আজিজার রহমান (জয়পুরহাট) ক্ষেতলাল
রেহেনা বেগম। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পড়েন জ্বরে। জ্বর থেকে পোলিও। আর তাতেই ডান পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায় তাঁর। তবে তিনি থেমে থাকেনি।
বাবার নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে আলিম ডিগ্রি অর্জন করেন। ফাজিলেও ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের কারণে শেষ করতে পারেননি লেখাপড়া। বিয়ের পরেই ভাগ্যটা নিজ হাতে গড়েন রেহেনা বেগম। ক্ষেতলাল উপজেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন বিষয়ে নেন প্রশিক্ষণ। তাতেই পান সাফল্য।
সাফল্যের ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার রেহেনা বেগম গড়ে তোলেন ৭৭ শতক জমিতে হাঁস-মুরগির খামার। সঙ্গে গরু-ছাগল ও কবুতরের খামার। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ২০১০ সালে সিটি ব্যাংকের সফল উদ্যোক্তার পুরস্কার। দেশের শ্রেষ্ঠ খামারি হিসেবে ৫ হাজার ডলার (সাড়ে ৩ লাখ) টাকাও পান তিনি।
জানা গেছে, রেহেনা বেগম ১৯৮১ সালে উপজেলার শিবপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আক্রান্ত হন পলিও রোগে। তাতেই ডান পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। সেই থেকে খুঁড়িয়ে হাঁটাচলা করেন তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে করেন আলিম পাস। ফাজিল পাসের আগেই বাবা বিয়ে দেন মো. রশিদ মোল্লার সঙ্গে। বর্তমানে স্বামীও অসুস্থ। তবে দুই ছেলের এক ছেলে স্নাতকে পড়ছেন। অন্য ছেলে সৌদি আরবে গাড়িচালকের চাকরি করছেন। খামারের আয়ে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা, ছেলের পড়াশোনা ও সংসার চলছে রেহেনার।
রেহেনার বিশাল হাঁসের খামারে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির এক হাজার হাঁস। প্রতিদিন ৯০০ থেকে সাড়ে ৯০০ ডিম আসে খামার থেকে। এ ছাড়া রয়েছে ছয়টি ষাঁড়, চারটি ছাগল; আর দেশি জাতের দুই শতাধিক কবুতর। প্রতিদিন হাঁসের খাবার খরচ বাদ দিয়ে ডিম থেকেই তাঁর আয় হয় ১ হাজার ৮০০ টাকা। মাসে প্রায় ৫৪ হাজার টাকা।
রেহেনা বেগম বলেন, ‘পাঁচ শতক জায়গায় বাড়ি ছাড়া আর কিছু ছিল না। খামারের লভ্যাংশ থেকে ৭৭ শতক জমি কিনেছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রেহেনা বেগমের অদম্য চেষ্টা আর পরিশ্রম তাঁকে সফল উদ্যোক্তা বানিয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে।’
রেহেনা বেগম। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পড়েন জ্বরে। জ্বর থেকে পোলিও। আর তাতেই ডান পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায় তাঁর। তবে তিনি থেমে থাকেনি।
বাবার নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে আলিম ডিগ্রি অর্জন করেন। ফাজিলেও ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের কারণে শেষ করতে পারেননি লেখাপড়া। বিয়ের পরেই ভাগ্যটা নিজ হাতে গড়েন রেহেনা বেগম। ক্ষেতলাল উপজেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালন বিষয়ে নেন প্রশিক্ষণ। তাতেই পান সাফল্য।
সাফল্যের ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার রেহেনা বেগম গড়ে তোলেন ৭৭ শতক জমিতে হাঁস-মুরগির খামার। সঙ্গে গরু-ছাগল ও কবুতরের খামার। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ২০১০ সালে সিটি ব্যাংকের সফল উদ্যোক্তার পুরস্কার। দেশের শ্রেষ্ঠ খামারি হিসেবে ৫ হাজার ডলার (সাড়ে ৩ লাখ) টাকাও পান তিনি।
জানা গেছে, রেহেনা বেগম ১৯৮১ সালে উপজেলার শিবপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আক্রান্ত হন পলিও রোগে। তাতেই ডান পা বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। সেই থেকে খুঁড়িয়ে হাঁটাচলা করেন তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে করেন আলিম পাস। ফাজিল পাসের আগেই বাবা বিয়ে দেন মো. রশিদ মোল্লার সঙ্গে। বর্তমানে স্বামীও অসুস্থ। তবে দুই ছেলের এক ছেলে স্নাতকে পড়ছেন। অন্য ছেলে সৌদি আরবে গাড়িচালকের চাকরি করছেন। খামারের আয়ে অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা, ছেলের পড়াশোনা ও সংসার চলছে রেহেনার।
রেহেনার বিশাল হাঁসের খামারে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির এক হাজার হাঁস। প্রতিদিন ৯০০ থেকে সাড়ে ৯০০ ডিম আসে খামার থেকে। এ ছাড়া রয়েছে ছয়টি ষাঁড়, চারটি ছাগল; আর দেশি জাতের দুই শতাধিক কবুতর। প্রতিদিন হাঁসের খাবার খরচ বাদ দিয়ে ডিম থেকেই তাঁর আয় হয় ১ হাজার ৮০০ টাকা। মাসে প্রায় ৫৪ হাজার টাকা।
রেহেনা বেগম বলেন, ‘পাঁচ শতক জায়গায় বাড়ি ছাড়া আর কিছু ছিল না। খামারের লভ্যাংশ থেকে ৭৭ শতক জমি কিনেছি।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘রেহেনা বেগমের অদম্য চেষ্টা আর পরিশ্রম তাঁকে সফল উদ্যোক্তা বানিয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে