তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
জীবন বলীর জীবনে অন্য বলীদের অবদানও কম নয়। এত দূর আসার নেপথ্যে নিজের প্রচেষ্টা তো আছেই, সঙ্গে আছে অন্য বলীদের সহযোগিতাও। প্রবীণ বলীদের দেখে বলীখেলায় উদ্বুদ্ধ তো হয়েছেনই, আবদুল জব্বার বলীখেলার মূল মঞ্চে নামার আগের কিছুদিন এই বলীদের সঙ্গে খেলেই নিজেকে গড়ে তোলেন জীবন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেই বলীদের ভুললেন না জীবন বলী।
জব্বারের বলীখেলার ১১৩তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় জীবন ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন ২৫ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার। সেই টাকার প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার টাকা বলীখেলায় আসা অন্তত ২০ জন বলীকে ভাগ করে দিয়েছেন তিনি। কাউকে দিয়েছেন ৫০০ টাকা, কাউকে ১ হাজার।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক দিন পেরিয়ে গেলেও ৭২ বলীর মধ্যে সেরা হওয়ার ঘোর তখনো কাটেনি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জীবন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন গ্রামের বাড়ি চকরিয়ায় ফেরার। এমন সময় কথা হলো আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
শাহজালাল বলীকে হারিয়ে শোধ নিলেন। কেমন অনুভূতি হচ্ছে–এমন প্রশ্নে উপচে পড়ল হাসির ঢেউ। ফোনের এপারেও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল জীবনের সশব্দের হাসি। সেই হাসি থামিয়ে জীবন বললেন, সবাই মহাখুশি। ফোনে অভিনন্দন বার্তা গ্রহণ করতে করতেই সময় কাটছে। এরপরই জীবন শোনালেন পুরস্কারের অর্থ কীভাবে খরচ করছেন।
খেলায় যাঁরা হেরেছেন তাঁদের তো কিছু দেওয়া হলো না। সে জন্য তাঁদের গাড়ি ভাড়া হিসেবে আমি কাউকে ৫০০, কাউকে ১ হাজার টাকা দিলাম। প্রায় ১৭ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকিটা নিজের কাছে রেখেছি। আর আমি তো সম্মানের জন্যই খেলি।’
সবাইকে বণ্টন করার পর হাতে থাকা ৮ হাজার টাকা কীভাবে খরচ করবেন সেটিও ‘ফাঁস’ করেছেন জীবন। বলেন, ‘বাড়িতে আমার অপেক্ষায় আছে পাঁচ বছরের মেয়ে আর তিন বছরের ছেলে। তাদের জন্য এই টাকায় চকরিয়া থেকে ঈদের কাপড় কিনব।’
একটা সময় গ্রামে গ্রামে বলীখেলা আর গরুর লড়াইয়ের আয়োজন হতো। সেই লড়াই দেখেই বলীখেলায় উদ্বুদ্ধ হন জীবন। এরপর ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বলীখেলায় অংশ নেন। তবে সাফল্য এসে ধরা দেয় ২০১৮ সালে। এবার আবারও চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি।
ছেলেকেও কি বলী বানাবেন? এমন প্রশ্নে তাই জীবন একটুও সময় না নিয়ে বলে উঠলেন, ‘ছেলেকে আমি কখনো বলীখেলায় আসতে দেব না। কেননা এখানে আগে সম্মান ছিল, এখন নেই। একটু সম্মান চাই আমরা।’ মনের টানে শত বছরের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা সব বলীর কথাও যেন এটিই।
জীবন বলীর জীবনে অন্য বলীদের অবদানও কম নয়। এত দূর আসার নেপথ্যে নিজের প্রচেষ্টা তো আছেই, সঙ্গে আছে অন্য বলীদের সহযোগিতাও। প্রবীণ বলীদের দেখে বলীখেলায় উদ্বুদ্ধ তো হয়েছেনই, আবদুল জব্বার বলীখেলার মূল মঞ্চে নামার আগের কিছুদিন এই বলীদের সঙ্গে খেলেই নিজেকে গড়ে তোলেন জীবন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেই বলীদের ভুললেন না জীবন বলী।
জব্বারের বলীখেলার ১১৩তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় জীবন ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন ২৫ হাজার টাকার অর্থ পুরস্কার। সেই টাকার প্রায় ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার টাকা বলীখেলায় আসা অন্তত ২০ জন বলীকে ভাগ করে দিয়েছেন তিনি। কাউকে দিয়েছেন ৫০০ টাকা, কাউকে ১ হাজার।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক দিন পেরিয়ে গেলেও ৭২ বলীর মধ্যে সেরা হওয়ার ঘোর তখনো কাটেনি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জীবন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন গ্রামের বাড়ি চকরিয়ায় ফেরার। এমন সময় কথা হলো আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
শাহজালাল বলীকে হারিয়ে শোধ নিলেন। কেমন অনুভূতি হচ্ছে–এমন প্রশ্নে উপচে পড়ল হাসির ঢেউ। ফোনের এপারেও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল জীবনের সশব্দের হাসি। সেই হাসি থামিয়ে জীবন বললেন, সবাই মহাখুশি। ফোনে অভিনন্দন বার্তা গ্রহণ করতে করতেই সময় কাটছে। এরপরই জীবন শোনালেন পুরস্কারের অর্থ কীভাবে খরচ করছেন।
খেলায় যাঁরা হেরেছেন তাঁদের তো কিছু দেওয়া হলো না। সে জন্য তাঁদের গাড়ি ভাড়া হিসেবে আমি কাউকে ৫০০, কাউকে ১ হাজার টাকা দিলাম। প্রায় ১৭ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকিটা নিজের কাছে রেখেছি। আর আমি তো সম্মানের জন্যই খেলি।’
সবাইকে বণ্টন করার পর হাতে থাকা ৮ হাজার টাকা কীভাবে খরচ করবেন সেটিও ‘ফাঁস’ করেছেন জীবন। বলেন, ‘বাড়িতে আমার অপেক্ষায় আছে পাঁচ বছরের মেয়ে আর তিন বছরের ছেলে। তাদের জন্য এই টাকায় চকরিয়া থেকে ঈদের কাপড় কিনব।’
একটা সময় গ্রামে গ্রামে বলীখেলা আর গরুর লড়াইয়ের আয়োজন হতো। সেই লড়াই দেখেই বলীখেলায় উদ্বুদ্ধ হন জীবন। এরপর ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বলীখেলায় অংশ নেন। তবে সাফল্য এসে ধরা দেয় ২০১৮ সালে। এবার আবারও চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি।
ছেলেকেও কি বলী বানাবেন? এমন প্রশ্নে তাই জীবন একটুও সময় না নিয়ে বলে উঠলেন, ‘ছেলেকে আমি কখনো বলীখেলায় আসতে দেব না। কেননা এখানে আগে সম্মান ছিল, এখন নেই। একটু সম্মান চাই আমরা।’ মনের টানে শত বছরের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা সব বলীর কথাও যেন এটিই।
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে