Ajker Patrika

নীলফামারীতে নতুন জাতের ধান, খুশি কৃষক

নীলফামারী ও ডিমলা প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১২: ০৬
নীলফামারীতে নতুন জাতের ধান, খুশি কৃষক

নীলফামারীর ডিমলায় নতুন জাতের ব্রি-৭৪ ধান চাষে সফলতা মিলেছে। দীর্ঘদিন এ অঞ্চলের চাষিরা ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের ধান চাষ করছেন। বিকল্প হিসেবে উচ্চ ফলনশীল এ জাতের ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্রণোদনার বীজে ব্রি-৭৪ জাত ৪৭৫ হেক্টর এবং ব্রি-৮৯ ও ৯২ জাতের ১৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া ব্রি-৮৯ ও ৯২ জাতগুলোর তুলনায় পরীক্ষামূলক প্রদর্শনীতে বাম্পার ফলন হয়েছে।

ঝড়ে ব্রি-৭৪ ধান নুয়ে পড়ে না। বিঘাপ্রতি ফলন প্রায় ২৫ মণ। আগের জাতগুলো থেকে অনেক বেশি রোগ প্রতিরোধী।

জানা গেছে, বোরো মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ ফলন দিয়েছে ব্রি-৯২। চাষিরা বিঘাপ্রতি ৩০ মণ ফলন পেয়েছেন উচ্চফলনশীল এ জাতটি থেকে। যেখানে প্রতি হেক্টরে ব্রি-২৮ জাতের ধান উৎপাদন হতো ৬ টন, সেখানে একই জমিতে ব্রি-৯২ চাষ করে ফলন পাওয়া গেছে সাড়ে ৭ টন পর্যন্ত।

সদর ইউনিয়নের চৌপথী গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম এ বছর প্রথম দুই বিঘা জমিতে ব্রি-৭৪ ও ৯২ জাতের ধান চাষ করেন।

নজরুল বলেন, ‘এবার নতুন জাত চাষ করে বিঘাপ্রতি ৩০ মণ করে ফলন পেয়েছি। এর আগে ব্রি-২৮ আবাদ করে ১৬ থেকে ১৮ মণ ধান পেতাম। তাই প্রতিবারই বোরো ধান আবাদ করে খরচ উঠিয়ে লাভ করা নিয়ে হতাশায় থাকতে হয়েছে। কিন্তু এবার নতুন ধানের ফলন খুব ভালো। বাজারের যে দর যাচ্ছে, বিঘাপ্রতি কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা বাড়তি দাম পেয়েছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, ব্রি-৯২ ধানসহ কাছাকাছি কয়েকটি জাত সম্প্রসারণে বিনা মূল্যে কৃষকদের মাঝে সরকারি বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। কয়েকটি নতুন জাতের প্রদর্শনী করা হয়েছে। নতুন জাতগুলোতে ফলন বেশি বলে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, বিআইডিসি নিজস্ব উৎপাদন ব্যবস্থায় এসব বীজ উৎপাদন করবে, যা কৃষকদের মধ্যে স্বল্পমূল্যে পৌঁছাবে। এদিকে, ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে নতুন নতুন জাতের ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত