সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে তিন দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনে শরীরে র্যাশ (লালচে দাগ) নিয়ে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ১০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ৮ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৪২ জন।
ভর্তি হওয়া এসব রোগীর অধিকাংশ ডেঙ্গুর হট স্পটখ্যাত কুমিরার বাসিন্দা। তবে কিছু রোগী এসেছে নগরীর হালিশহর ও কাট্টলী এলাকা থেকে। হাসপাতালের চিকিৎসা শয্যার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি করতে অনেকটাই হিমশিম অবস্থায় পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে যেসব ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে, আগের আক্রান্ত রোগীর তুলনায় তাদের শারীরিক অবস্থা কিছুটা জটিল। আক্রান্তদের শরীরে র্যাশ দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ রোগীর রক্তে প্লাটিলেট স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাচ্ছে। হঠাৎ এ ধরনের উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি হওয়ায় কিছুটা বিচলিত তাঁরা। তবে সঠিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে আক্রান্তদের সারিয়ে তুলতে কাজ করছেন চিকিৎসকেরা।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের তথ্যানুসারে, হাসপাতালটিতে চলতি বছরে গত সোমবার সর্বোচ্চ ২১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগে রোববার ভর্তি হয়েছে ১৯ জন। ফলে ২০ শয্যার ডেঙ্গু ইউনিটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪২ জন। চলতি অক্টোবর মাসের ২৪ দিনে ১৯৫ রোগী ভর্তি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে ১০৫ ও আগস্টে ২০ রোগী ভর্তি হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ১২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে করোনা ইউনিটে ৫০ শয্যা ও ডেঙ্গু ইউনিটে ২০ শয্যা। ডায়রিয়া ও প্রাণীর কামড়ের রোগীদের জন্য বাকি ৫০ শয্যা রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট শয্যার পাশাপাশি হাসপাতালের অন্য ইউনিটেও ডেঙ্গু রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভর্তি করা ৪২ রোগীর কারও শয্যায় মশারি টাঙানো নেই। চিকিৎসকেরা মশারি টানাতে বললেও অনীহা রোগীদের। ফলে হাসপাতালে যাওয়া রোগীদের থেকে ডেঙ্গু আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত কুমিরা ইউনিয়নের মাজার গেট এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম (৬০) বলেন, পাহাড়ে জুমচাষের কারণে তাঁকে প্রতিদিন পাহাড়ে যেতে হয়। সেখানে কাজ করার সময় প্রচুর মশার কামড় খেতে হয়। গত রোববার সকাল থেকে শরীরে প্রচণ্ড কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। দুপুরের পর তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে যায়। স্থানীয় চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্তের পর চিকিৎসকের পরামর্শে রোববার রাতেই তিনি বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হন।
চিকিৎসাধীন কুমিরা জেলেপাড়ার রিমা দাশ (২০) ও মৃদুল দাশ (৪০) বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে তাঁদের জ্বর, পেটব্যথা ও বমি হচ্ছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষার পর তাঁদের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁরা বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হন। এখানে চিকিৎসার পর বর্তমানে তাঁদের জ্বর থাকলেও বমি ও পেটব্যথা অনেকটাই কমেছে।
মশারি না টানানোর কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালে ভর্তি সুমন বলেন, মশারির ভেতরে থাকলে তাঁর দম বন্ধ হয়ে যায়। সে জন্য মশারি টানাচ্ছেন না।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জুবুরিয়া শারমিন চৌধুরী বলেন, নির্দিষ্ট শয্যার বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীদের শরীরে র্যাশের পাশাপাশি তীব্র ব্যথা ও জ্বর রয়েছে। আক্রান্তদের শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়, পাশাপাশি বমি ও তীব্র পেটব্যথা রয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দ্রুত সুস্থ করতে সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তাঁরা।
শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, গত ২৫ দিনে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত যত রোগী ভর্তি হয়েছে, তাদের ৮০ শতাংশ রোগী কুমিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত রোববার ও সোমবার ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ২০ জনের বেশি রোগীর বাড়ি কুমিরা ইউনিয়নের রহমতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা মশারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একেবারেই উদাসীন। ধমক দিলে মশারি টানায়, চিকিৎসক বা নার্সরা চলে গেলেই মশারি খুলে ফেলে।
হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ বলেন, চলতি বছরে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগ কুমিরা ইউনিয়নের বড় কুমিরা, ছোট কুমিরা, কুমিরা জেলেপাড়া, রহমতপুর এলাকা থেকে এসেছে। এলাকাটি বর্তমানে সীতাকুণ্ডের ডেঙ্গুর হট স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। চলতি মাসে কুমিরা ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। যাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিল, তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই এলাকায় মশার লার্ভা নিধনে জনপ্রতিনিধিরা শিগগির নজর না দিলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তবে সীতাকুণ্ড ছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর, উত্তর কাট্টলী থেকেও হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি হচ্ছে।
মামুনুর রশিদ আরও বলেন, সাধারণত অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু রোগী কমে আসতে থাকে। কিন্তু এ বছর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ের বিষয়; দুই সপ্তাহ ধরে আসা রোগীদের ২০ শতাংশ রোগীর গায়ে র্যাশ রয়েছে। মোট রোগীর বেশির ভাগের রক্তে প্লাটিলেট কম (৫০ হাজার থেকে ১ লাখ) নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। যেখানে স্বাভাবিক মানুষের রক্তে প্লাটিলেট থাকার কথা ১ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট। কোনো কোনো রোগীর রক্তের প্লাটিলেট ৫০ হাজারের কম দেখা গেছে। কোনো রোগীর প্লাটিলেট ১০ হাজার ইউনিটের নিচে নেমে গেলে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে রোগীকে রক্ত দিতে হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো রোগীকে নতুন করে প্লাটিলেট দিতে হয়নি।
চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁরা দু-এক দিনের মধ্যেই পুনরায় প্লাটিলেট বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও এখন পর্যন্ত কোনো রোগী মারা যায়নি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে তিন দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনে শরীরে র্যাশ (লালচে দাগ) নিয়ে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ১০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ৮ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৪২ জন।
ভর্তি হওয়া এসব রোগীর অধিকাংশ ডেঙ্গুর হট স্পটখ্যাত কুমিরার বাসিন্দা। তবে কিছু রোগী এসেছে নগরীর হালিশহর ও কাট্টলী এলাকা থেকে। হাসপাতালের চিকিৎসা শয্যার চেয়ে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি করতে অনেকটাই হিমশিম অবস্থায় পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে যেসব ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে, আগের আক্রান্ত রোগীর তুলনায় তাদের শারীরিক অবস্থা কিছুটা জটিল। আক্রান্তদের শরীরে র্যাশ দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ রোগীর রক্তে প্লাটিলেট স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যাচ্ছে। হঠাৎ এ ধরনের উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি হওয়ায় কিছুটা বিচলিত তাঁরা। তবে সঠিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে আক্রান্তদের সারিয়ে তুলতে কাজ করছেন চিকিৎসকেরা।
বিআইটিআইডি হাসপাতালের তথ্যানুসারে, হাসপাতালটিতে চলতি বছরে গত সোমবার সর্বোচ্চ ২১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগে রোববার ভর্তি হয়েছে ১৯ জন। ফলে ২০ শয্যার ডেঙ্গু ইউনিটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪২ জন। চলতি অক্টোবর মাসের ২৪ দিনে ১৯৫ রোগী ভর্তি হয়েছে। সেপ্টেম্বরে ১০৫ ও আগস্টে ২০ রোগী ভর্তি হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ১২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে করোনা ইউনিটে ৫০ শয্যা ও ডেঙ্গু ইউনিটে ২০ শয্যা। ডায়রিয়া ও প্রাণীর কামড়ের রোগীদের জন্য বাকি ৫০ শয্যা রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট শয্যার পাশাপাশি হাসপাতালের অন্য ইউনিটেও ডেঙ্গু রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ভর্তি করা ৪২ রোগীর কারও শয্যায় মশারি টাঙানো নেই। চিকিৎসকেরা মশারি টানাতে বললেও অনীহা রোগীদের। ফলে হাসপাতালে যাওয়া রোগীদের থেকে ডেঙ্গু আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত কুমিরা ইউনিয়নের মাজার গেট এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম (৬০) বলেন, পাহাড়ে জুমচাষের কারণে তাঁকে প্রতিদিন পাহাড়ে যেতে হয়। সেখানে কাজ করার সময় প্রচুর মশার কামড় খেতে হয়। গত রোববার সকাল থেকে শরীরে প্রচণ্ড কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। দুপুরের পর তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে যায়। স্থানীয় চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্তের পর চিকিৎসকের পরামর্শে রোববার রাতেই তিনি বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হন।
চিকিৎসাধীন কুমিরা জেলেপাড়ার রিমা দাশ (২০) ও মৃদুল দাশ (৪০) বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে তাঁদের জ্বর, পেটব্যথা ও বমি হচ্ছিল। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষার পর তাঁদের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁরা বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি হন। এখানে চিকিৎসার পর বর্তমানে তাঁদের জ্বর থাকলেও বমি ও পেটব্যথা অনেকটাই কমেছে।
মশারি না টানানোর কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালে ভর্তি সুমন বলেন, মশারির ভেতরে থাকলে তাঁর দম বন্ধ হয়ে যায়। সে জন্য মশারি টানাচ্ছেন না।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জুবুরিয়া শারমিন চৌধুরী বলেন, নির্দিষ্ট শয্যার বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীদের শরীরে র্যাশের পাশাপাশি তীব্র ব্যথা ও জ্বর রয়েছে। আক্রান্তদের শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়, পাশাপাশি বমি ও তীব্র পেটব্যথা রয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দ্রুত সুস্থ করতে সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তাঁরা।
শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, গত ২৫ দিনে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত যত রোগী ভর্তি হয়েছে, তাদের ৮০ শতাংশ রোগী কুমিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। গত রোববার ও সোমবার ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ২০ জনের বেশি রোগীর বাড়ি কুমিরা ইউনিয়নের রহমতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা মশারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একেবারেই উদাসীন। ধমক দিলে মশারি টানায়, চিকিৎসক বা নার্সরা চলে গেলেই মশারি খুলে ফেলে।
হাসপাতালটির সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ বলেন, চলতি বছরে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগ কুমিরা ইউনিয়নের বড় কুমিরা, ছোট কুমিরা, কুমিরা জেলেপাড়া, রহমতপুর এলাকা থেকে এসেছে। এলাকাটি বর্তমানে সীতাকুণ্ডের ডেঙ্গুর হট স্পট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। চলতি মাসে কুমিরা ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। যাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিল, তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই এলাকায় মশার লার্ভা নিধনে জনপ্রতিনিধিরা শিগগির নজর না দিলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তবে সীতাকুণ্ড ছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর, উত্তর কাট্টলী থেকেও হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি হচ্ছে।
মামুনুর রশিদ আরও বলেন, সাধারণত অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু রোগী কমে আসতে থাকে। কিন্তু এ বছর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ের বিষয়; দুই সপ্তাহ ধরে আসা রোগীদের ২০ শতাংশ রোগীর গায়ে র্যাশ রয়েছে। মোট রোগীর বেশির ভাগের রক্তে প্লাটিলেট কম (৫০ হাজার থেকে ১ লাখ) নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। যেখানে স্বাভাবিক মানুষের রক্তে প্লাটিলেট থাকার কথা ১ লাখ ৫০ হাজার ইউনিট। কোনো কোনো রোগীর রক্তের প্লাটিলেট ৫০ হাজারের কম দেখা গেছে। কোনো রোগীর প্লাটিলেট ১০ হাজার ইউনিটের নিচে নেমে গেলে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে রোগীকে রক্ত দিতে হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো রোগীকে নতুন করে প্লাটিলেট দিতে হয়নি।
চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁরা দু-এক দিনের মধ্যেই পুনরায় প্লাটিলেট বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়লেও এখন পর্যন্ত কোনো রোগী মারা যায়নি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে