কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শব্দকর সম্প্রদায়ের প্রায় ৯০ শতাংশ লোক হতদরিদ্র। বেশির ভাগেরই নেই নিজস্ব কোনো ভূমি। স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির নেই সুব্যবস্থা। দিনমজুর, কৃষিকাজ, রিকশা চালানো ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে চলে তাঁদের জীবন। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তবে এখানকার পিছিয়ে পড়া ১ হাজার ৪০০ শব্দকর পরিবারে এখনো লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। এ জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার, আদমপুর, পতনঊষার, রহিমপুরসহ ৯টি ইউনিয়নের ৩৭টি গ্রামে প্রায় ১ হাজার ৪০০ শব্দকর পরিবার বাস করে। একটা সময় তাঁদের পেশা ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানো। বর্তমানে এটি কমে শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। শব্দকর সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষের মধ্যে বেশির ভাগ দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানের চালক, কৃষিকাজ ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অভাবের কারণে এখানকার সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনো বাল্যবিবাহের প্রবণতা রয়েছে। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে এখনো অনগ্রসর সম্প্রদায় হিসেবে তাঁরা পরিচিত।
কমলগঞ্জ শব্দকর সমাজকল্যাণ উন্নয়ন পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, সম্প্রদায়টি এখনো শিক্ষায় পিছিয়ে। তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা সীমিত। প্রাথমিক পর্যন্ত ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করলেও মাধ্যমিকে এসে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশে। মাধ্যমিক বলতে সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর থেকে শুরু হয় বেঁচে থাকার সংগ্রাম। আর এসএসসি বা এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে, এমন সংখ্যা সারা উপজেলায় ১০-১২ জন হবে।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ‘ছোট ছোট ঘরে একেকটি এলাকায় ৬০ থেকে ১০০ পরিবার বসবাস করছে। তাঁদের বেশির ভাগেরই নিজস্ব কোনো ভূমি নেই। কয়েক পরিবার মিলে একটি বাথরুম ব্যবহার করে। তাঁদের অনেকে আবার খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানির অভাব তো রয়েছেই।
সরকারের পক্ষ থেকে স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন সম্প্রদায়ের নেতারা। তাঁদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি ও জীবনমান উন্নয়নে নির্দিষ্ট কোটাপদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মুন্সিবাজার ইউনিয়নের উপেন্দ্র শব্দকর বলেন, ‘বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই আমাদের। অভাবের কারণে বাচ্চাদেরও লেখাপড়া করানোর সুযোগ নেই। কাজ করলে কপালে ভাত জোটে, না হয় উপোস থাকতে হয়।’
কমলগঞ্জ শব্দকর সমাজকল্যাণ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র কর বলেন, ‘শব্দকর সম্প্রদায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনাহার ও অর্ধাহার আমাদের জীবনসঙ্গী। আমাদের বাসস্থান, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি কিংবা চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানকার মানুষের উন্নতির জন্য সরকারিভাবে প্রণোদনা ও বিশেষ কোটা বরাদ্দের আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে সমাজসেবী আব্দুল হান্নান বলেন, ‘দিন দিন শব্দকর সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু তাঁদের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে না। তাঁদের বেকারত্বের সমস্যা সমাধান করতে হবে। এদের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। সব নৃগোষ্ঠীকে সমানভাবে সরকারি সুবিধা দিলে তাঁদের সমস্যার সমাধান হতে পারে।’
কমলগঞ্জ শব্দকর সমাজকল্যাণ উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা লেখক গবেষক আহমদ সিরাজ বলেন, ‘অনুন্নত জনগোষ্ঠী হলো শব্দকর। অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মতো তাঁদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা জরুরি।’
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শব্দকর সম্প্রদায়ের প্রায় ৯০ শতাংশ লোক হতদরিদ্র। বেশির ভাগেরই নেই নিজস্ব কোনো ভূমি। স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির নেই সুব্যবস্থা। দিনমজুর, কৃষিকাজ, রিকশা চালানো ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে চলে তাঁদের জীবন। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তবে এখানকার পিছিয়ে পড়া ১ হাজার ৪০০ শব্দকর পরিবারে এখনো লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। এ জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার, আদমপুর, পতনঊষার, রহিমপুরসহ ৯টি ইউনিয়নের ৩৭টি গ্রামে প্রায় ১ হাজার ৪০০ শব্দকর পরিবার বাস করে। একটা সময় তাঁদের পেশা ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানো। বর্তমানে এটি কমে শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। শব্দকর সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষের মধ্যে বেশির ভাগ দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানের চালক, কৃষিকাজ ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অভাবের কারণে এখানকার সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনো বাল্যবিবাহের প্রবণতা রয়েছে। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে এখনো অনগ্রসর সম্প্রদায় হিসেবে তাঁরা পরিচিত।
কমলগঞ্জ শব্দকর সমাজকল্যাণ উন্নয়ন পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, সম্প্রদায়টি এখনো শিক্ষায় পিছিয়ে। তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা সীমিত। প্রাথমিক পর্যন্ত ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করলেও মাধ্যমিকে এসে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশে। মাধ্যমিক বলতে সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর থেকে শুরু হয় বেঁচে থাকার সংগ্রাম। আর এসএসসি বা এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে, এমন সংখ্যা সারা উপজেলায় ১০-১২ জন হবে।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ‘ছোট ছোট ঘরে একেকটি এলাকায় ৬০ থেকে ১০০ পরিবার বসবাস করছে। তাঁদের বেশির ভাগেরই নিজস্ব কোনো ভূমি নেই। কয়েক পরিবার মিলে একটি বাথরুম ব্যবহার করে। তাঁদের অনেকে আবার খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানির অভাব তো রয়েছেই।
সরকারের পক্ষ থেকে স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন সম্প্রদায়ের নেতারা। তাঁদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি ও জীবনমান উন্নয়নে নির্দিষ্ট কোটাপদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মুন্সিবাজার ইউনিয়নের উপেন্দ্র শব্দকর বলেন, ‘বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই আমাদের। অভাবের কারণে বাচ্চাদেরও লেখাপড়া করানোর সুযোগ নেই। কাজ করলে কপালে ভাত জোটে, না হয় উপোস থাকতে হয়।’
কমলগঞ্জ শব্দকর সমাজকল্যাণ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র কর বলেন, ‘শব্দকর সম্প্রদায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনাহার ও অর্ধাহার আমাদের জীবনসঙ্গী। আমাদের বাসস্থান, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি কিংবা চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানকার মানুষের উন্নতির জন্য সরকারিভাবে প্রণোদনা ও বিশেষ কোটা বরাদ্দের আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে সমাজসেবী আব্দুল হান্নান বলেন, ‘দিন দিন শব্দকর সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু তাঁদের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে না। তাঁদের বেকারত্বের সমস্যা সমাধান করতে হবে। এদের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। সব নৃগোষ্ঠীকে সমানভাবে সরকারি সুবিধা দিলে তাঁদের সমস্যার সমাধান হতে পারে।’
কমলগঞ্জ শব্দকর সমাজকল্যাণ উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা লেখক গবেষক আহমদ সিরাজ বলেন, ‘অনুন্নত জনগোষ্ঠী হলো শব্দকর। অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মতো তাঁদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা জরুরি।’
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে