সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে জায়গা-জমি দেওয়া পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ বাবদ আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন। বসবাসের জন্য পেয়েছেন মাদারীপুরের বাখরেরকান্দি এলাকায় পুনর্বাসনকেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাসিন্দাদের রয়েছে নানা অভিযোগ। পুনর্বাসনকেন্দ্রে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। পয়োনিষ্কাশনের নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে নিয়মিত চিকিৎসক থাকেন না। ফলে চিকিৎসাসেবা পান না বলে অভিযোগ পুনর্বাসনকেন্দ্রের বাসিন্দাদের। এ ছাড়া দিন দিন এ কেন্দ্রে বাড়ছে বসতি।
তবে বাখরেরকান্দি পুনর্বাসনকেন্দ্রসহ পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সারফুল ইসলাম সরকার বলছেন ভিন্ন কথা। সারফুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বসবাসকারীদের। তাঁদের সব করে দেব, এমনটা সঠিক নয়।’
সরেজমিন গিয়ে কথা হলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাখরেরকান্দি পুনর্বাসনকেন্দ্রের আব্দুর ছাত্তার মাতুব্বরের সঙ্গে। আব্দুর ছাত্তার মাতুব্বর বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে পদ্মা সেতুর বেড়িবাঁধের জন্য ৯৮ শতাংশ ফসলি জমি ও ১৬ শতাংশ বাড়ির জমি সরকারি প্রকল্পে দিতে হয়েছে। বিনিময়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে ৫ শতাংশ জমি প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ করে কিনতে হয়েছে। এই জায়গায় ৪ ছেলে ও তাঁদের পরিবার নিয়ে বাস করছি। তিনটা ঘর তুলছি কোনো রকমে।’
শাহজাহান খান বলেন, ‘কোনো রকম টিনের ঘর তুলেছি। পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতে হবে। এখানে পাকা রাস্তা আর বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। পয়োনিষ্কাশনের জন্য নালা থাকলেও পরিষ্কার করা হয় না। সবাই চাঁদা তুলে মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করি।’
পুনর্বাসনকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) সূত্রে জানা গেছে, বাখরেরকান্দি পুনর্বাসনকেন্দ্রে আড়াই শতাংশ জমির জন্য ৫০ হাজার টাকা, পাঁচ শতাংশের জন্য ১ লাখ, আর সাড়ে ৭ শতাংশের জন্য দেড় লাখ টাকা দিয়ে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট প্লট রয়েছে ৬১১টি। এ পর্যন্ত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের ৬০৩টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কেন্দ্রে সরকারিভাবে একটি মসজিদ, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সুপেয় পানিসহ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। এসব তদারকিও করছে এনজিও প্রতিষ্ঠান।
মাদবরেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা শাহীন হাওলাদার বলেন, কেন্দ্রে চারদিকে যে দেয়াল দেওয়া হয়েছে, ‘তার নিচ দিয়ে চোর ঢোকে। যে কারণে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। কারও হাঁস মুরগি, শাকসবজি চুরি হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলাও যায় না।’
বাখরেরকান্দি পদ্মা সেতু স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও প্রায়ই চিকিৎসক থাকেন না। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এখানকার আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মৌমিতা ইসলাম হাসপাতালে নেই। তাঁর সহকারী ডা. প্রতাপ চন্দ্র দাস কাজ করছেন।
বাখরেরকান্দি পুনর্বাসন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপমেডিকেল কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ চন্দ্র দাস বলেন, ‘এটি কোনো পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নয়। এখান থেকে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক পরামর্শ ও কার্যক্রম, টিকাদান কর্মসূচি ও রেফারেল সার্ভিস দেওয়া হবে। রোগীদের বড় কোনো সমস্যা থাকলে তাঁদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।’
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) বাখরেরকান্দি কেন্দ্রের সমন্বয়ক অনন্ত কুমার রায় বলেন, ‘আমরা ওখানের ব্যবস্থাপনা দেখভাল করি। মাওয়াঘাটে আমাদের প্রধান অফিস। এখান থেকে গিয়ে আমরা বাসিন্দাদের সেবা দিয়ে থাকি। কোনো সমস্যা হলে সমাধানের চেষ্টা করি। না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানায়।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বাখরেরকান্দি পুনর্বাসনকেন্দ্রসহ পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সারফুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। সারফুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য যাঁদের জায়গা নেওয়া হয়েছে, তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রে জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওখানে রাস্তা, সুপেয় পানি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দেওয়া হয়েছে। এসব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বসবাসকারীদের। তাঁদের সব করে দেওয়া হবে, এমনটা সঠিক নয়।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে জায়গা-জমি দেওয়া পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ বাবদ আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছেন। বসবাসের জন্য পেয়েছেন মাদারীপুরের বাখরেরকান্দি এলাকায় পুনর্বাসনকেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাসিন্দাদের রয়েছে নানা অভিযোগ। পুনর্বাসনকেন্দ্রে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। পয়োনিষ্কাশনের নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে নিয়মিত চিকিৎসক থাকেন না। ফলে চিকিৎসাসেবা পান না বলে অভিযোগ পুনর্বাসনকেন্দ্রের বাসিন্দাদের। এ ছাড়া দিন দিন এ কেন্দ্রে বাড়ছে বসতি।
তবে বাখরেরকান্দি পুনর্বাসনকেন্দ্রসহ পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সারফুল ইসলাম সরকার বলছেন ভিন্ন কথা। সারফুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বসবাসকারীদের। তাঁদের সব করে দেব, এমনটা সঠিক নয়।’
সরেজমিন গিয়ে কথা হলো মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাখরেরকান্দি পুনর্বাসনকেন্দ্রের আব্দুর ছাত্তার মাতুব্বরের সঙ্গে। আব্দুর ছাত্তার মাতুব্বর বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে পদ্মা সেতুর বেড়িবাঁধের জন্য ৯৮ শতাংশ ফসলি জমি ও ১৬ শতাংশ বাড়ির জমি সরকারি প্রকল্পে দিতে হয়েছে। বিনিময়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে ৫ শতাংশ জমি প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ করে কিনতে হয়েছে। এই জায়গায় ৪ ছেলে ও তাঁদের পরিবার নিয়ে বাস করছি। তিনটা ঘর তুলছি কোনো রকমে।’
শাহজাহান খান বলেন, ‘কোনো রকম টিনের ঘর তুলেছি। পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতে হবে। এখানে পাকা রাস্তা আর বিদ্যুতের লাইন রয়েছে। পয়োনিষ্কাশনের জন্য নালা থাকলেও পরিষ্কার করা হয় না। সবাই চাঁদা তুলে মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করি।’
পুনর্বাসনকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) সূত্রে জানা গেছে, বাখরেরকান্দি পুনর্বাসনকেন্দ্রে আড়াই শতাংশ জমির জন্য ৫০ হাজার টাকা, পাঁচ শতাংশের জন্য ১ লাখ, আর সাড়ে ৭ শতাংশের জন্য দেড় লাখ টাকা দিয়ে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট প্লট রয়েছে ৬১১টি। এ পর্যন্ত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের ৬০৩টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কেন্দ্রে সরকারিভাবে একটি মসজিদ, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সুপেয় পানিসহ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। এসব তদারকিও করছে এনজিও প্রতিষ্ঠান।
মাদবরেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা শাহীন হাওলাদার বলেন, কেন্দ্রে চারদিকে যে দেয়াল দেওয়া হয়েছে, ‘তার নিচ দিয়ে চোর ঢোকে। যে কারণে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। কারও হাঁস মুরগি, শাকসবজি চুরি হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলাও যায় না।’
বাখরেরকান্দি পদ্মা সেতু স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও প্রায়ই চিকিৎসক থাকেন না। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এখানকার আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মৌমিতা ইসলাম হাসপাতালে নেই। তাঁর সহকারী ডা. প্রতাপ চন্দ্র দাস কাজ করছেন।
বাখরেরকান্দি পুনর্বাসন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপমেডিকেল কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ চন্দ্র দাস বলেন, ‘এটি কোনো পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নয়। এখান থেকে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক পরামর্শ ও কার্যক্রম, টিকাদান কর্মসূচি ও রেফারেল সার্ভিস দেওয়া হবে। রোগীদের বড় কোনো সমস্যা থাকলে তাঁদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।’
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) বাখরেরকান্দি কেন্দ্রের সমন্বয়ক অনন্ত কুমার রায় বলেন, ‘আমরা ওখানের ব্যবস্থাপনা দেখভাল করি। মাওয়াঘাটে আমাদের প্রধান অফিস। এখান থেকে গিয়ে আমরা বাসিন্দাদের সেবা দিয়ে থাকি। কোনো সমস্যা হলে সমাধানের চেষ্টা করি। না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানায়।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বাখরেরকান্দি পুনর্বাসনকেন্দ্রসহ পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সারফুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। সারফুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য যাঁদের জায়গা নেওয়া হয়েছে, তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রে জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওখানে রাস্তা, সুপেয় পানি ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে দেওয়া হয়েছে। এসব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বসবাসকারীদের। তাঁদের সব করে দেওয়া হবে, এমনটা সঠিক নয়।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে