ছনি আহমেদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদ দখল-দূষণে অস্তিত্বসংকটে ভুগছে। নদের বুকে প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে শহরের ময়লা-আবর্জনা। এতে নদটি ভাগাড়ে রূপ নিচ্ছে। জেলা প্রশাসন নদ বাঁচাতে ১০১টি স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেও ২০২০ সালে করোনার কারণে তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ মার্চ জেলা প্রশাসন সংবাদ সম্মেলন করে নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদ সচল ও প্রবহমান রাখার ঘোষণা দেয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নির্দেশে ১০১টি অবৈধ স্থাপনার তালিকাও তৈরি করা হয়। ওই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, নবীগঞ্জ ভূমি কার্যালয় ও পৌরসভার সার্ভেয়ার সরেজমিনে দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন বাসা-মার্কেটে লাল রঙে চিহ্নিত করেন। পরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অভিযান শুরুর কিছুদিন পরই বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডাকবাংলোর সামনে, সবজি বাজারের পেছনে, নোয়াপাড়া পয়েন্টে, শিবপাশা ব্রিজের কাছে ও হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকার অংশ ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে দূষণ, ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। নদের পথ ফিরে পেতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেও উপজেলাবাসী কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কের ১ নম্বর সেতুর নিচ দিয়ে যে খালটি শিবপাশা ঠাকুরপাড়ার ভেতর প্রবাহিত হয়ে নোয়াপাড়া-শাখা বরাক নদে মিলিত হয়েছে, সেটির অনেকটাই দখলের কারণে বিলীন হয়ে গেছে। দখলদারদের কবলে পড়ে নদটি নালায় পরিণত হয়েছে।
রহিম উদ্দিন নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা বলেন, ১৫ থেকে ২০ বছর আগেও যে নদে বড় বড় নৌকা চলাচল করত; সেই নদ এখন আশপাশের রাস্তা ও বসতবাড়ির বৃষ্টির পানি পর্যন্ত ঠিকভাবে নিষ্কাশন হতে পারছে না।
পৌর এলাকার আনমনু গ্রামের এমরান মিয়া বলেন, ‘একসময় নবীগঞ্জ বাজারের সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্থানের পণ্য পরিবহনের একমাত্র পানিপথ ছিল শাখা বরাক। আমরা একসময় এই নদে সাঁতার কেটেছি, ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে পানিতে পড়েছি। অনেক খেলাধুলা করছি। বড় বড় নৌকা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছি। এখন তা শুধুই স্মৃতি। এটি ময়লা-আবর্জনায় এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।’
পরিবেশবিষয়ক সংগঠন রিভার উইনসের অন্যতম সংগঠক কীর্তি নারায়ণ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফয়জুর রব পনি বলেন, ‘আমাদের নবীগঞ্জ শহরের প্রাণ, শহরের অস্তিত্ব শাখা বরাক নদ বছরের পর বছর ধরে চলা দূষণ আর দখলে আজ বিলীন প্রায়। কয়েক বছর ধরে ব্যাপক হারে দূষিত হচ্ছে, এই দূষিত হওয়ার পেছনে যে প্রতিষ্ঠানকে সবাই দায়ী করছেন, সেটা হচ্ছে আমাদের পৌর প্রশাসন। তারা পৌর শহরের ময়লা সংগ্রহ করে তা এই নদে ফেলে ভাগাড় বানিয়েছেন।’
নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরের ময়লা-আবর্জনা পৌর কর্তৃপক্ষ শাখা বরাকে ফেলে দেয় এমন অভিযোগ শতভাগ সত্য নয়। তবে আমি প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর শাখা বরাককে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। সেটা আমাদের ডাকবাংলোর সামনে থেকে কিছুটা অগ্রসর হওয়ার পরই করোনা মহামারি শুরু হলে এ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। তবে আশা করছি, পৌরসভার উদ্যোগে আবারও এই অভিযান শুরু হবে। তবে শুধু ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারই নয়, যাঁরা সরকারি জায়গা দখল করে নদকে বাধাগ্রস্ত করছেন, তাঁদের কাছ থেকে আমরা নদী উদ্ধার করবই।’
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদ দখল-দূষণে অস্তিত্বসংকটে ভুগছে। নদের বুকে প্রতিদিন ফেলা হচ্ছে শহরের ময়লা-আবর্জনা। এতে নদটি ভাগাড়ে রূপ নিচ্ছে। জেলা প্রশাসন নদ বাঁচাতে ১০১টি স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেও ২০২০ সালে করোনার কারণে তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২ মার্চ জেলা প্রশাসন সংবাদ সম্মেলন করে নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদ সচল ও প্রবহমান রাখার ঘোষণা দেয়। তৎকালীন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নির্দেশে ১০১টি অবৈধ স্থাপনার তালিকাও তৈরি করা হয়। ওই সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, নবীগঞ্জ ভূমি কার্যালয় ও পৌরসভার সার্ভেয়ার সরেজমিনে দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন বাসা-মার্কেটে লাল রঙে চিহ্নিত করেন। পরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অভিযান শুরুর কিছুদিন পরই বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডাকবাংলোর সামনে, সবজি বাজারের পেছনে, নোয়াপাড়া পয়েন্টে, শিবপাশা ব্রিজের কাছে ও হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকার অংশ ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে দূষণ, ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। নদের পথ ফিরে পেতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেও উপজেলাবাসী কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কের ১ নম্বর সেতুর নিচ দিয়ে যে খালটি শিবপাশা ঠাকুরপাড়ার ভেতর প্রবাহিত হয়ে নোয়াপাড়া-শাখা বরাক নদে মিলিত হয়েছে, সেটির অনেকটাই দখলের কারণে বিলীন হয়ে গেছে। দখলদারদের কবলে পড়ে নদটি নালায় পরিণত হয়েছে।
রহিম উদ্দিন নামের এক বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা বলেন, ১৫ থেকে ২০ বছর আগেও যে নদে বড় বড় নৌকা চলাচল করত; সেই নদ এখন আশপাশের রাস্তা ও বসতবাড়ির বৃষ্টির পানি পর্যন্ত ঠিকভাবে নিষ্কাশন হতে পারছে না।
পৌর এলাকার আনমনু গ্রামের এমরান মিয়া বলেন, ‘একসময় নবীগঞ্জ বাজারের সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্থানের পণ্য পরিবহনের একমাত্র পানিপথ ছিল শাখা বরাক। আমরা একসময় এই নদে সাঁতার কেটেছি, ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে পানিতে পড়েছি। অনেক খেলাধুলা করছি। বড় বড় নৌকা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছি। এখন তা শুধুই স্মৃতি। এটি ময়লা-আবর্জনায় এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।’
পরিবেশবিষয়ক সংগঠন রিভার উইনসের অন্যতম সংগঠক কীর্তি নারায়ণ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফয়জুর রব পনি বলেন, ‘আমাদের নবীগঞ্জ শহরের প্রাণ, শহরের অস্তিত্ব শাখা বরাক নদ বছরের পর বছর ধরে চলা দূষণ আর দখলে আজ বিলীন প্রায়। কয়েক বছর ধরে ব্যাপক হারে দূষিত হচ্ছে, এই দূষিত হওয়ার পেছনে যে প্রতিষ্ঠানকে সবাই দায়ী করছেন, সেটা হচ্ছে আমাদের পৌর প্রশাসন। তারা পৌর শহরের ময়লা সংগ্রহ করে তা এই নদে ফেলে ভাগাড় বানিয়েছেন।’
নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহরের ময়লা-আবর্জনা পৌর কর্তৃপক্ষ শাখা বরাকে ফেলে দেয় এমন অভিযোগ শতভাগ সত্য নয়। তবে আমি প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর শাখা বরাককে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। সেটা আমাদের ডাকবাংলোর সামনে থেকে কিছুটা অগ্রসর হওয়ার পরই করোনা মহামারি শুরু হলে এ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। তবে আশা করছি, পৌরসভার উদ্যোগে আবারও এই অভিযান শুরু হবে। তবে শুধু ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারই নয়, যাঁরা সরকারি জায়গা দখল করে নদকে বাধাগ্রস্ত করছেন, তাঁদের কাছ থেকে আমরা নদী উদ্ধার করবই।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে