উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
বাংলাদেশ সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য সহকারী সচিব পদে এক-তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণের বিধান আছে। কিন্তু সেই বিধান মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের (পিও)। তাঁরা বলছেন, তাঁদের পদোন্নতির জন্য আছে ক্যাডারবহির্ভূত ২৬৭টি সহকারী সচিব, ৭২টি সিনিয়র সহকারী সচিব এবং ৯টি উপসচিব পদ। সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবের ১৮৪টি এবং উপসচিবের ৬২টিসহ আরও মোট ২৪৬টি পদ তাঁদের প্রাপ্য। ৩০ বছর ধরে এ নিয়ে টালবাহানা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ আছে সচিবালয়ের আড়াই হাজার নন-ক্যাডার কর্মকর্তার মধ্যে।
জানা গেছে, অতিরিক্ত ২৪৬টি পদ সংরক্ষণের দাবিতে সচিবালয়ের কমবেশি ১০টি সংগঠন কয়েক বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়ে আসছে।২০২০ সালের ডিসেম্বরে আবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মজীবী কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী লিয়াজোঁ কমিটি, বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সচিবালয় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সচিবালয় সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কম্পিউটার অপারেটর কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সচিবালয় অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সচিবালয় ডেটা এন্ট্রি অপারেটর কল্যাণ সমিতি এবং বাংলাদেশ সচিবালয় অফিস সহায়ক (১৭-২০) কল্যাণ সমিতি। সবশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একই দাবি জানিয়েছে ‘সরাসরি নিযুক্ত এও-পিও সমিতি’। এসব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিধান বিশ্লেষণ করতে অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুস সবুর মণ্ডলের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর কমিটিপ্রধানের সঙ্গে সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা দেখা করে আবারও এ বিষয়ে দাবি জানান।
সরাসরি নিযুক্ত এও-পিও সমিতির সভাপতি শফিউদ্দিন শেখ বলেন, ‘সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। কিন্তু ৩০ বছর ধরে তা মানা হচ্ছে না। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সচিবালয়) ক্যাডার একীভূত হয়। এ-সংক্রান্ত আদেশে সচিবালয়ের ভিত্তিপদ সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের মোট পদের এক-তৃতীয়াংশ নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য রাখতে বলা হয়। প্রশাসন ও সচিবালয় ক্যাডার একীভূত করার সুপারিশ করে এস এম আকরাম কমিটি। ওই কমিটির সুপারিশে বলা হয়, ভবিষ্যতে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নতুন পদ সৃষ্টি হলে নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য আনুপাতিক হারে পদ সংরক্ষণ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা এসব নন-ক্যাডার পদের ফিডার হিসেবে পদোন্নতিযোগ্য হবেন।
সেই হিসাবে নন-ক্যাডার সহকারী সচিবের জন্য ২০০৬ সালের পর বিভিন্ন সময়ে সৃষ্ট পদের আনুপাতিক ২৬৭টি এবং সিনিয়র সহকারী সচিবের ৭২টি পদ সংরক্ষিত আছে। ২০১৮ সালে ইকোনমিক ও প্রশাসন ক্যাডার একীভূত হওয়ার সময় আকরাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী প্রধান ও সহকারী প্রধানের ৪০৪ পদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত হয়। এর এক-তৃতীয়াংশ হিসেবে ১৩৫টি পদ নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য রাখার কথা। অপর এক আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবের ১১১টি পদ সংরক্ষণ করা হলেও আবার তা কমিয়ে ৭২টি সংরক্ষণ করা হয়। অর্থাৎ কেটে দেওয়া হয় ৩৯টি পদ। ২০১৮ সালের পর সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের ৩০টি নতুন পদ সৃজন করা হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি এর এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১০টি পদ। এ অনুযায়ী সহকারী সচিবের (নন-ক্যাডার) বিদ্যমান পদের বাইরে আরও ১৮৪টি পদ ক্যাডারবহির্ভূত কর্মকর্তাদের প্রাপ্য।
একইভাবে উপসচিবের ক্ষেত্রে ২৬টি পদ সংরক্ষণের কথা থাকলেও করা হয় মাত্র ৯টি। বাকি ১৭টিসহ পরবর্তীকালে পদ বৃদ্ধির কারণে আনুপাতিক হারে পদ সংরক্ষণের কোটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২টিতে।
দ্রুত নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামাল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রেষণ) মো. আবদুস সবুর মণ্ডল বলেন, ‘আইনকানুন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করছি।’
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য সহকারী সচিব পদে এক-তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণের বিধান আছে। কিন্তু সেই বিধান মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের (পিও)। তাঁরা বলছেন, তাঁদের পদোন্নতির জন্য আছে ক্যাডারবহির্ভূত ২৬৭টি সহকারী সচিব, ৭২টি সিনিয়র সহকারী সচিব এবং ৯টি উপসচিব পদ। সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবের ১৮৪টি এবং উপসচিবের ৬২টিসহ আরও মোট ২৪৬টি পদ তাঁদের প্রাপ্য। ৩০ বছর ধরে এ নিয়ে টালবাহানা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ আছে সচিবালয়ের আড়াই হাজার নন-ক্যাডার কর্মকর্তার মধ্যে।
জানা গেছে, অতিরিক্ত ২৪৬টি পদ সংরক্ষণের দাবিতে সচিবালয়ের কমবেশি ১০টি সংগঠন কয়েক বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়ে আসছে।২০২০ সালের ডিসেম্বরে আবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মজীবী কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী লিয়াজোঁ কমিটি, বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সচিবালয় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সচিবালয় সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কম্পিউটার অপারেটর কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সচিবালয় অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ সচিবালয় ডেটা এন্ট্রি অপারেটর কল্যাণ সমিতি এবং বাংলাদেশ সচিবালয় অফিস সহায়ক (১৭-২০) কল্যাণ সমিতি। সবশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একই দাবি জানিয়েছে ‘সরাসরি নিযুক্ত এও-পিও সমিতি’। এসব সংগঠনের নেতাদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিধান বিশ্লেষণ করতে অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুস সবুর মণ্ডলের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর কমিটিপ্রধানের সঙ্গে সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা দেখা করে আবারও এ বিষয়ে দাবি জানান।
সরাসরি নিযুক্ত এও-পিও সমিতির সভাপতি শফিউদ্দিন শেখ বলেন, ‘সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। কিন্তু ৩০ বছর ধরে তা মানা হচ্ছে না। আমরা এর প্রতিকার চাই।’
১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সচিবালয়) ক্যাডার একীভূত হয়। এ-সংক্রান্ত আদেশে সচিবালয়ের ভিত্তিপদ সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের মোট পদের এক-তৃতীয়াংশ নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য রাখতে বলা হয়। প্রশাসন ও সচিবালয় ক্যাডার একীভূত করার সুপারিশ করে এস এম আকরাম কমিটি। ওই কমিটির সুপারিশে বলা হয়, ভবিষ্যতে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে নতুন পদ সৃষ্টি হলে নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য আনুপাতিক হারে পদ সংরক্ষণ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা এসব নন-ক্যাডার পদের ফিডার হিসেবে পদোন্নতিযোগ্য হবেন।
সেই হিসাবে নন-ক্যাডার সহকারী সচিবের জন্য ২০০৬ সালের পর বিভিন্ন সময়ে সৃষ্ট পদের আনুপাতিক ২৬৭টি এবং সিনিয়র সহকারী সচিবের ৭২টি পদ সংরক্ষিত আছে। ২০১৮ সালে ইকোনমিক ও প্রশাসন ক্যাডার একীভূত হওয়ার সময় আকরাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী প্রধান ও সহকারী প্রধানের ৪০৪ পদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত হয়। এর এক-তৃতীয়াংশ হিসেবে ১৩৫টি পদ নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য রাখার কথা। অপর এক আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সহকারী সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবের ১১১টি পদ সংরক্ষণ করা হলেও আবার তা কমিয়ে ৭২টি সংরক্ষণ করা হয়। অর্থাৎ কেটে দেওয়া হয় ৩৯টি পদ। ২০১৮ সালের পর সহকারী সচিব/সিনিয়র সহকারী সচিবের ৩০টি নতুন পদ সৃজন করা হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি এর এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১০টি পদ। এ অনুযায়ী সহকারী সচিবের (নন-ক্যাডার) বিদ্যমান পদের বাইরে আরও ১৮৪টি পদ ক্যাডারবহির্ভূত কর্মকর্তাদের প্রাপ্য।
একইভাবে উপসচিবের ক্ষেত্রে ২৬টি পদ সংরক্ষণের কথা থাকলেও করা হয় মাত্র ৯টি। বাকি ১৭টিসহ পরবর্তীকালে পদ বৃদ্ধির কারণে আনুপাতিক হারে পদ সংরক্ষণের কোটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২টিতে।
দ্রুত নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামাল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রেষণ) মো. আবদুস সবুর মণ্ডল বলেন, ‘আইনকানুন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করছি।’
আরও খবর পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে