রমজানে দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব

ইজাজুল হক, ঢাকা
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ২১: ০৩
Thumbnail image

দোয়া শব্দের অর্থ চাওয়া, ডাকা বা আরজি পেশ করা। আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে কোনো কিছু চাওয়াকে ইসলামের পরিভাষায় ‘দোয়া’ বলা হয়। আর মোনাজাত শব্দের অর্থ একান্ত ব্যক্তিগত কথাবার্তা। আল্লাহর কাছে ব্যক্তিগতভাবে নীরবে-নিভৃতে আরজি পেশ করা হয় বলে দোয়াকে মোনাজাতও বলা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে বিনয়ের সঙ্গে এবং গোপনে ডাকো, তিনি সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ: ৫৫)

দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলার অন্যতম প্রিয় আমল এটি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহর কাছে কল্যাণ চাওয়ার নির্দেশ দিয়ে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০) মহানবী (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে চাওয়ার চেয়ে অধিক সম্মানের বস্তু দ্বিতীয়টি নেই।’ (ইবনে মাজাহ)

রমজান আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ লাভের মাস। গুনাহসমূহ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্তির মাস। জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্তির মাস। তাই এই মাস আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ ও ক্ষমা চাওয়ার মোক্ষম সময়। জীবনের যাবতীয় গুনাহ থেকে তওবা করার সময় এখনই। হাদিসে এসেছে, ‘(রমজানে) একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকেন, হে কল্যাণের প্রত্যাশী, অগ্রসর হও। হে অকল্যাণের প্রার্থী, থেমে যাও। আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)

রোজাদার আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয়ভাজন। রোজা অবস্থায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা হলে আল্লাহ তা কবুল করেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যতক্ষণ না ইফতার করে এবং মজলুমের দোয়া।’ (ইবনে মাজাহ) তাই রমজানে বেশি বেশি আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজনগুলো চাওয়া এবং গুনাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত