রবিউল ইসলাম, অভয়নগর (যশোর)
যশোর জেলার অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর ও খুলনার ফুলতলার নিম্নাঞ্চল নিয়ে পরিচিত এলাকার নাম ভবদহ। যেখানে বছরের প্রায় ৬ মাস জলাবদ্ধ থাকে। তবে গত বছরের জলাবদ্ধতার ক্ষত এখনো ম্লান হয়নি। অনেকের উঠানে এখনো পানি, স্কুল-কলেজের মাঠগুলো ব্যবহার অনুপযোগী, সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য, বিলগুলোতে কোমরপানি।
একের পর এক আন্দোলন, প্রতিশ্রুতি আর ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ভবদহবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের ফুলঝুরি। এর মাঝে ফের আকাশে মেঘের ঘনঘটা। মাস পেরোলেই আবার বর্ষাকাল।
দিনের পর দিন যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহ অধ্যুষিত লাখ লাখ মানুষের উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। এবার তাঁদের দুর্গতি আরও ভয়াবহ হবে এমনটাই আশঙ্কা করেছেন ভবদহবাসী।
এক যুগের অধিক সময় জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত এ অঞ্চলের হাজার হাজার বিঘার কয়েকটি বিলে ফসল ফলাতে ব্যর্থ কৃষকেরা। ফলে সব হারানো এ বৃহৎ অঞ্চলের মানুষের কান্নার যেন শেষ নেই।
ভবদহ অধ্যুষিত জলাবদ্ধ এলাকার বাসিন্দা বিরাট চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা জলে ডুবি, আর নেতারা আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়ে যান। আমরা যেন খেলার পুতুল বনে গেছি। ভবদহকে একটা ব্যবসাকেন্দ্র বানিয়ে নিয়েছে কতিপয় নেতা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আমরা প্রতিবছর ত্রাণের জন্য লাইন দিতে চাই না। ত্রাণ চাই না। আমরা জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী পরিত্রাণ চাই। এখনো গত বছরের পানি কমেনি। আর এক মাস পরেই বর্ষাকাল। এবার ভয়াবহ জলাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হবে।’
একই আক্ষেপ প্রকাশ করেন আন্ধা গ্রামের শ্যামল বৈরাগী, চলিশিয়ার আব্দুর রব, ডুমুর তলার মৃণাল বৈরাগীসহ অনেকে।
ভুক্তভোগীসহ ভবদহ জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় গঠিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলছেন, নদীতে জোয়ারাধার (টিআরএম) বাস্তবায়ন করতে পারলে ভবদহের লাখ লাখ লোক জলাবদ্ধতার হাত থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পেত। এ দাবিতে যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করে আসছে বেশ কিছু সংগঠন ও জলাবদ্ধতার শিকার ভুক্তভোগী লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু অদ্যাবধি টিআরএম বাস্তবায়ন হয়নি। উপরন্তু টিআরএম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে স্বার্থান্বেষী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাউবো কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, তারপর থেকেই টিআরএম বাস্তবায়নে পাউবো কর্তাদের অনীহা দেখা দিয়েছে। তাঁরা রীতিমতো টিআরএমের পক্ষে যেতে নারাজ। গতানুগতিক সেচযন্ত্রের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান দেখছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। আর এ কারণে দীর্ঘ দেড় যুগেও টিআরএম বাস্তবায়নের পথে বাঁধাগুলো চিহ্নিত করে প্রকাশ করা হয়নি। বা কারণ অনুসন্ধান করা হয়নি। ফলে ভুক্তভোগীদের পাউবোর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসন আন্দোলনের নেতা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। ভবদহের জলাবদ্ধ মানুষকে পুঁজি করে পাউবো ও কতিপয় স্বার্থান্বেষী নেতাকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানাতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচির মাধ্যমে ভবদহের জলাবদ্ধ মানুষকে রক্ষায় কাজ করে যেতে হবে।’
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিআরএমের মাধ্যমে পরিকল্পিত উপায়ে নদীগুলোতে জোয়ার-ভাটা চালু হয়। জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি নির্দিষ্ট বিলে পড়ে। ফলে বিল উঁচু হয়। পাশাপাশি ভাটায় স্বচ্ছ পানির স্রোতে নাব্যতা ফিরে পায় নদীগুলো। এ ছাড়া দর্শনায় মাথাভাঙ্গা-পদ্মার সঙ্গে ভৈরব নদের সংযোগ পুনঃস্থাপন করে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার করতে পারলে নদীগুলো প্রবাহ ফিরে পাবে। নিরসন হবে জলাবদ্ধতার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে গত বছরের জানুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ২০টি সেচযন্ত্র দিয়ে সেচ চলছে। প্রতিটি সেচযন্ত্রের ক্ষমতা ৫ কিউসেক। সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচ সফল হয়েছে।’
তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হরি নদে দুই থেকে আড়াই মিটার পর্যন্ত নাব্যতা বেড়েছে। বড় পরিসরে সেচের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।’
যশোর জেলার অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর ও খুলনার ফুলতলার নিম্নাঞ্চল নিয়ে পরিচিত এলাকার নাম ভবদহ। যেখানে বছরের প্রায় ৬ মাস জলাবদ্ধ থাকে। তবে গত বছরের জলাবদ্ধতার ক্ষত এখনো ম্লান হয়নি। অনেকের উঠানে এখনো পানি, স্কুল-কলেজের মাঠগুলো ব্যবহার অনুপযোগী, সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য, বিলগুলোতে কোমরপানি।
একের পর এক আন্দোলন, প্রতিশ্রুতি আর ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ভবদহবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের ফুলঝুরি। এর মাঝে ফের আকাশে মেঘের ঘনঘটা। মাস পেরোলেই আবার বর্ষাকাল।
দিনের পর দিন যশোরের দুঃখখ্যাত ভবদহ অধ্যুষিত লাখ লাখ মানুষের উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে। এবার তাঁদের দুর্গতি আরও ভয়াবহ হবে এমনটাই আশঙ্কা করেছেন ভবদহবাসী।
এক যুগের অধিক সময় জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত এ অঞ্চলের হাজার হাজার বিঘার কয়েকটি বিলে ফসল ফলাতে ব্যর্থ কৃষকেরা। ফলে সব হারানো এ বৃহৎ অঞ্চলের মানুষের কান্নার যেন শেষ নেই।
ভবদহ অধ্যুষিত জলাবদ্ধ এলাকার বাসিন্দা বিরাট চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা জলে ডুবি, আর নেতারা আশ্বাসের পর আশ্বাস দিয়ে যান। আমরা যেন খেলার পুতুল বনে গেছি। ভবদহকে একটা ব্যবসাকেন্দ্র বানিয়ে নিয়েছে কতিপয় নেতা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আমরা প্রতিবছর ত্রাণের জন্য লাইন দিতে চাই না। ত্রাণ চাই না। আমরা জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ী পরিত্রাণ চাই। এখনো গত বছরের পানি কমেনি। আর এক মাস পরেই বর্ষাকাল। এবার ভয়াবহ জলাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হবে।’
একই আক্ষেপ প্রকাশ করেন আন্ধা গ্রামের শ্যামল বৈরাগী, চলিশিয়ার আব্দুর রব, ডুমুর তলার মৃণাল বৈরাগীসহ অনেকে।
ভুক্তভোগীসহ ভবদহ জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় গঠিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বলছেন, নদীতে জোয়ারাধার (টিআরএম) বাস্তবায়ন করতে পারলে ভবদহের লাখ লাখ লোক জলাবদ্ধতার হাত থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পেত। এ দাবিতে যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করে আসছে বেশ কিছু সংগঠন ও জলাবদ্ধতার শিকার ভুক্তভোগী লাখ লাখ মানুষ। কিন্তু অদ্যাবধি টিআরএম বাস্তবায়ন হয়নি। উপরন্তু টিআরএম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে স্বার্থান্বেষী একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাউবো কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, তারপর থেকেই টিআরএম বাস্তবায়নে পাউবো কর্তাদের অনীহা দেখা দিয়েছে। তাঁরা রীতিমতো টিআরএমের পক্ষে যেতে নারাজ। গতানুগতিক সেচযন্ত্রের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান দেখছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। আর এ কারণে দীর্ঘ দেড় যুগেও টিআরএম বাস্তবায়নের পথে বাঁধাগুলো চিহ্নিত করে প্রকাশ করা হয়নি। বা কারণ অনুসন্ধান করা হয়নি। ফলে ভুক্তভোগীদের পাউবোর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসন আন্দোলনের নেতা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। ভবদহের জলাবদ্ধ মানুষকে পুঁজি করে পাউবো ও কতিপয় স্বার্থান্বেষী নেতাকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানাতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচির মাধ্যমে ভবদহের জলাবদ্ধ মানুষকে রক্ষায় কাজ করে যেতে হবে।’
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিআরএমের মাধ্যমে পরিকল্পিত উপায়ে নদীগুলোতে জোয়ার-ভাটা চালু হয়। জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি নির্দিষ্ট বিলে পড়ে। ফলে বিল উঁচু হয়। পাশাপাশি ভাটায় স্বচ্ছ পানির স্রোতে নাব্যতা ফিরে পায় নদীগুলো। এ ছাড়া দর্শনায় মাথাভাঙ্গা-পদ্মার সঙ্গে ভৈরব নদের সংযোগ পুনঃস্থাপন করে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার করতে পারলে নদীগুলো প্রবাহ ফিরে পাবে। নিরসন হবে জলাবদ্ধতার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে গত বছরের জানুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ২০টি সেচযন্ত্র দিয়ে সেচ চলছে। প্রতিটি সেচযন্ত্রের ক্ষমতা ৫ কিউসেক। সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচ সফল হয়েছে।’
তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হরি নদে দুই থেকে আড়াই মিটার পর্যন্ত নাব্যতা বেড়েছে। বড় পরিসরে সেচের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে