সেলিম রেজা, তজুমদ্দিন (ভোলা)
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবলসংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। উপজেলার দেড় লাখ মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র ছয়জন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রেষণে ভোলা সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। চিকিৎসক-সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হলেও হয়নি কোনো সুরাহা। এদিকে হাসপাতালটি ৫১ শয্যায় উন্নীত হলেও এক বছরেও কার্যক্রম চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, উপজেলায় মোট বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে সোনাপুর, মলংচড়া ও চাঁদপুর এই তিনটি ইউনিয়ন উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। এই তিন ইউনিয়নে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের বাস। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও লোকবল-সংকটের কারণে অধিকাংশ রোগীর চিকিৎসাসেবার ভরসা সদর হাসপাতাল। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চরাঞ্চলের নিম্ন ও হতদরিদ্র মানুষ বাধ্য হয়ে স্থানীয় ফার্মেসি বা গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণিভিত্তিক ১৫০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৬২ পদ শূন্য। হাসপাতালে ১৫ চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ছয়জন। গাইনি, শল্য বিশেষজ্ঞ, অবেদনবিদ, ইউনানি, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা, ডেন্টাল সার্জন ও ইউনিয়ন সেন্টারের সহকারী সার্জনের পাঁচজনের মধ্যে তিনটি পদই শূন্য। এ ছাড়া চার দিন আগে একজন মেডিকেল কর্মকর্তা যোগ দিলেও তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে প্রেষণে চলে যান। অন্যদিকে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে দুজন মেডিকেল কর্মকর্তা এমডি প্যাথলজি কোর্সে উচ্চশিক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে চলে যাবেন। সে ক্ষেত্রে ডাক্তার থাকবেন মাত্র তিনজন।
দ্বিতীয় শ্রেণির ৩১টি পদের মধ্যে খালি ১৭টি। নার্সিং সুপারভাইজারের দুটি পদই শূন্য দীর্ঘদিন। এ ছাড়া সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫ জনের জায়গায় রয়েছেন মাত্র ১০ জন।
তৃতীয় শ্রেণির ৮৫টি পদের মধ্যে কর্মরত ৫৬ জন। স্বাস্থ্য সহকারীর আটটি পদ খালি। স্যাকমোর সাত পদের মধ্যে ছয়টিই শূন্য, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ছয় পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র তিনজন। ফার্মাসিস্ট দুজনের মধ্যে একটি শূন্য, অফিস সহকারীর তিনটি পদই খালি। স্টোরকিপার, সহকারী সেবক পদ অনেক দিন ধরে শূন্য। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দুটি ও সিএইচসিপি একটি পদ শূন্য।
এ ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির ১৯টি পদের মধ্যে আটটি পদই শূন্য। অফিস সহায়ক, ওয়ার্ডবয় ও কুক পদে দুটি করে পদ শূন্য। পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন চারজন।
প্রায় চার বছর আগে হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৯ সালের মধ্যে ভবন নির্মাণ, চিকিৎসাসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় আসবাব সরবরাহ সম্পন্ন হয়। স্থানীয়দের দাবি, ৫১ শয্যার হাসপাতালটি চালু করলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হবে।
ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ছেলের জ্বর হলে কিছুদিন আগে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অন্য চিকিৎসক বাধ্য হয়ে রোগী দেখেন। পরে ছেলের অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’
এদিকে প্রতিদিন আউটডোরে রোগীর চাপ লেগেই থাকছে। ফলে চাপ সামলাতে যেমন হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা তেমনি ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরাও।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোহেল কবির বলেন, চিকিৎসক ও লোকবল সংকটে প্রতিদিনের কার্যক্রমে প্রভাব পড়ছে। একজনের কাজ আরেকজনকে দিয়ে করানো হচ্ছে। কিন্তু ডাক্তারের শূন্যতা থেকেই যাচ্ছে। একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে জনবল সংকটের বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবুও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ ছাড়া ৫১ শয্যা চালুর বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। করোনার কারণে এ ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে ধারণা।
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবলসংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। উপজেলার দেড় লাখ মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র ছয়জন। তাঁদের মধ্যে একজন প্রেষণে ভোলা সদর হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। চিকিৎসক-সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হলেও হয়নি কোনো সুরাহা। এদিকে হাসপাতালটি ৫১ শয্যায় উন্নীত হলেও এক বছরেও কার্যক্রম চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, উপজেলায় মোট বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে সোনাপুর, মলংচড়া ও চাঁদপুর এই তিনটি ইউনিয়ন উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। এই তিন ইউনিয়নে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের বাস। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার একমাত্র আশ্রয়স্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও লোকবল-সংকটের কারণে অধিকাংশ রোগীর চিকিৎসাসেবার ভরসা সদর হাসপাতাল। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চরাঞ্চলের নিম্ন ও হতদরিদ্র মানুষ বাধ্য হয়ে স্থানীয় ফার্মেসি বা গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণিভিত্তিক ১৫০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ৬২ পদ শূন্য। হাসপাতালে ১৫ চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ছয়জন। গাইনি, শল্য বিশেষজ্ঞ, অবেদনবিদ, ইউনানি, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা, ডেন্টাল সার্জন ও ইউনিয়ন সেন্টারের সহকারী সার্জনের পাঁচজনের মধ্যে তিনটি পদই শূন্য। এ ছাড়া চার দিন আগে একজন মেডিকেল কর্মকর্তা যোগ দিলেও তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিটে প্রেষণে চলে যান। অন্যদিকে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে দুজন মেডিকেল কর্মকর্তা এমডি প্যাথলজি কোর্সে উচ্চশিক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে চলে যাবেন। সে ক্ষেত্রে ডাক্তার থাকবেন মাত্র তিনজন।
দ্বিতীয় শ্রেণির ৩১টি পদের মধ্যে খালি ১৭টি। নার্সিং সুপারভাইজারের দুটি পদই শূন্য দীর্ঘদিন। এ ছাড়া সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫ জনের জায়গায় রয়েছেন মাত্র ১০ জন।
তৃতীয় শ্রেণির ৮৫টি পদের মধ্যে কর্মরত ৫৬ জন। স্বাস্থ্য সহকারীর আটটি পদ খালি। স্যাকমোর সাত পদের মধ্যে ছয়টিই শূন্য, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ছয় পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র তিনজন। ফার্মাসিস্ট দুজনের মধ্যে একটি শূন্য, অফিস সহকারীর তিনটি পদই খালি। স্টোরকিপার, সহকারী সেবক পদ অনেক দিন ধরে শূন্য। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দুটি ও সিএইচসিপি একটি পদ শূন্য।
এ ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির ১৯টি পদের মধ্যে আটটি পদই শূন্য। অফিস সহায়ক, ওয়ার্ডবয় ও কুক পদে দুটি করে পদ শূন্য। পরিচ্ছন্নতাকর্মী পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন চারজন।
প্রায় চার বছর আগে হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৯ সালের মধ্যে ভবন নির্মাণ, চিকিৎসাসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় আসবাব সরবরাহ সম্পন্ন হয়। স্থানীয়দের দাবি, ৫১ শয্যার হাসপাতালটি চালু করলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হবে।
ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ছেলের জ্বর হলে কিছুদিন আগে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অন্য চিকিৎসক বাধ্য হয়ে রোগী দেখেন। পরে ছেলের অবস্থার অবনতি হলে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’
এদিকে প্রতিদিন আউটডোরে রোগীর চাপ লেগেই থাকছে। ফলে চাপ সামলাতে যেমন হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা তেমনি ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরাও।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সোহেল কবির বলেন, চিকিৎসক ও লোকবল সংকটে প্রতিদিনের কার্যক্রমে প্রভাব পড়ছে। একজনের কাজ আরেকজনকে দিয়ে করানো হচ্ছে। কিন্তু ডাক্তারের শূন্যতা থেকেই যাচ্ছে। একাধিকবার কর্তৃপক্ষের কাছে জনবল সংকটের বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবুও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ ছাড়া ৫১ শয্যা চালুর বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। করোনার কারণে এ ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে ধারণা।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪