পদ্মা শাসনে ১ টনের পাথর, ৮০০ কেজির জিওব্যাগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২২, ০৬: ৫৮
আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১৪: ৩৩

‘সর্বনাশা পদ্মা নদী তোর কাছে শুধাই/ বল আমারে তোর কিরে আর/ কূল কিনারা নাই, কূল কিনারা নাই।’ পদ্মার সঙ্গে সর্বনাশা বিশেষণ এমনি এমনি বসেনি। এর বিস্তার ও স্রোত তো আছেই, সঙ্গে আছে এর ভাঙন প্রবণতা। সেতু নির্মাণের সময় এই ভাঙন রোধের উপায় নিয়ে গলদঘর্ম হতে হয়েছে ভীষণ। এমনিতেই প্রচলিত নদীশাসনের উপায়গুলো পদ্মায় এসে গোল বাঁধিয়ে ফেলে।

পদ্মায় সেতু নির্মাণের এত বড় প্রকল্প যখন হচ্ছে, তখন এই সেতুর দুই পাড়কে অক্ষত রাখা নিয়ে তো হেলাফেলা করলে চলে না। দুপার রক্ষায় এমন উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে এই সেতুর জীবৎকালে তা ভেঙে না পড়ে। অন্তত একটা দীর্ঘ সময় দুই পাড় রক্ষায় সম্ভাব্য সবকিছুই করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু তা করা হবে কীভাবে? উপায় হলো পাথর ও জিওব্যাগের সমন্বয়।

বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদী নিজে নিজেই ২০০ ফুট গভীর খাদ সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই সেতু নির্মাণ করতে হলে নদীর দীর্ঘ ঢালকে রক্ষা করতে হবে। আর এ ঢাল রক্ষা শুধু নয়, একে মজবুত করতে কাজে লাগানো হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তি।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন

এমনিতে ভাঙনপ্রবণ নদী শাসনের ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৫০-৩০০ কিলোগ্রাম ওজনের জিওব্যাগ (বালিভর্তি) ব্যবহার করে। এটি সাময়িক সুরক্ষা দেয়। এই সুরক্ষাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে জিওব্যাগের ওজন বাড়াতে হবে। পদ্মা সেতু রক্ষার কথা মাথায় রেখে ঠিক তাই করা হয়েছে। এ জন্য ৮০০ কেজির জিওব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। আর নদীর তলদেশে ঢাল তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে পাথর, যার একেকটির ওজন ১ টন করে।

পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত