ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
লামিয়া রহমান, ঝিনাইদহের লাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। নতুন বছরের আড়াই মাস পেরোলেও পায়নি পাঁচটি নতুন পাঠ্যবই। জোগাড় করতে পারেনি পুরোনো বইও। এমন অবস্থায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে তার লেখাপড়া। বাড়িতে একটি মাত্র বাংলা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ের বই পড়তে পারছে না। বই না পেয়ে নিজের কষ্টের কথা জানায় এ খুদে শিক্ষার্থী।
এমন চিত্র জেলার প্রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলগুলোতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন বই সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব নতুন বই পেয়েছে।
শহরের স্কুলগুলোতে বই সংকট কিছুটা কম থাকলেও গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র ১টি করে বই। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেছে পুরোনো বই। এমন অবস্থায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বাড়িতে গিয়েও পড়াশোনা করতে পারছে না তারা।
জানা যায়, জেলায় প্রাথমিকে ১ হাজার ৪৫৯টি স্কুলের বিপরীতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ে নতুন বই পেয়েছে। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণির ৪৩ হাজার ৮৪৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৬১৫ জন শিক্ষার্থী দুটি করে নতুন বই পেয়েছে আর চতুর্থ শ্রেণির ৪১ হাজার ৯২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৯৭২ জন পেয়েছে নতুন দুটি করে বই। পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৫ হাজার ৭৬২ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একটি করে বই পেয়েছে ৫ হাজার ৯৭০ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরোনো বই সংগ্রহ করে সব বই পেয়েছে মাত্র ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী। বাকি শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে চালাতে পারছে না তাদের শিক্ষাকার্যক্রম।
যদিও শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ৪টি করেই নতুন বই পেয়েছে আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৩টি বিষয়ের। জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার ৫৩১ টি, পাওয়া গেছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার।
শিক্ষার্থী লামিয়া রহমান বলে, ‘আমি স্কুল থেকে গিয়ে বাড়িতে বাংলা ছাড়া অন্য কোনো বই পড়তে পারি না। স্কুলে ম্যাডামরা পড়ালেও বাড়িতে গিয়ে পড়তে না পারায় ইংরেজি, গণিতসহ অন্যান্য বিষয় ভালো মনে থাকে না।’
করোতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল জানায়, স্কুল থেকে ১টি বই দিয়েছে। বাড়িতে অন্য বিষয় পড়তে পারে না। শুধু স্কুলে এসে সহপাঠীদের বই নিয়ে পড়তে হয়। তাও বন্ধুরা অনেক সময় বই দিতে চায় না।
এদিকে, বই না পাওয়াই শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকেরা। লাউদিয়া এলাকার অভিভাবক নাসিমা খাতুন বলেন, ‘করোনায় শিশুদের লেখাপড়া চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ওপর এখনো তারা বই পেল না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে তো প্রাথমিকের শিক্ষাব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙে পড়বে। সরকারের উচিত শিগগিরই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া।’
লাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পর্শিয়া খানম বলেন, ‘বছরের শুরুর দিনে নতুন বই দেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের হাতে বই না আসায় শিক্ষার্থীদের বই দিতে পারিনি। কিছু পুরোনো বই ম্যানেজ করে পাঠদান চালাচ্ছি। পুরোনো বই কয়েক বছর প্রয়োজন হয়নি। আবার গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো রাখেনি। তাই পুরোনো বইও সব ম্যানেজ করা যায়নি।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়েছে। দুই একটি বিষয়ে বই দিতে পারিনি। তবে স্কুল খুলে যাওয়ায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি।’ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, ‘অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি প্রিন্টিং কার্যক্রমের দায়িত্বরতদের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় প্রাথমিকে বই ছাপানোর কিছু সমস্যা হয়েছে। দ্রুত বই পেয়ে যাব এবং তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’
লামিয়া রহমান, ঝিনাইদহের লাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। নতুন বছরের আড়াই মাস পেরোলেও পায়নি পাঁচটি নতুন পাঠ্যবই। জোগাড় করতে পারেনি পুরোনো বইও। এমন অবস্থায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে তার লেখাপড়া। বাড়িতে একটি মাত্র বাংলা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ের বই পড়তে পারছে না। বই না পেয়ে নিজের কষ্টের কথা জানায় এ খুদে শিক্ষার্থী।
এমন চিত্র জেলার প্রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলগুলোতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন বই সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব নতুন বই পেয়েছে।
শহরের স্কুলগুলোতে বই সংকট কিছুটা কম থাকলেও গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র ১টি করে বই। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেছে পুরোনো বই। এমন অবস্থায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি বাড়িতে গিয়েও পড়াশোনা করতে পারছে না তারা।
জানা যায়, জেলায় প্রাথমিকে ১ হাজার ৪৫৯টি স্কুলের বিপরীতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ে নতুন বই পেয়েছে। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণির ৪৩ হাজার ৮৪৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৬১৫ জন শিক্ষার্থী দুটি করে নতুন বই পেয়েছে আর চতুর্থ শ্রেণির ৪১ হাজার ৯২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৯৭২ জন পেয়েছে নতুন দুটি করে বই। পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৫ হাজার ৭৬২ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একটি করে বই পেয়েছে ৫ হাজার ৯৭০ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরোনো বই সংগ্রহ করে সব বই পেয়েছে মাত্র ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী। বাকি শিক্ষার্থীরা বই না পেয়ে চালাতে পারছে না তাদের শিক্ষাকার্যক্রম।
যদিও শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ৪টি করেই নতুন বই পেয়েছে আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৩টি বিষয়ের। জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার ৫৩১ টি, পাওয়া গেছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার।
শিক্ষার্থী লামিয়া রহমান বলে, ‘আমি স্কুল থেকে গিয়ে বাড়িতে বাংলা ছাড়া অন্য কোনো বই পড়তে পারি না। স্কুলে ম্যাডামরা পড়ালেও বাড়িতে গিয়ে পড়তে না পারায় ইংরেজি, গণিতসহ অন্যান্য বিষয় ভালো মনে থাকে না।’
করোতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল জানায়, স্কুল থেকে ১টি বই দিয়েছে। বাড়িতে অন্য বিষয় পড়তে পারে না। শুধু স্কুলে এসে সহপাঠীদের বই নিয়ে পড়তে হয়। তাও বন্ধুরা অনেক সময় বই দিতে চায় না।
এদিকে, বই না পাওয়াই শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকেরা। লাউদিয়া এলাকার অভিভাবক নাসিমা খাতুন বলেন, ‘করোনায় শিশুদের লেখাপড়া চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ওপর এখনো তারা বই পেল না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে তো প্রাথমিকের শিক্ষাব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙে পড়বে। সরকারের উচিত শিগগিরই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া।’
লাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পর্শিয়া খানম বলেন, ‘বছরের শুরুর দিনে নতুন বই দেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের হাতে বই না আসায় শিক্ষার্থীদের বই দিতে পারিনি। কিছু পুরোনো বই ম্যানেজ করে পাঠদান চালাচ্ছি। পুরোনো বই কয়েক বছর প্রয়োজন হয়নি। আবার গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরাও ঠিকমতো রাখেনি। তাই পুরোনো বইও সব ম্যানেজ করা যায়নি।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়েছে। দুই একটি বিষয়ে বই দিতে পারিনি। তবে স্কুল খুলে যাওয়ায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি।’ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, ‘অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি প্রিন্টিং কার্যক্রমের দায়িত্বরতদের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় প্রাথমিকে বই ছাপানোর কিছু সমস্যা হয়েছে। দ্রুত বই পেয়ে যাব এবং তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে