Ajker Patrika

মিঠাছড়ার শীতলপাটি যাচ্ছে বিদেশেও, বাড়ছে সুনাম

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মে ২০২২, ১৫: ৫০
মিঠাছড়ার শীতলপাটি যাচ্ছে বিদেশেও, বাড়ছে সুনাম

চট্টগ্রামে শীতলপাটির সবচেয়ে বড় বাজার মিরসরাই উপজেলার মিঠাছড়া বাজার। সারা দেশ থেকে এই বাজারে ব্যবসায়ীরা আসেন নানা রকম নকশা আর কারুকার্যশোভিত শীতলপাটি সংগ্রহে। সপ্তাহে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হয় এই বাজারের বিকিকিনি। চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত। ইজারাদারের তথ্যমতে এ বাজারে শীতলপাটি বিক্রি হয় ১৫ লাখ টাকারও বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের অন্যতম পেশা শীতলপাটি বোনা। বর্ষা মৌসুমে বাইরে গৃহস্থালি কাজের চাপ কম থাকায় নারীরা ব্যস্ত থাকেন শীতলপাটি বোনার কাজে। এর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় পাটিবেত। ৬ ফুট প্রস্থ এবং সাত ফুট দৈর্ঘ্যের একটি শীতলপাটি বুনতে সময় লাগে ৫ থেকে ৭ দিন। ভালো মানের একটি শীতলপাটি বিক্রি হয় ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকায়।

বামনসুন্দর গ্রামের কহিনুর বেগম বলেন, পাটিপাতা সংগ্রহ করে প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। এরপর আবরণ ছাড়িয়ে তোলা হয় দুই রকমের বেত। তারপর গরম পানিতে সেদ্ধ করে রং দিয়ে রাঙানো হয়। রোদে শুকানোর পর শুরু হয় পাটি বোনা। শীতলপাটিতে গাছগাছালি, পাখি, মসজিদ, হরিণ, বাঘ, ফুল, হাতি, ঘোড়ার আকৃতি দিয়েও বোনা হয়। তবে পরিশ্রমের তুলনায় শীতলপাটির দাম তেমন বাড়েনি বলে দাবি করেন শীতলপাটির এই শিল্পী।

মিঠাছড়া বাজারে শীতলপাটি বিক্রি করতে আসা উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হোসনে আরা জানান, কারুকাজ করা একটি শীতলপাটি বুনতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগে। পাটিবেত ও রং কিনতে খরচ পড়ে ৫৫০ টাকার মতো। তিনি ২ হাজার ২০০ টাকায় দুটি শীতলপাটি বিক্রি করেছেন।

উপজেলার মিঠাছড়া বাজারে শীতলপাটি কিনতে আসা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, মিঠাছড়া বাজারের শীতলপাটির মান খুবই ভালো। এই বাজারের শীতলপাটি দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। দেশে আসছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।

মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম দিদার বলেন, মিরসরাইয়ের শীতলপাটির চাহিদা সারা দেশে রয়েছে। এখানকার পাটির গুণগত মান ভালো। দেশে-বিদেশে এই বাজারের শীতলপাটির সুনাম রয়েছে। শীতলপাটি বেচাকেনার জন্য মিঠাছড়া বাজারে একটি নতুন শেড নির্মাণ করবেন বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

খামেনিকে চিঠি দিয়ে যে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী বাধ্যতামূলক ছুটিতে, মামলা এখন আদালতের এখতিয়ারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত