‘ধনী বানানোর’ ধাতব মুদ্রা ও আংটি বেচতেন তাঁরা

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২২, ১০: ৫৬
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১৫: ১৯

মানুষকে সুখী আর ধনী বানানোর ব্যবসা তাঁদের। বিক্রি করতেন ধাতব মুদ্রা, যা কাছে থাকলে ‘অলৌকিক ক্ষমতা’ আসবে। অঢেল ধনসম্পদ হবে। শুধু তা-ই নয়, ওই মুদ্রা নদীর ধারে পুঁতে রাখলে ভেসে আসবে প্রচুর স্বর্ণমুদ্রা। এ ছাড়া রয়েছে ‘অলৌকিক’ আংটি, যা আঙুলে থাকলে খুব সহজেই ধনী হওয়া যাবে। এমন কথায় আকৃষ্ট হয়ে সাধারণ মানুষ কেনেন ধাতব মুদ্রা বা আংটি।

তবে ধনী হওয়ার আশায় এগুলো কিনে সবাই হন ক্ষতিগ্রস্ত। মানুষকে বোকা বানিয়ে ওগুলো বিক্রি করাই ওই চক্রের সদস্যদের পেশা। এভাবে তাঁরা হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে ওই প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১২)।

এসব নিশ্চিত করে বগুড়া র‍্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) নজরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধাতব মুদ্রা ও আংটি দিয়ে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। একই সঙ্গে তাঁরা হাতিয়ে নিয়েছেন বড় অঙ্কের টাকা। তাঁরা বিভিন্ন অলৌকিক কথা বলে মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। তাঁদের কথা বিশ্বাস করে প্রতারিত হতেন সাধারণ মানুষ।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, সোমবার রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকার বিআরটিসি ট্রাক ডিপোর সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তাঁদের কাছ থেকে সাতটি ধাতব মুদ্রা ও দুটি আংটি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তাঁদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া সদরের সেউজগাড়ী আমতলা এলাকার কোরবান আলী, নামাজগড় (টিনপট্টি মোড়) এলাকার বাসিন্দা উৎপল দত্ত ও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চাপাচি গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম।

নজরুল ইসলাম আরও জানান, ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র‍্যাবের এ ধরনের অভিযান কার্যক্রম চলমান থাকবে ও ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত