্যাশাও তার সঙ্গে যোগ হয়। কিন্তু পড়াশোনার পাশাপাশি কারও মনে যদি মুফতে বড়লোক হওয়ার দুরভিসন্ধি জেগে ওঠে, তাহলে সেটা কোন কোন দিকে নিয়ে যেতে পারে, তার একটি খণ্ডিত উদাহরণ হলো এই ছিনতাইয়ের ঘটনা। বলতে লজ্জা লাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের তিন শিক্ষার্থী ভোররাতে (৩টার দিকে) পলাশীর কাছে একটি কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আদালতে নিশ্চয়ই তাঁরা বলবেন, কেন তাঁরা এই চাঁদা দাবি করেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া উচিত। তাতে সমাজকাঠামোর বিভিন্ন স্তরের ভাবনার জগৎটা একটু পরিষ্কার হবে। তো, কাভার্ড ভ্যানচালক ৫০ হাজার টাকা কোথায় পাবেন? তিনি দিতে পারেননি। আর তখন চালকের কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তিন ছিনতাইকারী মনের আনন্দে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন। কিন্তু চকবাজার থানা-পুলিশ তাঁদের আটক করে। ছিনতাইয়ের শিকার চালক দস্যুতার মামলা দিলে তা আমলে নিয়ে তাঁদের কোর্টে পাঠানো হয়।
এই তিন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা যখন শুনেছেন তাঁদের সন্তানেরা পড়াশোনার পাশাপাশি টু-পাইস কামানোর জন্য রাত-বিরেতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করেছেন, তখন কেমন হয়েছিল তাঁদের মনের অবস্থা? একটি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীর জীবনে নীতি-নৈতিকতার বোধ জন্ম নেবে না কেন—সে প্রশ্নও ওঠা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কি একজন শিক্ষার্থীর মননে মূল্যবোধের জন্ম দেয় না? প্রশ্ন অনেক আছে। সেগুলোর উত্তরও জানা। পরিবেশ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে। পরিবেশ থেকেই সে শিক্ষা নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী দুই পক্ষকেই ভাবতে হবে বেশি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ছিনতাইকারী বনে যাচ্ছে মানুষ, এটা কোনো কাজের কথা নয়।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে