রিমন রহমান, রাজশাহী
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বশির আলী (৬৫)। মাথায় জখম নিয়ে ছটফট করছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে তাঁকে আনা হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে। কিন্তু সেখানে বশিরের মাথায় সেলাই দেওয়ার মতো কোনো সুবিধা নেই। ট্রলিতে বশিরকে শুইয়ে রেখে দৌড়াদৌড়ি করে ভর্তির প্রক্রিয়া সারলেন ছেলে আনারুল ইসলাম।
এরপর বশিরকে নেওয়া হলো হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। চিকিৎসক যখন বশিরের চিকিৎসা শুরু করলেন, তখন ১০টা বেজে ৩ মিনিট। আহত বশিরের বাড়ি বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম গ্রামে। তাঁর ছেলে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এত দূর থেকে রোগী এনেও জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসা পেলাম না। মাথা থেকে রক্ত ঝরছিলই। ওয়ার্ডে নেওয়ার পর চিকিৎসা শুরু হলো। গুরুতর আহত রোগীদের অন্তত জরুরি বিভাগেই সেবা দেওয়া দরকার।’
আমিনুল ইসলাম বলেন, জরুরি বিভাগে রোগী আনার পর লাইনে দাঁড়িয়ে প্রথমে টিকিট কাটা, সেই টিকিট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগীর সমস্যা জানানো, এরপর আরেক দফা লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্তির ফরম কিনে আনা, জরুরি বিভাগ ও ওয়ার্ডে মোট তিনবার নাম এন্ট্রি করানো—সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট চলে গেছে। কোনো চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি বিভাগে রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, রামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থেকে নানা প্রক্রিয়া শেষে ওয়ার্ডে রোগী না নেওয়া পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা হয় না। এই সময়ের মধ্যে কোনো কোনো রোগী মারাও যান। তখন চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বজনেরা।
২০ অক্টোবর রাতে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ারকে নেওয়া হলে তাঁরও জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসা হয়নি। জরুরি বিভাগ থেকে শাহরিয়ারকে পাঠানো হয়েছিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। এরপরই হাসপাতালে তুলকালাম ঘটে যায়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিয়ে হাসপাতাল ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাবি প্রশাসন
এখন মুখোমুখি।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগে নার্সদের বসার জায়গা আছে। বিভাগের ভেতরে মেডিকেল অফিসারের কক্ষ। জরুরি বিভাগের তিনটি কক্ষে এখন রোগী ভর্তি রাখা হচ্ছে। ফলে জরুরি চিকিৎসা করার জায়গা নেই। জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে করা আছে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড। এটি ক্যাজুয়ালটি ইউনিট-১ এর পুরুষ রোগীদের ওয়ার্ড। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডটি ক্যাজুয়ালটি ইউনিট-১ এর নারীদের ওয়ার্ড। এর পাশে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)। ওয়ার্ড হিসেবে রোগী ভর্তি রাখার কারণে সেখানে জরুরি চিকিৎসা করা হয় না। রোগী পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওয়ার্ডে।
এদিকে ওয়ার্ড পর্যন্ত পৌঁছতেই কোনো কোনো রোগী মারা যান। পাবনা সদর উপজেলার কৃষ্ণদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা দবি সরদার (৬০) স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরপর নানা প্রক্রিয়া শেষে দবি সরদার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছান ৮টা ৩৬ মিনিটে। এ সময় একজন নার্স ওয়ার্ডের বাইরেই তাঁর হাতে ক্যানুলা লাগিয়ে দেন। একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক এসে তাঁকে ওয়ার্ডে নিতে বলেন।
৮টা ৪২ মিনিটে দবিকে ওয়ার্ডের মেঝেতে নিয়ে শোয়ানো হয়। অক্সিজেন দিতে হবে বলে চিকিৎসকের কথামতো দবির জামাতা আকমল হোসেন পাইপ কিনে আনেন। এর মধ্যে দবিকে একটি স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু অক্সিজেন দেওয়ার আর সুযোগ হয়নি। দবি মারা গেছেন। আকমল হোসেন বলেন, জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা শুরু হলে হয়তো তাঁর শ্বশুর বেঁচে যেতেন। জরুরি বিভাগ পর্যন্ত এসেও এক ঘণ্টার বেশি চিকিৎসা না হওয়ার আক্ষেপ তাঁর সারা জীবন থেকে যাবে।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের ইউনিট-২ এর প্রধান আবদুস সোবহান বলেন, ‘জরুরি বিভাগে দুর্ঘটনাকবলিত ও জখম হওয়া রোগীদের চিকিৎসা শুরু হওয়াটা খুব দরকার। প্রতিটি হাসপাতালেই জরুরি বিভাগে একটা ক্যাজুয়ালটি বিভাগ থাকে। সেখানে রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু আমাদের এখানে হয় না। রোগীকে ওয়ার্ড পর্যন্ত যেতে হয়। আমরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারটা অনুভব করি। এটা কর্তৃপক্ষকেও বলেছি।’
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ওসিসি বিভাগ এবং দুটি ওয়ার্ড থাকার কারণে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শুরু করা যায়নি। তবে এ ব্যাপারে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শুরু হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বশির আলী (৬৫)। মাথায় জখম নিয়ে ছটফট করছেন। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে তাঁকে আনা হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে। কিন্তু সেখানে বশিরের মাথায় সেলাই দেওয়ার মতো কোনো সুবিধা নেই। ট্রলিতে বশিরকে শুইয়ে রেখে দৌড়াদৌড়ি করে ভর্তির প্রক্রিয়া সারলেন ছেলে আনারুল ইসলাম।
এরপর বশিরকে নেওয়া হলো হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। চিকিৎসক যখন বশিরের চিকিৎসা শুরু করলেন, তখন ১০টা বেজে ৩ মিনিট। আহত বশিরের বাড়ি বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম গ্রামে। তাঁর ছেলে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এত দূর থেকে রোগী এনেও জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসা পেলাম না। মাথা থেকে রক্ত ঝরছিলই। ওয়ার্ডে নেওয়ার পর চিকিৎসা শুরু হলো। গুরুতর আহত রোগীদের অন্তত জরুরি বিভাগেই সেবা দেওয়া দরকার।’
আমিনুল ইসলাম বলেন, জরুরি বিভাগে রোগী আনার পর লাইনে দাঁড়িয়ে প্রথমে টিকিট কাটা, সেই টিকিট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগীর সমস্যা জানানো, এরপর আরেক দফা লাইনে দাঁড়িয়ে ভর্তির ফরম কিনে আনা, জরুরি বিভাগ ও ওয়ার্ডে মোট তিনবার নাম এন্ট্রি করানো—সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট চলে গেছে। কোনো চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি বিভাগে রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, রামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থেকে নানা প্রক্রিয়া শেষে ওয়ার্ডে রোগী না নেওয়া পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা হয় না। এই সময়ের মধ্যে কোনো কোনো রোগী মারাও যান। তখন চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বজনেরা।
২০ অক্টোবর রাতে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ারকে নেওয়া হলে তাঁরও জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসা হয়নি। জরুরি বিভাগ থেকে শাহরিয়ারকে পাঠানো হয়েছিল ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। এরপরই হাসপাতালে তুলকালাম ঘটে যায়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিয়ে হাসপাতাল ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাবি প্রশাসন
এখন মুখোমুখি।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগে নার্সদের বসার জায়গা আছে। বিভাগের ভেতরে মেডিকেল অফিসারের কক্ষ। জরুরি বিভাগের তিনটি কক্ষে এখন রোগী ভর্তি রাখা হচ্ছে। ফলে জরুরি চিকিৎসা করার জায়গা নেই। জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে করা আছে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড। এটি ক্যাজুয়ালটি ইউনিট-১ এর পুরুষ রোগীদের ওয়ার্ড। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডটি ক্যাজুয়ালটি ইউনিট-১ এর নারীদের ওয়ার্ড। এর পাশে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)। ওয়ার্ড হিসেবে রোগী ভর্তি রাখার কারণে সেখানে জরুরি চিকিৎসা করা হয় না। রোগী পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওয়ার্ডে।
এদিকে ওয়ার্ড পর্যন্ত পৌঁছতেই কোনো কোনো রোগী মারা যান। পাবনা সদর উপজেলার কৃষ্ণদিয়াড় গ্রামের বাসিন্দা দবি সরদার (৬০) স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরপর নানা প্রক্রিয়া শেষে দবি সরদার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছান ৮টা ৩৬ মিনিটে। এ সময় একজন নার্স ওয়ার্ডের বাইরেই তাঁর হাতে ক্যানুলা লাগিয়ে দেন। একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক এসে তাঁকে ওয়ার্ডে নিতে বলেন।
৮টা ৪২ মিনিটে দবিকে ওয়ার্ডের মেঝেতে নিয়ে শোয়ানো হয়। অক্সিজেন দিতে হবে বলে চিকিৎসকের কথামতো দবির জামাতা আকমল হোসেন পাইপ কিনে আনেন। এর মধ্যে দবিকে একটি স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু অক্সিজেন দেওয়ার আর সুযোগ হয়নি। দবি মারা গেছেন। আকমল হোসেন বলেন, জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা শুরু হলে হয়তো তাঁর শ্বশুর বেঁচে যেতেন। জরুরি বিভাগ পর্যন্ত এসেও এক ঘণ্টার বেশি চিকিৎসা না হওয়ার আক্ষেপ তাঁর সারা জীবন থেকে যাবে।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের ইউনিট-২ এর প্রধান আবদুস সোবহান বলেন, ‘জরুরি বিভাগে দুর্ঘটনাকবলিত ও জখম হওয়া রোগীদের চিকিৎসা শুরু হওয়াটা খুব দরকার। প্রতিটি হাসপাতালেই জরুরি বিভাগে একটা ক্যাজুয়ালটি বিভাগ থাকে। সেখানে রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু আমাদের এখানে হয় না। রোগীকে ওয়ার্ড পর্যন্ত যেতে হয়। আমরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারটা অনুভব করি। এটা কর্তৃপক্ষকেও বলেছি।’
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ওসিসি বিভাগ এবং দুটি ওয়ার্ড থাকার কারণে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শুরু করা যায়নি। তবে এ ব্যাপারে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শুরু হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে