মো. জাহিদ হাসান, যশোর
নতুন রং করা দোতলা বিদ্যালয় ভবন। সামনে সরু জায়গা, পাশেই রাস্তা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার মতো কোনো মাঠ নেই। ফলে বিদ্যালয়ের বারান্দার সিঁড়িতে বসে থাকতে হয় শিশুশিক্ষার্থীদের। খেলার মাঠ না থাকায় বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকের সময়টুকু এভাবেই কাটে যশোর শহরের বেজপাড়া আজিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
শুধু বেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, জেলার ২২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। এসব বিদ্যালয়ের শিশুরা খেলাধুলা করতে পারে না। শিশুদের সমাবেশও (অ্যাসেম্বলি) করতে হয় দায়সারাভাবে। এসব বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় অন্য কোনো স্থানে।
বেজপাড়া আজিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তহমিনা খাতুন বলে, ‘আমাগের (আমাদের) স্কুলে মাঠ নাই। খেলাধুলা করতি (করতে) পারি না। আমরা খেলাধুলার মাঠ চাই।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ২৯০। এগুলোর মধ্যে স্বল্প পরিসরে মাঠ রয়েছে ২৪৮টি বিদ্যালয়ে। সবচেয়ে বেশি খেলার মাঠ নেই শার্শা উপজেলায়, ৫৯টিতে। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ৪৫টি, চৌগাছায় ৮টি, অভয়নগরে ১৪টি, মনিরামপুরে ৪৪টি, বাঘারপাড়ায় ৩৩টি, ঝিকরগাছায় ৯টি, কেশবপুরে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, খেলার মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। তাই খেলার মাঠ ছাড়া কোনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন নয়। আর যেসব অনুমোদিত বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় খেলার মাঠ স্থাপন করা প্রয়োজন।
ঝিকরগাছা উপজেলার নওয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৭৮ সালে। ২৩ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ১৬১ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ছয়জন শিক্ষক। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়েও বিদ্যালয়টিতে শিশুদের জন্য কোনো খেলার মাঠের ব্যবস্থা হয়নি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জমি না থাকায় আমাদের এখানে খেলার মাঠ নেই। তবে যতটুকু খালি জায়গা রয়েছে, সেখানে স্লিপার ও দোলনা বসিয়ে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর পাশে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বল্প পরিসরে খেলার মাঠ আছে, সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা খেলতে যায়। যদিও খেলাধুলার ব্যবস্থা না থাকলে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়।’
যশোর সদর উপজেলার বেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় হয়তো জমি পাওয়া যায়নি। মাত্র ১১ শতক জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভবনের পাশে যে সামান্য খালি জায়গা রয়েছে, সেখানে কিছু শিক্ষার্থী খেলাধুলা করে। তবে সেটা অপর্যাপ্ত।’
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের তুলনায় শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হয়। খেলতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়, সামাজিকীকরণ হয়। তাই বিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন অবশ্যই মাঠের বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। বর্তমানে যেসব বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই, সরকারের উচিত সেখানে নতুন মাঠের ব্যবস্থা করা। কারণ, খেলার মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ হয় না। আবার শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটবে না। আর মেধার বিকাশ না ঘটলে ওই শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে না।’
যশোরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘জেলায় ২২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। নতুন ভবন সম্প্রসারণ, স্কুল স্থানান্তর, জমিস্বল্পতাসহ নানা কারণে এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। এমনকি এসব বিদ্যালয়ে মাঠ করার সুযোগও নেই। তবে ইতিমধ্যে যেসব স্কুলে খেলার মাঠ নেই, সেসব স্কুলের তালিকা করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’
নতুন রং করা দোতলা বিদ্যালয় ভবন। সামনে সরু জায়গা, পাশেই রাস্তা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার মতো কোনো মাঠ নেই। ফলে বিদ্যালয়ের বারান্দার সিঁড়িতে বসে থাকতে হয় শিশুশিক্ষার্থীদের। খেলার মাঠ না থাকায় বিদ্যালয়ে ক্লাসের ফাঁকের সময়টুকু এভাবেই কাটে যশোর শহরের বেজপাড়া আজিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
শুধু বেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, জেলার ২২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। এসব বিদ্যালয়ের শিশুরা খেলাধুলা করতে পারে না। শিশুদের সমাবেশও (অ্যাসেম্বলি) করতে হয় দায়সারাভাবে। এসব বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় অন্য কোনো স্থানে।
বেজপাড়া আজিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তহমিনা খাতুন বলে, ‘আমাগের (আমাদের) স্কুলে মাঠ নাই। খেলাধুলা করতি (করতে) পারি না। আমরা খেলাধুলার মাঠ চাই।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ২৯০। এগুলোর মধ্যে স্বল্প পরিসরে মাঠ রয়েছে ২৪৮টি বিদ্যালয়ে। সবচেয়ে বেশি খেলার মাঠ নেই শার্শা উপজেলায়, ৫৯টিতে। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ৪৫টি, চৌগাছায় ৮টি, অভয়নগরে ১৪টি, মনিরামপুরে ৪৪টি, বাঘারপাড়ায় ৩৩টি, ঝিকরগাছায় ৯টি, কেশবপুরে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, খেলার মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। তাই খেলার মাঠ ছাড়া কোনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন নয়। আর যেসব অনুমোদিত বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় খেলার মাঠ স্থাপন করা প্রয়োজন।
ঝিকরগাছা উপজেলার নওয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৭৮ সালে। ২৩ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ১৬১ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন ছয়জন শিক্ষক। কিন্তু দীর্ঘ এই সময়েও বিদ্যালয়টিতে শিশুদের জন্য কোনো খেলার মাঠের ব্যবস্থা হয়নি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জমি না থাকায় আমাদের এখানে খেলার মাঠ নেই। তবে যতটুকু খালি জায়গা রয়েছে, সেখানে স্লিপার ও দোলনা বসিয়ে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর পাশে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বল্প পরিসরে খেলার মাঠ আছে, সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা খেলতে যায়। যদিও খেলাধুলার ব্যবস্থা না থাকলে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়।’
যশোর সদর উপজেলার বেজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় হয়তো জমি পাওয়া যায়নি। মাত্র ১১ শতক জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ভবনের পাশে যে সামান্য খালি জায়গা রয়েছে, সেখানে কিছু শিক্ষার্থী খেলাধুলা করে। তবে সেটা অপর্যাপ্ত।’
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের তুলনায় শ্রেণিকক্ষের বাইরের শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হয়। খেলতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়, সামাজিকীকরণ হয়। তাই বিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন অবশ্যই মাঠের বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। বর্তমানে যেসব বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই, সরকারের উচিত সেখানে নতুন মাঠের ব্যবস্থা করা। কারণ, খেলার মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ হয় না। আবার শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটবে না। আর মেধার বিকাশ না ঘটলে ওই শিক্ষার্থী পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে না।’
যশোরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ‘জেলায় ২২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। নতুন ভবন সম্প্রসারণ, স্কুল স্থানান্তর, জমিস্বল্পতাসহ নানা কারণে এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। এমনকি এসব বিদ্যালয়ে মাঠ করার সুযোগও নেই। তবে ইতিমধ্যে যেসব স্কুলে খেলার মাঠ নেই, সেসব স্কুলের তালিকা করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪