রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে আরেক দফা বেড়েছে আটা, ময়দা ও চালের দাম। এতে বেশি বেকায়দায় পড়েছে দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। তাঁরা বলছেন, এখন অনেকেরই দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। এভাবে বাজারদর বাড়তে থাকলে কোনোরকমে খেয়ে বেঁচে থাকাও কঠিন হবে তাঁদের।
উপজেলায় ১৫ দিনের ব্যবধানে খোলা আটার দাম ৫-৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৮-১২ টাকা বেড়েছে। খোলা ময়দা ২-৫ টাকা আর প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। খুচরায় প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৫-৮ টাকা পর্যন্ত। শুধু চাল, আটা কিংবা ময়দা নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই হু হু করে বাড়ছে।
গতকাল শুক্রবার শহরের বড়বাজার ও রেলওয়ে গেটবাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খোলা আটা ৫২-৫৫ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬২-৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও প্যাকেটজাত ময়দা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৩-৭৪ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে খোলা ময়দা ৫৮-৬০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৬৫-৬৮ টাকায় কেনা যেত।
অন্যদিকে, চালের দাম বস্তাপ্রতি পাইকারি বাজারে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি মোটা চাল ৫৩ টাকা, হাইব্রিড ৫০ টাকা, ২৮ চাল ৫৭-৫৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও মোটা চাল ৪৮ টাকা, হাইব্রিড ৪৬ টাকা, ২৮ চাল ৫২-৫৪ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। শুধু চাল, আটা কিংবা ময়দাই নয়; সয়াবিন তেল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া।
শহরের শেরু হোটেল এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর মোক্তার আহমেদের স্ত্রী, তিন সন্তান ও বুড়ো মা নিয়ে সংসার। সারা দিনে আয় হয় ৩৫০ টাকা। তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগোত তিন সের (৩ কেজি) মোটা চাল ১৩৮ টাকাত নিয়া গেছনু। আইজ আসি শোনোছো ৫০ টাকা সের (কেজি)। কন তো, রাইত পোয়াইলে এমতোন করি চাল, তেল, ডাল, আটার দাম বাইড়লে হামার বাঁচি থাকাটা কঠিন হয়া গ্যাছে।’
শহরের গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন, ‘স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে আমার সংসার। এক ছেলেকে কাজে দিয়েছি। বাকি দুজন পড়াশোনা করে। ভ্যান চালিয়ে দিনে ৫০০-৬০০ টাকা কামাই হলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দুচোখে অন্ধকার দেখছি। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে মরণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার রিকশাচালক আসলাম হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ৬০০ টাকা রোজগার হয়। এর মধ্যে রিকশার মালিককে দিতে হয় ২৩০ টাকা। বাকি টাকা দিয়ে কোনোরকম চলতে হয়। সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তাদের পড়াশোনা করাব কীভাবে? অভাবে দুই বেলা ভালো করে খাবারই দিতে পারি না। যেভাবে দ্রব্যের দাম বাড়ছে, তাতে করে আমাদের মতো মানুষের সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে।’
সৈয়দপুর উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য বড় বড় কোম্পানি দায়ী। দাম বাড়ানো ঠেকাতে সরকারকে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। নিয়মিত বাজার মনিটর করতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলার সহকারী পরিচালক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটর করছি। কেউ সরকারনির্ধারিত মূল্যের বেশি পণ্য বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নীলফামারীর সৈয়দপুরে আরেক দফা বেড়েছে আটা, ময়দা ও চালের দাম। এতে বেশি বেকায়দায় পড়েছে দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। তাঁরা বলছেন, এখন অনেকেরই দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। এভাবে বাজারদর বাড়তে থাকলে কোনোরকমে খেয়ে বেঁচে থাকাও কঠিন হবে তাঁদের।
উপজেলায় ১৫ দিনের ব্যবধানে খোলা আটার দাম ৫-৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৮-১২ টাকা বেড়েছে। খোলা ময়দা ২-৫ টাকা আর প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। খুচরায় প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৫-৮ টাকা পর্যন্ত। শুধু চাল, আটা কিংবা ময়দা নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই হু হু করে বাড়ছে।
গতকাল শুক্রবার শহরের বড়বাজার ও রেলওয়ে গেটবাজারের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খোলা আটা ৫২-৫৫ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬২-৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও প্যাকেটজাত ময়দা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৩-৭৪ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে খোলা ময়দা ৫৮-৬০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৬৫-৬৮ টাকায় কেনা যেত।
অন্যদিকে, চালের দাম বস্তাপ্রতি পাইকারি বাজারে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি মোটা চাল ৫৩ টাকা, হাইব্রিড ৫০ টাকা, ২৮ চাল ৫৭-৫৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও মোটা চাল ৪৮ টাকা, হাইব্রিড ৪৬ টাকা, ২৮ চাল ৫২-৫৪ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। শুধু চাল, আটা কিংবা ময়দাই নয়; সয়াবিন তেল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া।
শহরের শেরু হোটেল এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর মোক্তার আহমেদের স্ত্রী, তিন সন্তান ও বুড়ো মা নিয়ে সংসার। সারা দিনে আয় হয় ৩৫০ টাকা। তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগোত তিন সের (৩ কেজি) মোটা চাল ১৩৮ টাকাত নিয়া গেছনু। আইজ আসি শোনোছো ৫০ টাকা সের (কেজি)। কন তো, রাইত পোয়াইলে এমতোন করি চাল, তেল, ডাল, আটার দাম বাইড়লে হামার বাঁচি থাকাটা কঠিন হয়া গ্যাছে।’
শহরের গোলাহাট এলাকার বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন, ‘স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে আমার সংসার। এক ছেলেকে কাজে দিয়েছি। বাকি দুজন পড়াশোনা করে। ভ্যান চালিয়ে দিনে ৫০০-৬০০ টাকা কামাই হলেও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দুচোখে অন্ধকার দেখছি। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে মরণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার রিকশাচালক আসলাম হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ৬০০ টাকা রোজগার হয়। এর মধ্যে রিকশার মালিককে দিতে হয় ২৩০ টাকা। বাকি টাকা দিয়ে কোনোরকম চলতে হয়। সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তাদের পড়াশোনা করাব কীভাবে? অভাবে দুই বেলা ভালো করে খাবারই দিতে পারি না। যেভাবে দ্রব্যের দাম বাড়ছে, তাতে করে আমাদের মতো মানুষের সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে।’
সৈয়দপুর উপজেলা বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য বড় বড় কোম্পানি দায়ী। দাম বাড়ানো ঠেকাতে সরকারকে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। নিয়মিত বাজার মনিটর করতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নীলফামারী জেলার সহকারী পরিচালক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার মনিটর করছি। কেউ সরকারনির্ধারিত মূল্যের বেশি পণ্য বিক্রি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে