সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
জলমগ্ন জমিতে ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন সাতক্ষীরার আউশচাষিরা। খাদ্য সংকট কাটাতে কৃষকের ঘামঝরা পরিশ্রম আর সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনায় আউশ চাষে নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন হয়েছে।
বর্তমানে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। বেড়িবাঁধ ভাঙন, জলাবদ্ধতা, কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত কৃষকেরা আউশের সাফল্যে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে ৮ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর, কলারোয়ায় ২ হাজার ৩১৫ হেক্টর, তালায় ১ হাজার ২৭০ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৩৮০ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪০ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলাতে ২৫০ হেক্টর জমিতে আউশের চাষ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলাতে ২২ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে সদরে ৯৭৮১ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ৬৩৭৮ মেট্রিক টন, তালায় ৩৪৪২ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ১০০৬ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ১০০০ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ৩৭৪ মেট্রিক টন ও শ্যামনগরে ৬৬১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়।
সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া গ্রামের ভ্যানচালক মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, তিনি চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা পেয়ে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে আউশ চাষ করেছেন। ফলন ও দাম দুটোই ভালো পেয়েছেন। আউশে খরচ কম বলে লাভ হয় ভালো।
বুধহাটা গ্রামের আরিফুল হক জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে চৌদ্দ মণ ধান পেয়েছেন। বিক্রি হবে প্রায় চৌদ্দ হাজার টাকা। খরচ হয়েছে হাজার পাঁচেক টাকার মত। সুতরাং অন্যান্য ফসলের তুলনায় আউশ ধানে লাভ বেশি।
বুধহাটা অঞ্চলের কৃষি উপসহকারী কৃষিকর্মকতা জাহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছরে আশাশুনিতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আউশের আবাদ। এ বছর বোরো মৌসুমে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় আউশের বাড়তি আবাদ করেছেন কৃষকেরা। আউশের বাম্পার ফলন ও পেয়েছে চাষিরা। তিনি আরও জানান সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনার কারণে চাষিরা আউশ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, আউশ চাষে মাটির নিচের পানি তোলা লাগছেনা। সুতরাং বোরোর তুলনায় আউশের উৎপাদন খরচ অনেক কম। এ বছরে আউশ চাষে সাফল্য আসায় আগামী বছরগুলোতে জেলায় আউশের আবাদ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, আউশের সংযুক্তিতে ধানের দুই ফসলি জমিগুলো তিন ফসলিতে উন্নীত হওয়ায় বদলে যাচ্ছে এ অঞ্চলের ফসল বিন্যাস।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বীজ, সার, সেচসহ কৃষি উপকরণে বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ায় জেলায় আউশের আবাদ বেড়েছে। সেই সঙ্গে কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে, যেগুলো চাষের ফলে গড় ফলনও (ধান কাটার পর) বেড়েছে। তিনি বলেন ‘ক্রপ কাটিংয়ে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বিঘা জমিতে এখন ১৮-১৯ মণ ধান হচ্ছে। অথচ এক সময় আউশ উৎপাদন বিঘা প্রতি ছিল মাত্র ২-৩ মণের মতো।’
তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে দুই হাজার আউশ চাষিকে জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএমপি ও এমওপি ১০ সার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫৫০ জন, কলারোয়ায় ৪৮০ জন, তালায় ৪৫০ জন, দেবহাটায় ১৩৯ জন, কালিগঞ্জে ১৫০ জন, আশাশুনিতে ১১০ জন ও শ্যামনগর উপজেলাতে ১৩০ জন চাষিকে প্রণোদনা দেওয়া হয়। এসবের ফলে সাতক্ষীরা জেলায় ক্রমাগত আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১০ বছরে আউশ আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০১০-১১ সালে জেলায় আউশ আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার হেক্টর জমিতে, চলতি বছর ২০২০-২১ সালে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে।
জলমগ্ন জমিতে ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন সাতক্ষীরার আউশচাষিরা। খাদ্য সংকট কাটাতে কৃষকের ঘামঝরা পরিশ্রম আর সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনায় আউশ চাষে নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন হয়েছে।
বর্তমানে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। বেড়িবাঁধ ভাঙন, জলাবদ্ধতা, কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত কৃষকেরা আউশের সাফল্যে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে ৮ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর, কলারোয়ায় ২ হাজার ৩১৫ হেক্টর, তালায় ১ হাজার ২৭০ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৫০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৩৮০ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪০ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলাতে ২৫০ হেক্টর জমিতে আউশের চাষ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলাতে ২২ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে সদরে ৯৭৮১ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ৬৩৭৮ মেট্রিক টন, তালায় ৩৪৪২ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ১০০৬ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ১০০০ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ৩৭৪ মেট্রিক টন ও শ্যামনগরে ৬৬১ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়।
সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া গ্রামের ভ্যানচালক মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, তিনি চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা পেয়ে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে আউশ চাষ করেছেন। ফলন ও দাম দুটোই ভালো পেয়েছেন। আউশে খরচ কম বলে লাভ হয় ভালো।
বুধহাটা গ্রামের আরিফুল হক জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে চৌদ্দ মণ ধান পেয়েছেন। বিক্রি হবে প্রায় চৌদ্দ হাজার টাকা। খরচ হয়েছে হাজার পাঁচেক টাকার মত। সুতরাং অন্যান্য ফসলের তুলনায় আউশ ধানে লাভ বেশি।
বুধহাটা অঞ্চলের কৃষি উপসহকারী কৃষিকর্মকতা জাহিদুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছরে আশাশুনিতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আউশের আবাদ। এ বছর বোরো মৌসুমে ধানের ভালো দাম পাওয়ায় আউশের বাড়তি আবাদ করেছেন কৃষকেরা। আউশের বাম্পার ফলন ও পেয়েছে চাষিরা। তিনি আরও জানান সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনার কারণে চাষিরা আউশ চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, আউশ চাষে মাটির নিচের পানি তোলা লাগছেনা। সুতরাং বোরোর তুলনায় আউশের উৎপাদন খরচ অনেক কম। এ বছরে আউশ চাষে সাফল্য আসায় আগামী বছরগুলোতে জেলায় আউশের আবাদ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, আউশের সংযুক্তিতে ধানের দুই ফসলি জমিগুলো তিন ফসলিতে উন্নীত হওয়ায় বদলে যাচ্ছে এ অঞ্চলের ফসল বিন্যাস।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বীজ, সার, সেচসহ কৃষি উপকরণে বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ায় জেলায় আউশের আবাদ বেড়েছে। সেই সঙ্গে কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে, যেগুলো চাষের ফলে গড় ফলনও (ধান কাটার পর) বেড়েছে। তিনি বলেন ‘ক্রপ কাটিংয়ে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বিঘা জমিতে এখন ১৮-১৯ মণ ধান হচ্ছে। অথচ এক সময় আউশ উৎপাদন বিঘা প্রতি ছিল মাত্র ২-৩ মণের মতো।’
তিনি আরও জানান, সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে দুই হাজার আউশ চাষিকে জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএমপি ও এমওপি ১০ সার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫৫০ জন, কলারোয়ায় ৪৮০ জন, তালায় ৪৫০ জন, দেবহাটায় ১৩৯ জন, কালিগঞ্জে ১৫০ জন, আশাশুনিতে ১১০ জন ও শ্যামনগর উপজেলাতে ১৩০ জন চাষিকে প্রণোদনা দেওয়া হয়। এসবের ফলে সাতক্ষীরা জেলায় ক্রমাগত আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১০ বছরে আউশ আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০১০-১১ সালে জেলায় আউশ আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার হেক্টর জমিতে, চলতি বছর ২০২০-২১ সালে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে