ফিরোজ আহম্মেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
এই বর্ষা মৌসুমের আগেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটকে আধুনিক নৌবন্দরে উন্নীতকরণের কাজ শুরুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত গতি নেই। বর্তমান অবস্থায় বর্ষার আগে কাজ শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীতে স্রোত ও ঝোড়ো বাতাসে আগেভাগেই ভাঙন শুরু হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ঘাট এলাকায়।
রাজবাড়ী পাউবো ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও এর পশ্চিমে দেবগ্রাম প্রান্তে ছয় কিলোমিটার এবং পাটুরিয়া ঘাটে দুই কিলোমিটার স্থায়ীভাবে আধুনিকায়ন করতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক গত বছরের জানুয়ারিতে ৬৮০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়নের জন্য রাজবাড়ী পাউবোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করতে না পারা এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এ কাজের বর্তমান ব্যয় বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ফাইল চালাচালি ও বুয়েটের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আটকে আছে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট নৌবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজ। পাউবোর দাবি, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ দিয়ে কাজ শুরু করতে অনুমোদনের জন্য বিআইডব্লিউটিএকে চিঠি দিয়েও উত্তর মিলছে না। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এবং বুয়েট থেকে চূড়ান্ত নকশার অপেক্ষায় আছে তারা।
ফলে আবারও ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়তে যাচ্ছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট, ফেরিঘাটসহ আশপাশের জনপদ। ভাঙনঝুঁকিতে পড়েছে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের আটটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। এ ছাড়া বুয়েট থেকে নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে আসেনি। যে কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। লঞ্চঘাটের বিপরীতে পশ্চিম পাশে লালু মণ্ডলপাড়া থেকে নদীর তীরবর্তী দেবগ্রাম ইউনিয়নের অন্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এক মাস ধরে ভাঙনে পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলের প্রায় অর্ধশত পরিবার ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিলীন হয়েছে কয়েক শ’ বিঘা আবাদি জমি। ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, টার্মিনাল, বাজার, খানকাপাক দরবার শরিফসহ দুটি ইউনিয়নের আটটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার।
পদ্মার পাড়ের লালু মণ্ডল পাড়ায় শূন্য ভিটায় ছোট্ট একটি মুদি দোকান দুলাল মণ্ডলের। তিনি আশায় আছেন, নদীশাসনের কাজ শুরু হলে আর চিন্তা নেই। তাঁর দোকান বেঁচে যাওয়ার পাশাপাশি তিনি এখানেই থাকার জন্য ঘর তুলবেন।
নদীর পাড়ে ভাঙা ছাপড়ার নিচে গরুকে খাবার দিতে দিতে দুলাল মণ্ডল বলেন, ঈদের আগে থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে এবার আগেভাগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে তাঁর প্রায় সাত বিঘা জমি বিলীন হয়েছে। এখন শূন্য ভিটায় ছাপড়া আর দোকান ছাড়া কিছুই নেই তাঁর।
ক্ষোভ নিয়ে লালু মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের এমপি সাহেব বলেছিলেন, নদীভাঙন ঠেকাবেন। অথচ আজ পর্যন্ত তাঁদের কারও খোঁজ নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান কারও কোনো মাথাব্যথা নেই ভাঙন ঠেকানোর। আমাদের ১০ কেজি চাল দিয়েও কেউ সাহায্য করে না। যখন ভাঙতে থাকে তখন তাঁদের তোড়জোড় শুরু হয় বস্তা ফেলার। বস্তা ফেললে যে ব্যবসা আছে। তাই যত বস্তা, তত টাকা কামাই।’
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নদীবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারিকুল হাসান বলেন, তাঁরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েট থেকে চূড়ান্ত নকশার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন। এ ছাড়া পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়ায় জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন এবং নকশাটা হাতে পেলেই কাজ শুরু হবে।
এই বর্ষা মৌসুমের আগেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটকে আধুনিক নৌবন্দরে উন্নীতকরণের কাজ শুরুর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত গতি নেই। বর্তমান অবস্থায় বর্ষার আগে কাজ শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীতে স্রোত ও ঝোড়ো বাতাসে আগেভাগেই ভাঙন শুরু হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ঘাট এলাকায়।
রাজবাড়ী পাউবো ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও এর পশ্চিমে দেবগ্রাম প্রান্তে ছয় কিলোমিটার এবং পাটুরিয়া ঘাটে দুই কিলোমিটার স্থায়ীভাবে আধুনিকায়ন করতে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক গত বছরের জানুয়ারিতে ৬৮০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়নের জন্য রাজবাড়ী পাউবোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করতে না পারা এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এ কাজের বর্তমান ব্যয় বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ফাইল চালাচালি ও বুয়েটের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আটকে আছে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট নৌবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজ। পাউবোর দাবি, প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ দিয়ে কাজ শুরু করতে অনুমোদনের জন্য বিআইডব্লিউটিএকে চিঠি দিয়েও উত্তর মিলছে না। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, জমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এবং বুয়েট থেকে চূড়ান্ত নকশার অপেক্ষায় আছে তারা।
ফলে আবারও ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়তে যাচ্ছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট, ফেরিঘাটসহ আশপাশের জনপদ। ভাঙনঝুঁকিতে পড়েছে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের আটটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। এ ছাড়া বুয়েট থেকে নকশার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে আসেনি। যে কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। লঞ্চঘাটের বিপরীতে পশ্চিম পাশে লালু মণ্ডলপাড়া থেকে নদীর তীরবর্তী দেবগ্রাম ইউনিয়নের অন্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এক মাস ধরে ভাঙনে পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলের প্রায় অর্ধশত পরিবার ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিলীন হয়েছে কয়েক শ’ বিঘা আবাদি জমি। ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, টার্মিনাল, বাজার, খানকাপাক দরবার শরিফসহ দুটি ইউনিয়নের আটটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার।
পদ্মার পাড়ের লালু মণ্ডল পাড়ায় শূন্য ভিটায় ছোট্ট একটি মুদি দোকান দুলাল মণ্ডলের। তিনি আশায় আছেন, নদীশাসনের কাজ শুরু হলে আর চিন্তা নেই। তাঁর দোকান বেঁচে যাওয়ার পাশাপাশি তিনি এখানেই থাকার জন্য ঘর তুলবেন।
নদীর পাড়ে ভাঙা ছাপড়ার নিচে গরুকে খাবার দিতে দিতে দুলাল মণ্ডল বলেন, ঈদের আগে থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে এবার আগেভাগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে তাঁর প্রায় সাত বিঘা জমি বিলীন হয়েছে। এখন শূন্য ভিটায় ছাপড়া আর দোকান ছাড়া কিছুই নেই তাঁর।
ক্ষোভ নিয়ে লালু মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের এমপি সাহেব বলেছিলেন, নদীভাঙন ঠেকাবেন। অথচ আজ পর্যন্ত তাঁদের কারও খোঁজ নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান কারও কোনো মাথাব্যথা নেই ভাঙন ঠেকানোর। আমাদের ১০ কেজি চাল দিয়েও কেউ সাহায্য করে না। যখন ভাঙতে থাকে তখন তাঁদের তোড়জোড় শুরু হয় বস্তা ফেলার। বস্তা ফেললে যে ব্যবসা আছে। তাই যত বস্তা, তত টাকা কামাই।’
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নদীবন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পের পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারিকুল হাসান বলেন, তাঁরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েট থেকে চূড়ান্ত নকশার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন। এ ছাড়া পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়ায় জমি অধিগ্রহণের কাজ এখনো শেষ হয়নি। অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন এবং নকশাটা হাতে পেলেই কাজ শুরু হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে