ওমর ফারুক মুছা, লংগদু (রাঙামাটি)
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদ অধ্যুষিত কাট্টলী বিলে মাছের অভাবে কমে যাচ্ছে শুঁটকি উৎপাদন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ব্যবসায়ীদের দাদনপ্রথা। এতে পেশা নিয়ে হুমকিতে পড়েছেন শুঁটকি উৎপাদনেরসঙ্গে জড়িতরা।
শুঁটকি উৎপাদনকারীরা বলছেন, হ্রদে শুঁটকি তৈরির মাছের স্বল্পতা, ব্যবসায়ীদের দাদন প্রথা ও মাছের দাম বৃদ্ধির কারণে শুঁটকি উৎপাদন কমে গেছে।
রাঙামাটির ব্যাপক এলাকাজুড়ে কাপ্তাই হ্রদবেষ্টিত হলেও বেশি শুঁটকি উৎপাদন হয়ে থাকে জেলার লংগদু উপজেলার কাট্টলীবিল, ঝরনাটিলা ও গাঁথাছড়া এলাকায়। কাট্টলী বিলের মাছ ও শুঁটকি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। মাছ আহরণ ছাড়াও শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার জেলে ব্যবসায়ীসহ শুঁটকি শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির বরকল ও লংগদু উপজেলায় শুঁটকি উৎপাদন হয়। এর বেশির ভাগই হয় কাট্টলীবিলের মাছ থেকে। কাপ্তাই হ্রদে কমবেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ থাকলেও শুঁটকি উৎপাদন হয় প্রায় ১০-১২ প্রজাতির মাছের। স্থানীয় চাহিদা কম থাকায় বেশির ভাগ বাজারজাতকরণ করা হয় দেশের উত্তরাঞ্চলে।
বিএফডিসির তথ্য মতে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিএফডিসি রাঙামাটি অবতরণ কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ৭৮৩ টন শুঁটকি অবতরণ করা হয়। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩৯ টনে। এ অনুযায়ী উৎপাদন কমেছে অর্ধেকের চেয়েও বেশি।
শুঁটকির বার্ষিক উৎপাদনের তথ্যে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৭২০ টন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬৩৯ টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫৩৩ টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৩৬ টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৯৭ টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪০৯ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৫৮ টন শুঁটকি উৎপাদিত হয়েছে।
স্থানীয় শুঁটকি উৎপাদনকারীরা মূলত কাট্টলী বিল থেকে আহরিত ১০-১২ প্রজাতির মাছের শুঁটকি করে থাকেন। এর মধ্যে কাঁচকি, চাপিলা, মলা, ছোট চিংড়ি, বড় চিংড়ি, বাইন, শোল, টাকি, টুইটটা, আইর, গজার, পাঁচমিশালি মাছ অন্যতম। তবে কাঁচকি, চাপিলা ও পাঁচমিশালি মাছ থেকে বেশি শুঁটকি হয়ে থাকে।
লংগদুতে কাট্টলী বিলের মধ্যখানে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কাট্টলী বাজার। এখানে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পেশাদার শুঁটকি উৎপাদন করছেন স্থানীয় ১২-১৫ জন। তাঁদের একজন মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমরা এখানে কাঁচা মাছ কিনে শুঁটকি উৎপাদন করে থাকি। মূলত ৪ কেজি কাঁচামাছ থেকে এক কেজি শুঁটকি করা হয়। যে কারণে মাছের চেয়ে শুঁটকির দাম অনেক বেশি।’
এক দশক ধরে শুঁটকি উৎপাদনকারী মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমার মতো আরও অনেকেই শুঁটকি উৎপাদন করছেন। তবে দিন দিন মাছের দর বৃদ্ধি ও বাজার দর গরমিল, জেলেদের দাদন প্রথার প্রভাবে অনেকেই শুঁটকি উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন।’
শুঁটকি উৎপাদনকারী লালু সরকার জানান, ‘শুঁটকি থেকে সরকারকে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা রাজস্ব, কোনো মাছে তারও অধিক রাজস্ব দিয়ে চট্টগ্রামে বিক্রয় করে থাকি। সেখান থেকে পাইকার ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শুঁটকি বাজারজাত করে থাকেন। এখন আগের মতো শুঁটকি উৎপাদিত হচ্ছে না; এর অন্যতম কারণ মাছের সংকট ও দাম বৃদ্ধি।’
বিএফডিসি রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্রের সহকারী মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. শোয়েব সালেহীন জানান, কাপ্তাই হ্রদ সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস। মাছের পাশাপাশি বিএফডিসি এখানে শুঁটকি থেকে রাজস্ব আহরণ করে থাকে। তবে উৎপাদিত শুঁটকির বেশির ভাগই কাঁচকি, চাপিলা ও মিশালি মাছ। হ্রদকেন্দ্রিক মাছ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে লক্ষাধিক মানুষ। এশিয়ার বৃহত্তম এ কৃত্রিম হ্রদ থেকে সরকার প্রতি বছরই মৎস্য সম্পদ হতে রাজস্ব আয় করছে।’
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদ অধ্যুষিত কাট্টলী বিলে মাছের অভাবে কমে যাচ্ছে শুঁটকি উৎপাদন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ব্যবসায়ীদের দাদনপ্রথা। এতে পেশা নিয়ে হুমকিতে পড়েছেন শুঁটকি উৎপাদনেরসঙ্গে জড়িতরা।
শুঁটকি উৎপাদনকারীরা বলছেন, হ্রদে শুঁটকি তৈরির মাছের স্বল্পতা, ব্যবসায়ীদের দাদন প্রথা ও মাছের দাম বৃদ্ধির কারণে শুঁটকি উৎপাদন কমে গেছে।
রাঙামাটির ব্যাপক এলাকাজুড়ে কাপ্তাই হ্রদবেষ্টিত হলেও বেশি শুঁটকি উৎপাদন হয়ে থাকে জেলার লংগদু উপজেলার কাট্টলীবিল, ঝরনাটিলা ও গাঁথাছড়া এলাকায়। কাট্টলী বিলের মাছ ও শুঁটকি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। মাছ আহরণ ছাড়াও শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার জেলে ব্যবসায়ীসহ শুঁটকি শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির বরকল ও লংগদু উপজেলায় শুঁটকি উৎপাদন হয়। এর বেশির ভাগই হয় কাট্টলীবিলের মাছ থেকে। কাপ্তাই হ্রদে কমবেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ থাকলেও শুঁটকি উৎপাদন হয় প্রায় ১০-১২ প্রজাতির মাছের। স্থানীয় চাহিদা কম থাকায় বেশির ভাগ বাজারজাতকরণ করা হয় দেশের উত্তরাঞ্চলে।
বিএফডিসির তথ্য মতে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিএফডিসি রাঙামাটি অবতরণ কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ৭৮৩ টন শুঁটকি অবতরণ করা হয়। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩৯ টনে। এ অনুযায়ী উৎপাদন কমেছে অর্ধেকের চেয়েও বেশি।
শুঁটকির বার্ষিক উৎপাদনের তথ্যে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৭২০ টন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬৩৯ টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫৩৩ টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৩৬ টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৯৭ টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪০৯ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৫৮ টন শুঁটকি উৎপাদিত হয়েছে।
স্থানীয় শুঁটকি উৎপাদনকারীরা মূলত কাট্টলী বিল থেকে আহরিত ১০-১২ প্রজাতির মাছের শুঁটকি করে থাকেন। এর মধ্যে কাঁচকি, চাপিলা, মলা, ছোট চিংড়ি, বড় চিংড়ি, বাইন, শোল, টাকি, টুইটটা, আইর, গজার, পাঁচমিশালি মাছ অন্যতম। তবে কাঁচকি, চাপিলা ও পাঁচমিশালি মাছ থেকে বেশি শুঁটকি হয়ে থাকে।
লংগদুতে কাট্টলী বিলের মধ্যখানে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কাট্টলী বাজার। এখানে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পেশাদার শুঁটকি উৎপাদন করছেন স্থানীয় ১২-১৫ জন। তাঁদের একজন মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমরা এখানে কাঁচা মাছ কিনে শুঁটকি উৎপাদন করে থাকি। মূলত ৪ কেজি কাঁচামাছ থেকে এক কেজি শুঁটকি করা হয়। যে কারণে মাছের চেয়ে শুঁটকির দাম অনেক বেশি।’
এক দশক ধরে শুঁটকি উৎপাদনকারী মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমার মতো আরও অনেকেই শুঁটকি উৎপাদন করছেন। তবে দিন দিন মাছের দর বৃদ্ধি ও বাজার দর গরমিল, জেলেদের দাদন প্রথার প্রভাবে অনেকেই শুঁটকি উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন।’
শুঁটকি উৎপাদনকারী লালু সরকার জানান, ‘শুঁটকি থেকে সরকারকে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা রাজস্ব, কোনো মাছে তারও অধিক রাজস্ব দিয়ে চট্টগ্রামে বিক্রয় করে থাকি। সেখান থেকে পাইকার ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শুঁটকি বাজারজাত করে থাকেন। এখন আগের মতো শুঁটকি উৎপাদিত হচ্ছে না; এর অন্যতম কারণ মাছের সংকট ও দাম বৃদ্ধি।’
বিএফডিসি রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্রের সহকারী মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. শোয়েব সালেহীন জানান, কাপ্তাই হ্রদ সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উৎস। মাছের পাশাপাশি বিএফডিসি এখানে শুঁটকি থেকে রাজস্ব আহরণ করে থাকে। তবে উৎপাদিত শুঁটকির বেশির ভাগই কাঁচকি, চাপিলা ও মিশালি মাছ। হ্রদকেন্দ্রিক মাছ ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে লক্ষাধিক মানুষ। এশিয়ার বৃহত্তম এ কৃত্রিম হ্রদ থেকে সরকার প্রতি বছরই মৎস্য সম্পদ হতে রাজস্ব আয় করছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে