আশরাফ-উল-আলম ও শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় করা ১৫৯টি মামলার মধ্যে ৪১টির বিচারকাজ শেষ হয়নি ১৮ বছরেও। সাক্ষী না পাওয়ায় গত দুই বছর এসব মামলার কার্যক্রম থমকে আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ওই হামলার মাধ্যমে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতি জানান দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। ওই হামলায় ২ জন নিহত এবং ১০৪ জন আহত হয়েছিলেন। পরে এই সংগঠনটিকে সরকার নিষিদ্ধ করে। ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় জেএমবির আমির শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানিসহ সাত শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আদালত ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ওই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা হয়। তদন্ত শেষে এসব মামলায় ৭৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয় ৫৬০ জঙ্গিকে। ১৮ বছরে এসব মামলার মধ্যে ১১৮টির রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ১৯৩ জনের। খালাস পেয়েছেন ২৮১ জন।
তবে এখনো নিষ্পত্তি হয়নি ৪১টি মামলা। সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে এসব মামলার বিচারকাজ শেষ হচ্ছে না। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শতাধিক জঙ্গির করা আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
ঢাকা মহানগর আদালত সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের বোমা হামলার ঘটনায় ১৮টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় পুলিশ ও র্যাব ৯১ জনকে গ্রেপ্তার করে। ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। ১৪টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও বর্তমানে ৪টি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মামলাগুলোতে সে সময় যাঁদের সাক্ষী করা হয়েছিল, তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে মারা গেছেন। কেউ অন্য এলাকায় চলে গেছেন। পুরোনো এসব মামলার সাক্ষীদের আদালতে হাজির করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিরিজ বোমা হামলা মামলার সাক্ষীদের খুঁজে না পাওয়ায় কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তি হয়নি। তবে মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ খুবই আন্তরিক। সাক্ষী হাজির করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে জানা গেছে, হাইকোর্টে জঙ্গিদের করা বেশ কিছু ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি হয়েছে। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন।
জেএমবির গ্রেপ্তার জঙ্গিদের জবানবন্দি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে গঠিত জেএমবি প্রথম নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে ২০০১ সালে। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার একটি সিনেমা হলে, ২০০২ সালের ১ মে নাটোরের একটি সিনেমা হলে এবং ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা চালায়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা করে। একই বছরের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে দুই বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করে। ওই মামলায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ মধ্যরাতে জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইসহ শীর্ষ ছয় নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়। গ্রেপ্তারের পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে আরিফ নামে আরেক জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়।
পুলিশ ও র্যাবের সূত্রগুলো বলছে, সিরিজ বোমা হামলার পর জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে সরকার। পরে বিভিন্ন সময়ে আরও আটটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে জেএমবিকে এখনো সমূলে উৎপাটন করা যায়নি। জেএমবির পলাতক নেতারাই বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন গড়ে তুলছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আগে জঙ্গিবাদে জড়িত সন্ত্রাসীরা নতুন নামে সংগঠন খুলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেপে ধরেছে।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় করা ১৫৯টি মামলার মধ্যে ৪১টির বিচারকাজ শেষ হয়নি ১৮ বছরেও। সাক্ষী না পাওয়ায় গত দুই বছর এসব মামলার কার্যক্রম থমকে আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ওই হামলার মাধ্যমে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতি জানান দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। ওই হামলায় ২ জন নিহত এবং ১০৪ জন আহত হয়েছিলেন। পরে এই সংগঠনটিকে সরকার নিষিদ্ধ করে। ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যা মামলায় জেএমবির আমির শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানিসহ সাত শীর্ষ নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আদালত ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ওই সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা হয়। তদন্ত শেষে এসব মামলায় ৭৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয় ৫৬০ জঙ্গিকে। ১৮ বছরে এসব মামলার মধ্যে ১১৮টির রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ১৯৩ জনের। খালাস পেয়েছেন ২৮১ জন।
তবে এখনো নিষ্পত্তি হয়নি ৪১টি মামলা। সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে এসব মামলার বিচারকাজ শেষ হচ্ছে না। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শতাধিক জঙ্গির করা আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
ঢাকা মহানগর আদালত সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টের বোমা হামলার ঘটনায় ১৮টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় পুলিশ ও র্যাব ৯১ জনকে গ্রেপ্তার করে। ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। ১৪টি মামলা নিষ্পত্তি হলেও বর্তমানে ৪টি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মামলাগুলোতে সে সময় যাঁদের সাক্ষী করা হয়েছিল, তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে মারা গেছেন। কেউ অন্য এলাকায় চলে গেছেন। পুরোনো এসব মামলার সাক্ষীদের আদালতে হাজির করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিরিজ বোমা হামলা মামলার সাক্ষীদের খুঁজে না পাওয়ায় কয়েকটি মামলা নিষ্পত্তি হয়নি। তবে মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ খুবই আন্তরিক। সাক্ষী হাজির করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে জানা গেছে, হাইকোর্টে জঙ্গিদের করা বেশ কিছু ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি হয়েছে। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন।
জেএমবির গ্রেপ্তার জঙ্গিদের জবানবন্দি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে গঠিত জেএমবি প্রথম নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে ২০০১ সালে। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার একটি সিনেমা হলে, ২০০২ সালের ১ মে নাটোরের একটি সিনেমা হলে এবং ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা চালায়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা করে। একই বছরের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে দুই বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করে। ওই মামলায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ মধ্যরাতে জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইসহ শীর্ষ ছয় নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়। গ্রেপ্তারের পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে আরিফ নামে আরেক জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর হয়।
পুলিশ ও র্যাবের সূত্রগুলো বলছে, সিরিজ বোমা হামলার পর জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে সরকার। পরে বিভিন্ন সময়ে আরও আটটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে জেএমবিকে এখনো সমূলে উৎপাটন করা যায়নি। জেএমবির পলাতক নেতারাই বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন গড়ে তুলছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আগে জঙ্গিবাদে জড়িত সন্ত্রাসীরা নতুন নামে সংগঠন খুলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেপে ধরেছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে