রানা আব্বাস, ঢাকা
১৩ এপ্রিল—বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্মরণীয় এক দিন। ১৯৯৭ সালের এ দিনে কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফি জয়। যে জয়ে উৎসবের রঙে রঙিন হয়েছিল পুরো দেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট পেয়েছিল নতুন দিনের সন্ধান।
প্রতিবছর এই দিনের স্মৃতি রোমন্থনে স্বাভাবিকভাবেই আকরাম-পাইলটদের বীরত্বগাথা ফিরে আসে। গত ২৬ বছরে নানা বাঁক পেরিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগোলেও যে দলকে হারিয়ে বড় স্বপ্নপূরণ, সেই কেনিয়া যেন হারিয়ে গেছে ক্রিকেট মানচিত্র থেকে! অথচ শুরুর দিকে এই কেনিয়ার কাছে হারের গল্পই বেশি বাংলাদেশের। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ওয়ানডেতে যে সাতবার মুখোমুখি দুই দল, ছয়টিতেই জিতেছে কেনিয়া। ২০০৬ থেকে অবশ্য ছবিটা বদলে যেতে শুরু করে। ২০০৭ সালের পর আর কেনিয়ার মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার প্রথম সুযোগ পেয়েছে ১৯৯৯ সালে। সেখানে কেনিয়া খেলেছে ১৯৯৬ থেকে। নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপেই সেমিফাইনালে উঠে চমকে দিয়েছিল সবাইকে। কেনিয়ার এ উত্থান-পতন থেকে শিখতে পারে সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশই। নিষেধাজ্ঞায় পড়া কেনিয়া ২০১৯ থেকে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ২৮।
আইসিসির হয়ে আফ্রিকার গেম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফিজয়ী দলের সদস্য ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল কাছ থেকে দেখেছেন কেনিয়ার পতনের ছবি। বাকিটা তাঁর কাছ থেকেই শোনা যেতে পারে।
কেনিয়ার হারিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে
আমিনুল ইসলাম বুলবুল
একটা সময় কেনিয়া ক্রিকেট সরকারের সাহায্য-সহযোগিতা পেত। এরপর সেটা তারা পায়নি। দ্বিতীয়ত, কেনিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। ওদের ইলেকশন হয়েছে। মাঝে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ছিল। ওরা এখন কনট্রোলড ফান্ডিংয়ে চলছে। পুরো ফান্ড পায় না। ওদের গভর্ন্যান্স খুব একটা ভালো নয়।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট যেমন তরতর করে এগিয়েছে, টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সঙ্গে সরকারের সহযোগিতা—এসব কেনিয়া ক্রিকেটে ছিল না আসলে। একটা সময় ওদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু প্রতিভাবান ২০ জন ক্রিকেটার দিয়ে একটা দেশের ক্রিকেট চলে না। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিযোগিতা থাকা দরকার। আমাদের যেমন অনেক দল ছিল এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট হতো। কেনিয়ার জাতিগত সমস্যাও ছিল। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা দূরত্ব ছিল সব সময়ই। আর কিছু উপজাতীয় খেলোয়াড় ছিল। আর কেনিয়ানরা ফুটবলে তুলনামূলক বেশি মনোযোগ দিয়েছে; ক্রিকেটে নয়। ওরা ভাবত যে ক্রিকেট বিদেশিদের খেলা। বাংলাদেশে যখন যে সরকার আসে, তারা ক্রিকেটকে অনেক সমর্থন করে। কিছু মানুষের কথা বলতেই হবে। তানভীর মাজহার তান্না, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু; কিছু কিছু লোক ছিলেন যাঁরা বাংলাদেশ বিমান, আবাহনী, মোহামেডানে বিনা স্বার্থে ক্রিকেটে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এঁরাই টিকিয়ে রেখেছিলেন ৷ আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিপুল দর্শক-সমর্থন ছিল পাকিস্তান আমল থেকেই। এসব কেনিয়া ক্রিকেটে ছিল না।
একঝাঁক ক্রিকেটার এসেছিল কেনিয়ায়, যারা নিয়মিত পারফর্ম করেছিল। তবে ওই পারফরমারদের ধরে রাখার যে ব্যবস্থা দরকার, সেটা তাদের ছিল না। একটা গ্রুপকে ধরে রেখে প্রস্ফুটিত করার যে ব্যাপারটা, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করা, একটা সিস্টেম দাঁড় করানো—এসব কেনিয়ায় ছিল না।
আরও খবর পড়ুন:
১৩ এপ্রিল—বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্মরণীয় এক দিন। ১৯৯৭ সালের এ দিনে কুয়ালালামপুরের কিলাত ক্লাব মাঠে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফি জয়। যে জয়ে উৎসবের রঙে রঙিন হয়েছিল পুরো দেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট পেয়েছিল নতুন দিনের সন্ধান।
প্রতিবছর এই দিনের স্মৃতি রোমন্থনে স্বাভাবিকভাবেই আকরাম-পাইলটদের বীরত্বগাথা ফিরে আসে। গত ২৬ বছরে নানা বাঁক পেরিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগোলেও যে দলকে হারিয়ে বড় স্বপ্নপূরণ, সেই কেনিয়া যেন হারিয়ে গেছে ক্রিকেট মানচিত্র থেকে! অথচ শুরুর দিকে এই কেনিয়ার কাছে হারের গল্পই বেশি বাংলাদেশের। ১৯৯৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ওয়ানডেতে যে সাতবার মুখোমুখি দুই দল, ছয়টিতেই জিতেছে কেনিয়া। ২০০৬ থেকে অবশ্য ছবিটা বদলে যেতে শুরু করে। ২০০৭ সালের পর আর কেনিয়ার মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার প্রথম সুযোগ পেয়েছে ১৯৯৯ সালে। সেখানে কেনিয়া খেলেছে ১৯৯৬ থেকে। নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপেই সেমিফাইনালে উঠে চমকে দিয়েছিল সবাইকে। কেনিয়ার এ উত্থান-পতন থেকে শিখতে পারে সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশই। নিষেধাজ্ঞায় পড়া কেনিয়া ২০১৯ থেকে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ২৮।
আইসিসির হয়ে আফ্রিকার গেম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের আইসিসি ট্রফিজয়ী দলের সদস্য ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল কাছ থেকে দেখেছেন কেনিয়ার পতনের ছবি। বাকিটা তাঁর কাছ থেকেই শোনা যেতে পারে।
কেনিয়ার হারিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে
আমিনুল ইসলাম বুলবুল
একটা সময় কেনিয়া ক্রিকেট সরকারের সাহায্য-সহযোগিতা পেত। এরপর সেটা তারা পায়নি। দ্বিতীয়ত, কেনিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। ওদের ইলেকশন হয়েছে। মাঝে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ছিল। ওরা এখন কনট্রোলড ফান্ডিংয়ে চলছে। পুরো ফান্ড পায় না। ওদের গভর্ন্যান্স খুব একটা ভালো নয়।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট যেমন তরতর করে এগিয়েছে, টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সঙ্গে সরকারের সহযোগিতা—এসব কেনিয়া ক্রিকেটে ছিল না আসলে। একটা সময় ওদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় ছিল। কিন্তু প্রতিভাবান ২০ জন ক্রিকেটার দিয়ে একটা দেশের ক্রিকেট চলে না। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিযোগিতা থাকা দরকার। আমাদের যেমন অনেক দল ছিল এবং প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট হতো। কেনিয়ার জাতিগত সমস্যাও ছিল। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা দূরত্ব ছিল সব সময়ই। আর কিছু উপজাতীয় খেলোয়াড় ছিল। আর কেনিয়ানরা ফুটবলে তুলনামূলক বেশি মনোযোগ দিয়েছে; ক্রিকেটে নয়। ওরা ভাবত যে ক্রিকেট বিদেশিদের খেলা। বাংলাদেশে যখন যে সরকার আসে, তারা ক্রিকেটকে অনেক সমর্থন করে। কিছু মানুষের কথা বলতেই হবে। তানভীর মাজহার তান্না, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু; কিছু কিছু লোক ছিলেন যাঁরা বাংলাদেশ বিমান, আবাহনী, মোহামেডানে বিনা স্বার্থে ক্রিকেটে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এঁরাই টিকিয়ে রেখেছিলেন ৷ আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিপুল দর্শক-সমর্থন ছিল পাকিস্তান আমল থেকেই। এসব কেনিয়া ক্রিকেটে ছিল না।
একঝাঁক ক্রিকেটার এসেছিল কেনিয়ায়, যারা নিয়মিত পারফর্ম করেছিল। তবে ওই পারফরমারদের ধরে রাখার যে ব্যবস্থা দরকার, সেটা তাদের ছিল না। একটা গ্রুপকে ধরে রেখে প্রস্ফুটিত করার যে ব্যাপারটা, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করা, একটা সিস্টেম দাঁড় করানো—এসব কেনিয়ায় ছিল না।
আরও খবর পড়ুন:
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪