কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশকে সংঘাতে জড়াতে চাইছে। এই চক্রান্তে যুক্ত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সীমান্ত স্থিতিশীল রাখতে সরকার অন্য রাষ্ট্রগুলোর সাহায্য চেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রায় ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের মিয়ানমারের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব খোরশেদ আলম গতকাল বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ না করলে, গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ার কথা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশকে সংঘাতে জড়ানোর যে চেষ্টা, বাংলাদেশ তাতে যুক্ত হবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করছেন, চীনের উদ্যোগে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় কিছু রোহিঙ্গাকে রাখাইনে পাঠিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। প্রথম দফায় অন্তত দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশন চলাকালেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বাংলাদেশের জোরেশোরে তুলে ধরার কথা। এ অবস্থায় সীমান্ত অস্থির রেখে প্রত্যাবাসন বানচাল করতে চায় মিয়ানমার।
ব্রিফিংয়ের পর ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের বলেন, কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে যে সীমান্তে উত্তেজনাকর যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে প্রাণহানি ঘটছে। প্রথমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বলা হয়েছে, তাদের দেশের ভেতরে যা-ই করুন, যাতে কোনোরকমে গোলা সীমান্তের এ পাশে না আসে। বাংলাদেশের মানুষের ওপর যেন কোনো চাপ সৃষ্টি না হয়। কিন্তু গোলা আসা থামেনি। পরবর্তীতে আসিয়ান দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বলা হয়েছে, তাদের নিজ নিজ দেশগুলোর প্রভাব খাটিয়ে বলার জন্য, যাতে গোলা বাংলাদেশে এসে না পড়ে।গতকালের ব্রিফিংয়ে ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও সৌদি আরবসহ প্রায় ৪০ দেশের রাষ্ট্রদূত, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকেরা যোগ দেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে পাঁচ বছর হয়ে গেল। মিয়ানমার আজও একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি। একই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশ এমন কিছু করেনি যে, মিয়ানমারের গোলা এখানকার জনগণের নিরাপত্তা ও জীবনযাত্রা ব্যাহত করবে। তারা ধান খেতে যেতে পারবে না, তাদের গরু বাছুর নিয়ে বাইরে যেতে পারবে না, ঘরবাড়িতে থাকতে পারবে না, এটা চলতে দেওয়া যায় না। এ কারণে আমরা বলেছি, আমরা তাদের সাহায্য চাই, যাতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভবিষ্যতে ফায়দা লুটতে না পারে। বাংলাদেশ কোনোভাবেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে জড়িত হতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে জড়িত হলে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের না নেওয়ার অজুহাত পাবে।
সীমান্তে গোলাগুলি এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে জানিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, মিয়ানমার সরকারকে বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে সে দেশের পশ্চিমে। উত্তরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, আর দক্ষিণে আরাকান আর্মির অবস্থান হলে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি বাংলাদেশে এসে পড়ার কথা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ না করলে, গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ার কথা নয়। এখন সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশে আরাকান আর্মি ও আরসার অবস্থান আছে, মিয়ানমার সরকারের এমন ইঙ্গিত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, অন্য কাউকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মিয়ানমারকে অস্থিতিশীল করার অভিপ্রায় বাংলাদেশের কখনোই ছিল না, ভবিষ্যতে থাকবে না। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে দেশের সর্বস্তরেই যোগাযোগ আছে।
সীমান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যে চরম ধৈর্য দেখাচ্ছে, মিয়ানমারের কোনো উসকানিতে পা দিচ্ছে না, রাষ্ট্রদূতেরা তার প্রশংসা করেছেন বলে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত জানান। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে কিছু করার থাকলে, সে বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা যায় কি-না তা খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রদূতেরা নিজ নিজ দেশকে জানাবেন বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন।
গত প্রায় এক মাস ধরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে কমপক্ষে চার দফা মর্টারশেল বাংলাদেশে এসে পড়েছে। সীমান্তের জিরো লাইনে মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব ঘটনায় জিরো লাইনে আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গা মারা গেছেন। আহত হয়েছেন বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিক। গতকাল কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালি ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়াসহ সীমান্ত এলাকা মিয়ানমারের দিকে ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দে কেঁপে উঠেছে। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে।
মিয়ানমারের দাবি: আরাকান আর্মি, আরসারর মর্টারশেল বাংলাদেশে পড়েছে। মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে, সে দেশ থেকে বাংলাদেশে যে সব মর্টারশেল পড়েছে, সেগুলো সে দেশের দুই সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও আরসার ছুড়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে দেশটির দাবি। গত সোমবার মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ দাবি করেছে দেশটি।
রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদ সমাবেশ
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টারশেল হামলার নিন্দা জানিয়ে গত সোমবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এতে বলা হয়, চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে। এরা গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। শূন্যরেখা থেকে রোহিঙ্গাদের সরাতে এই হামলা চালানো হচ্ছে।
সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশকে সংঘাতে জড়াতে চাইছে। এই চক্রান্তে যুক্ত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সীমান্ত স্থিতিশীল রাখতে সরকার অন্য রাষ্ট্রগুলোর সাহায্য চেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রায় ৪০টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের মিয়ানমারের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে সাহায্য চেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব খোরশেদ আলম গতকাল বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ না করলে, গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ার কথা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশকে সংঘাতে জড়ানোর যে চেষ্টা, বাংলাদেশ তাতে যুক্ত হবে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করছেন, চীনের উদ্যোগে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় কিছু রোহিঙ্গাকে রাখাইনে পাঠিয়ে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। প্রথম দফায় অন্তত দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশন চলাকালেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বাংলাদেশের জোরেশোরে তুলে ধরার কথা। এ অবস্থায় সীমান্ত অস্থির রেখে প্রত্যাবাসন বানচাল করতে চায় মিয়ানমার।
ব্রিফিংয়ের পর ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের বলেন, কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে যে সীমান্তে উত্তেজনাকর যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে প্রাণহানি ঘটছে। প্রথমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বলা হয়েছে, তাদের দেশের ভেতরে যা-ই করুন, যাতে কোনোরকমে গোলা সীমান্তের এ পাশে না আসে। বাংলাদেশের মানুষের ওপর যেন কোনো চাপ সৃষ্টি না হয়। কিন্তু গোলা আসা থামেনি। পরবর্তীতে আসিয়ান দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বলা হয়েছে, তাদের নিজ নিজ দেশগুলোর প্রভাব খাটিয়ে বলার জন্য, যাতে গোলা বাংলাদেশে এসে না পড়ে।গতকালের ব্রিফিংয়ে ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও সৌদি আরবসহ প্রায় ৪০ দেশের রাষ্ট্রদূত, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকেরা যোগ দেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে পাঁচ বছর হয়ে গেল। মিয়ানমার আজও একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি। একই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশ এমন কিছু করেনি যে, মিয়ানমারের গোলা এখানকার জনগণের নিরাপত্তা ও জীবনযাত্রা ব্যাহত করবে। তারা ধান খেতে যেতে পারবে না, তাদের গরু বাছুর নিয়ে বাইরে যেতে পারবে না, ঘরবাড়িতে থাকতে পারবে না, এটা চলতে দেওয়া যায় না। এ কারণে আমরা বলেছি, আমরা তাদের সাহায্য চাই, যাতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভবিষ্যতে ফায়দা লুটতে না পারে। বাংলাদেশ কোনোভাবেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে জড়িত হতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে জড়িত হলে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের না নেওয়ার অজুহাত পাবে।
সীমান্তে গোলাগুলি এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে জানিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, মিয়ানমার সরকারকে বুঝতে হবে যে, বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে সে দেশের পশ্চিমে। উত্তরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, আর দক্ষিণে আরাকান আর্মির অবস্থান হলে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি বাংলাদেশে এসে পড়ার কথা নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ না করলে, গোলা বাংলাদেশে এসে পড়ার কথা নয়। এখন সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশে আরাকান আর্মি ও আরসার অবস্থান আছে, মিয়ানমার সরকারের এমন ইঙ্গিত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, অন্য কাউকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মিয়ানমারকে অস্থিতিশীল করার অভিপ্রায় বাংলাদেশের কখনোই ছিল না, ভবিষ্যতে থাকবে না। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে দেশের সর্বস্তরেই যোগাযোগ আছে।
সীমান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যে চরম ধৈর্য দেখাচ্ছে, মিয়ানমারের কোনো উসকানিতে পা দিচ্ছে না, রাষ্ট্রদূতেরা তার প্রশংসা করেছেন বলে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত জানান। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে কিছু করার থাকলে, সে বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা যায় কি-না তা খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রদূতেরা নিজ নিজ দেশকে জানাবেন বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন।
গত প্রায় এক মাস ধরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে কমপক্ষে চার দফা মর্টারশেল বাংলাদেশে এসে পড়েছে। সীমান্তের জিরো লাইনে মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব ঘটনায় জিরো লাইনে আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গা মারা গেছেন। আহত হয়েছেন বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিক। গতকাল কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালি ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়াসহ সীমান্ত এলাকা মিয়ানমারের দিকে ভারী অস্ত্রের গোলার শব্দে কেঁপে উঠেছে। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে।
মিয়ানমারের দাবি: আরাকান আর্মি, আরসারর মর্টারশেল বাংলাদেশে পড়েছে। মিয়ানমার সরকার দাবি করেছে, সে দেশ থেকে বাংলাদেশে যে সব মর্টারশেল পড়েছে, সেগুলো সে দেশের দুই সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও আরসার ছুড়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর জন্য দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে বলে দেশটির দাবি। গত সোমবার মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ দাবি করেছে দেশটি।
রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদ সমাবেশ
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টারশেল হামলার নিন্দা জানিয়ে গত সোমবার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এতে বলা হয়, চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে। এরা গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে। শূন্যরেখা থেকে রোহিঙ্গাদের সরাতে এই হামলা চালানো হচ্ছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে