ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার একটি গ্রামে অবৈধভাবে চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। চুল্লির পাশেই রয়েছে জনবসতি, ফসলি জমি ও দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেখানের চারটি চুল্লিতে একেকবার শতাধিক মণ কাঠ পোড়ানো হয়।
কাঠ পোড়ানোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশপাশের বাসিন্দা ও স্কুলশিক্ষার্থীদের চোখ জ্বালাপোড়াসহ শ্বাসকষ্টে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, গ্রামের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করায় পরিবেশ ও ফসলি জমিরও ক্ষতি হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের পাথরা গ্রামের আলাউদ্দিন নামের এক বাসিন্দা কাঠ দিয়ে কয়লা তৈরির জন্য চারটি চুলা স্থাপন করেন। এসব চুলার পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষাক্ত ধোঁয়া ও গন্ধের মধ্যে পড়ালেখা করতে হয়।
এ ছাড়া চুল্লির পাশের জমির ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঠ কিনে কয়লা তৈরির কারণে গাছ উজাড় হচ্ছে।
পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশেই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়লা তৈরির কারখানায় দেদারসে পোড়ানো হলেও জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের বিধিনিষেধ থাকার পরও জনবসতি এলাকা ও ফসলি জমি নষ্ট করে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।
চুল্লির পাশে অবস্থিত পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হাসান ও বিল্লাল জানান, চুল্লির ধোঁয়ায় চোখ জ্বালাপোড়া করে, খুসখুসে কাশি হয়। সন্ধ্যায় কাঠ পোড়ানোর তীব্র গন্ধে পড়াশোনা করা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়লা তৈরির চুল্লির কালো ধোঁয়ায় শিশুসহ এলাকার মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়েছে।
চুল্লিতে কর্মরত কয়লা শ্রমিকেরা জানান, চুল্লির মধ্যে সারিবদ্ধভাবে কাঠ সাজিয়ে একটি মুখ খোলা রেখে অন্য মুখগুলো মাটি এবং ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। খোলা মুখ দিয়ে আগুন দেওয়া হয় চুল্লিতে। আগুন দেওয়া শেষ হলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়।
শ্রমিকেরা জানান, প্রতিটি চুল্লিতে একেক বার ১০০ থেকে ১৫০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। কাঠ পুড়ে কয়লা হতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ দিন। পরে কয়লা ঠান্ডা করে বস্তায় ভরে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। প্রতিবার চারটি চুলা থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকার কয়লা বের হয়।
কয়লা ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, ‘কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি অবৈধ নয়। আমি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চুল্লি স্থাপন করেছি। আমার লাইসেন্স আছে।’
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ‘কয়লা তৈরিতে কাঁচা কাঠ পোড়ানোয় কার্বন ও সিসা নির্গত হয়। যে এলাকায় এসব চুলায় কাঠ পুড়িয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেখানে নিশ্চিতভাবে শিশু জন্মগতভাবেই ফুসফুসের সমস্যা নিয়েই জন্ম নেবে। এ ছাড়া এসব চুল্লির ধোঁয়ায় মানুষের অ্যাজমা, ফুসফুসের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, অ্যালার্জি এবং চোখের সমস্যাসহ নানাবিধ রোগ হতে পারে।’
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, ‘কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে কয়লা তৈরির খবর আমিও শুনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্রীরুপ মজুমদার বলেন, ‘মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের পাথরা গ্রামে চুল্লি বসিয়ে কয়লা তৈরির বিষয়টি সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি। ইতিমধ্যে আমাদের হাতে এ সংক্রান্ত তথ্য ও কিছু ছবি এসেছে। এখন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার একটি গ্রামে অবৈধভাবে চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। চুল্লির পাশেই রয়েছে জনবসতি, ফসলি জমি ও দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেখানের চারটি চুল্লিতে একেকবার শতাধিক মণ কাঠ পোড়ানো হয়।
কাঠ পোড়ানোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশপাশের বাসিন্দা ও স্কুলশিক্ষার্থীদের চোখ জ্বালাপোড়াসহ শ্বাসকষ্টে পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, গ্রামের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করায় পরিবেশ ও ফসলি জমিরও ক্ষতি হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের পাথরা গ্রামের আলাউদ্দিন নামের এক বাসিন্দা কাঠ দিয়ে কয়লা তৈরির জন্য চারটি চুলা স্থাপন করেন। এসব চুলার পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষাক্ত ধোঁয়া ও গন্ধের মধ্যে পড়ালেখা করতে হয়।
এ ছাড়া চুল্লির পাশের জমির ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঠ কিনে কয়লা তৈরির কারণে গাছ উজাড় হচ্ছে।
পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশেই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়লা তৈরির কারখানায় দেদারসে পোড়ানো হলেও জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের বিধিনিষেধ থাকার পরও জনবসতি এলাকা ও ফসলি জমি নষ্ট করে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।
চুল্লির পাশে অবস্থিত পাথরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হাসান ও বিল্লাল জানান, চুল্লির ধোঁয়ায় চোখ জ্বালাপোড়া করে, খুসখুসে কাশি হয়। সন্ধ্যায় কাঠ পোড়ানোর তীব্র গন্ধে পড়াশোনা করা যায় না।
স্থানীয় বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়লা তৈরির চুল্লির কালো ধোঁয়ায় শিশুসহ এলাকার মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়েছে।
চুল্লিতে কর্মরত কয়লা শ্রমিকেরা জানান, চুল্লির মধ্যে সারিবদ্ধভাবে কাঠ সাজিয়ে একটি মুখ খোলা রেখে অন্য মুখগুলো মাটি এবং ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। খোলা মুখ দিয়ে আগুন দেওয়া হয় চুল্লিতে। আগুন দেওয়া শেষ হলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়।
শ্রমিকেরা জানান, প্রতিটি চুল্লিতে একেক বার ১০০ থেকে ১৫০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। কাঠ পুড়ে কয়লা হতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ দিন। পরে কয়লা ঠান্ডা করে বস্তায় ভরে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। প্রতিবার চারটি চুলা থেকে তিন থেকে চার লাখ টাকার কয়লা বের হয়।
কয়লা ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, ‘কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি অবৈধ নয়। আমি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চুল্লি স্থাপন করেছি। আমার লাইসেন্স আছে।’
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ‘কয়লা তৈরিতে কাঁচা কাঠ পোড়ানোয় কার্বন ও সিসা নির্গত হয়। যে এলাকায় এসব চুলায় কাঠ পুড়িয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেখানে নিশ্চিতভাবে শিশু জন্মগতভাবেই ফুসফুসের সমস্যা নিয়েই জন্ম নেবে। এ ছাড়া এসব চুল্লির ধোঁয়ায় মানুষের অ্যাজমা, ফুসফুসের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, অ্যালার্জি এবং চোখের সমস্যাসহ নানাবিধ রোগ হতে পারে।’
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, ‘কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে কয়লা তৈরির খবর আমিও শুনেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্রীরুপ মজুমদার বলেন, ‘মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের পাথরা গ্রামে চুল্লি বসিয়ে কয়লা তৈরির বিষয়টি সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি। ইতিমধ্যে আমাদের হাতে এ সংক্রান্ত তথ্য ও কিছু ছবি এসেছে। এখন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪