আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ির জাহানারা বেগম সংসারে একটু সচ্ছলতার আশায় ২০১১ সালের নভেম্বরে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পপুলার ডিপিএস প্রকল্পের অধীনে মাসে ১০০ টাকা জমা দেওয়ার একটি ডিপিএস (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) খোলেন। এক যুগ ধরে প্রতি মাসে কিস্তি চালিয়ে যান।
এর মধ্যে জাহানারার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। দুই সন্তানের পড়াশোনাসহ সংসারের খরচ জোগাতে বাধ্য হয়ে তাঁকে অন্যের বাসায় কাজ নিতে হয়। তবে আশা ছিল যে ডিপিএসের টাকা পেলে কিছু একটা করে সংসারের হাল ঘোরাবেন। কিন্তু সেই ডিপিএসের মেয়াদ ২০২৩ সালের নভেম্বরে পূর্ণ হলেও এখনো টাকার মুখ দেখেননি জাহানারা।
দিনাজপুরে শুধু জাহানারা নয়, তাঁর মতো ৪ শতাধিক গ্রাহক পপুলার ডিপিএসে জমা করা টাকা পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাঁরা দিনের পর দিন কর্মকর্তাদের পেছনে ঘুরেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। যদিও তিন থেকে ছয় মাস পরপর পাঁচ থেকে ১০ জনের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে, সেখানে আবার লাভের অংশ পুনরায় ডিপিএসের নামে বাধ্যতামূলকভাবে কেটে নিয়ে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর ১১ জনের চেক ফেরত দেওয়ার সময় লভ্যাংশের টাকা বাধ্যতামূলকভাবে কেটে ডিপিএস করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এই চেকগুলো সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের দিতে গেলে কোম্পানির কর্মকর্তারা গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়েন। পরে তাঁরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় চেকগুলো হস্তান্তর করে দ্রুত সটকে পড়েন।
কথা হয় টাকা ফেরত পাওয়া বিরল উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষক আসাদুল হকের সঙ্গে। তাঁর ১২ বছর মেয়াদি মাসে ৫০০ টাকা জমা দেওয়া ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২০ সালে। চলতি বছরের মার্চে তিনি ৬৪ হাজার ১৭৬ টাকার চেক পান। যদিও কোম্পানির নিয়মানুযায়ী তাঁর ১ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি কিস্তি পরিশোধ না থাকায় (যদিও তিনি সব কিস্তি দিয়েছেন বলে জানান) কোম্পানি থেকে ৯৪ হাজার ১৭৬ টাকার চেক পাওনা হলেও কোম্পানি ৩০ হাজার টাকা বাধ্যতামূলকভাবে ডিপিএস দেখিয়ে বাকি টাকার চেক দেয়। তবে এখনো ওই ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার রসিদ তিনি পাননি।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বাহাদুর বাজারে ভাড়া না দেওয়ার কারণে পপুলার ডিপিএস প্রকল্পের অফিসটি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে জানতে প্রকল্পের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মাজহারুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে ডিপিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু মুঈন শাহিন জানান, কোনো গ্রাহক টাকা ফেরত পাননি ও টাকা ফেরত পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন—এ ধরনের কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই। কোনো গ্রাহক তাঁর কাছে অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি। কোনো অভিযোগ থাকলে স্থানীয় ইনচার্জ মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি। মাজহারুল ফোন রিসিভ করেন না এবং দিনাজপুরের অফিস গত ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে জানালে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, পপুলার ইনস্যুরেন্স সব সময় গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়। নিয়ম মেনে স্থানীয় কর্মকর্তাকে ফাইল পাঠাতে বা গ্রাহককে হেড অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ির জাহানারা বেগম সংসারে একটু সচ্ছলতার আশায় ২০১১ সালের নভেম্বরে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পপুলার ডিপিএস প্রকল্পের অধীনে মাসে ১০০ টাকা জমা দেওয়ার একটি ডিপিএস (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) খোলেন। এক যুগ ধরে প্রতি মাসে কিস্তি চালিয়ে যান।
এর মধ্যে জাহানারার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। দুই সন্তানের পড়াশোনাসহ সংসারের খরচ জোগাতে বাধ্য হয়ে তাঁকে অন্যের বাসায় কাজ নিতে হয়। তবে আশা ছিল যে ডিপিএসের টাকা পেলে কিছু একটা করে সংসারের হাল ঘোরাবেন। কিন্তু সেই ডিপিএসের মেয়াদ ২০২৩ সালের নভেম্বরে পূর্ণ হলেও এখনো টাকার মুখ দেখেননি জাহানারা।
দিনাজপুরে শুধু জাহানারা নয়, তাঁর মতো ৪ শতাধিক গ্রাহক পপুলার ডিপিএসে জমা করা টাকা পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাঁরা দিনের পর দিন কর্মকর্তাদের পেছনে ঘুরেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। যদিও তিন থেকে ছয় মাস পরপর পাঁচ থেকে ১০ জনের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে, সেখানে আবার লাভের অংশ পুনরায় ডিপিএসের নামে বাধ্যতামূলকভাবে কেটে নিয়ে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর ১১ জনের চেক ফেরত দেওয়ার সময় লভ্যাংশের টাকা বাধ্যতামূলকভাবে কেটে ডিপিএস করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এই চেকগুলো সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের দিতে গেলে কোম্পানির কর্মকর্তারা গ্রাহকদের তোপের মুখে পড়েন। পরে তাঁরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় চেকগুলো হস্তান্তর করে দ্রুত সটকে পড়েন।
কথা হয় টাকা ফেরত পাওয়া বিরল উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের কৃষক আসাদুল হকের সঙ্গে। তাঁর ১২ বছর মেয়াদি মাসে ৫০০ টাকা জমা দেওয়া ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয় ২০২০ সালে। চলতি বছরের মার্চে তিনি ৬৪ হাজার ১৭৬ টাকার চেক পান। যদিও কোম্পানির নিয়মানুযায়ী তাঁর ১ লাখ ৫ হাজার টাকার চেক পাওয়ার কথা। কিন্তু একটি কিস্তি পরিশোধ না থাকায় (যদিও তিনি সব কিস্তি দিয়েছেন বলে জানান) কোম্পানি থেকে ৯৪ হাজার ১৭৬ টাকার চেক পাওনা হলেও কোম্পানি ৩০ হাজার টাকা বাধ্যতামূলকভাবে ডিপিএস দেখিয়ে বাকি টাকার চেক দেয়। তবে এখনো ওই ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার রসিদ তিনি পাননি।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বাহাদুর বাজারে ভাড়া না দেওয়ার কারণে পপুলার ডিপিএস প্রকল্পের অফিসটি গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে জানতে প্রকল্পের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মাজহারুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
যোগাযোগ করা হলে ডিপিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবু মুঈন শাহিন জানান, কোনো গ্রাহক টাকা ফেরত পাননি ও টাকা ফেরত পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন—এ ধরনের কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই। কোনো গ্রাহক তাঁর কাছে অভিযোগ করেননি বলেও জানান তিনি। কোনো অভিযোগ থাকলে স্থানীয় ইনচার্জ মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি। মাজহারুল ফোন রিসিভ করেন না এবং দিনাজপুরের অফিস গত ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে জানালে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, পপুলার ইনস্যুরেন্স সব সময় গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়। নিয়ম মেনে স্থানীয় কর্মকর্তাকে ফাইল পাঠাতে বা গ্রাহককে হেড অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪