শিগগির নগরীর ফুটপাতগুলোকে অবৈধ দখলদারমুক্ত করে জনসাধারণে চলাচলোপযোগী করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘ফুটপাত যতবারই দখলমুক্ত করা হয়েছে ততবারই বেদখল হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ হয়েছে। তাঁরা আমাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’

গতকাল মঙ্গলবার চসিকের আন্দরকিল্লার পুরোনো নগর ভবনে কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে এ সব কথা বলেন মেয়র। চসিকের ষষ্ঠ পরিষদের দশম সাধারণ সভায় তিনি সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন।

সভায় নগরীতে মশার উপদ্রব ঠেকাতে কার্যকর ওষুধ ছিটানোসহ নালা-নর্দমা ও ঝোপ-ঝাড় পরিচ্ছন্নতার অভিযান আগামীকাল (আজ) থেকে শুরু হবে বলেও জানানো হয়। পাশাপাশি যে সকল সড়ক, গলি-উপগলিতে বৃষ্টিজনিত কারণে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে তা প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কারে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশনা দেন মেয়র।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি পরিচ্ছন্ন নগরী দেখতে চাই। পরিচ্ছন্ন বিভাগে কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করার পরেও চট্টগ্রাম পরিপূর্ণভাবে পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠতে পারেনি। এটি কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়। পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কাজে যাঁরা নিয়োজিত আছেন, তাঁরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।’ কোনো ধরনের গাফিলতি চোখে পড়লে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মেয়র। তিনি জানান, বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়, চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্থাপনাগুলোয় নান্দনিক আলোকসজ্জা থাকবে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার ও খেতাব প্রাপ্ত ১৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংবলিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হবে বলেও জানান তিনি।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।