Ajker Patrika

শীত আসছে বাড়ছে লেপের চাহিদা

মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, শায়েস্তাগঞ্জ ,হবিগঞ্জ
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ৪৯
শীত আসছে বাড়ছে লেপের চাহিদা

চলতি বছর একটু আগেই শায়েস্তাগঞ্জে শীত আসতে শুরু করেছে। শীতের আগমনে এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগরেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরশহর ও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও দোকানে ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য লেপ-তোশক মজুত করে রেখেছেন।

এদিকে কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা বাতাস ও ঘনকুয়াশা পড়ছে। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর হালকা কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যাচ্ছে। আগাম শীতের কারণে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি লেপ-তোশক ব্যবসায়ীরা। অনেকে আবার পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোশক সংগ্রহ করছেন।

উপজেলার দাউদনগর বাজার, পুরান বাজার, সুতাংবাজার, বাছিরগঞ্জ বাজার, অলিপুর বাজারে গেলে এসব চিত্র দেখা যায়। কেবল শহর নয়, গ্রামের ছোট ছোট বাজারগুলোতেও একই অবস্থা।

উপজেলার অলিপুর বাজারের লেপ-তোশক তৈরির কারিগর মো. আফসার আলী বলেন, বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, ফোম তুলা ১৫০ টাকা কেজি, সাদা হুল তুলা ৮০ টাকা কেজি, সাদা ব্লাজার তুলা ৫০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার দাম বাড়ায় লেপ-তোশকের দামও বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, লেপ বানাতে প্রকারভেদে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। উপজেলার সুতাং এলাকার বাসিন্দা রতন মিয়া জানান, গতবার ১ হাজার টাকায় যে লেপ বানানো হয়েছিল, এবার সেটা ১ ২০০ টাকা খরচ পড়ছে।

ব্যবসায়ী রমিজ আলী বলেন, ‘আমার দোকানে ১৫০টি ছোট-বড় আকারের লেপ-তোশক তৈরি আছে। প্রতিদিন ভাগ ভাগ করে রোদে এগুলো শুকিয়ে রাখি। তবে ধীরে ধীরে আমাদের বেচাকেনা বাড়ছে। শীত বাড়ার সঙ্গে বেচাকেনা আরও বেশি হবে বলে আশাবাদী।’

ব্যবসায়ী রংগু মিয়া বলেন, সারা বছর লেপের তেমন বেচা হয় না। শীত বাড়লে কিছুটা ভালো বেচা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত