শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার বিভিন্ন মেশিন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। তারা বলছেন, হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার অনেক মেশিন থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই সুযোগে আশপাশে থাকা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বলা হচ্ছে, হাসপাতালটিতে লোকবলের সংকট রয়েছে।
প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি মেশিন জনবল না থাকায় বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় তিন লাখ মানুষ বসবাস করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার ভবন উদ্বোধন করা হলেও জনবলের অভাবসহ নানা সমস্যায় হাসপাতালটি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাচ্ছেন না রোগীরা। উল্টো টিকিটের নামে গুনতে হচ্ছে অর্থ।
এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১টি মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ১৪ জন। কর্মরত নেই কোনো গাইনী কনসালট্যান্ট। ফলে মহিলা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ১৪ জন ডাক্তার কর্মরত থাকলেও ডা. আশিকা পারভীন সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ডা. ওবায়দুল হক কিশোরগঞ্জ ইউএইচসি হাসপাতালে, ডা. আকরাম হোসেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে, ডা. সৈয়দ আলী আহাদ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রেষণে আছেন।
ডা. ইফতেখার রেজা বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়াও বর্তমানে যারা কর্মস্থলে রয়েছেন মাঝে মধ্যেই তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ থাকায় বাইরে যেতে হয়। ডাক্তারের সঙ্গে সঙ্গে নার্স সংকটও রয়েছে।
যে কারণে ভর্তিকৃত রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ডাক্তার সংকট থাকায় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররাই শেষ ভরসা। তারা প্রতিদিন বর্হিবিভাগে শত শত রোগী দেখে হাঁপিয়ে উঠছেন।
আরও জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ বন্ধ রাখা হয়েছে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন না থাকায় পুরোনো মেশিনে কোনো রকমে চলছে এক্স-রে সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ডাক্তাররা ডিজিটাল এক্স-রে করতে বললে রোগীরা বাইরে থেকে এক্স-রে করতে বাধ্য হন। এতে তাদের বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়। লাভবান হন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা। বেসরকারি ক্লিনিকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সাতানী শ্রীবরদী মহল্লার বিউটি বেগম বলেন, আমার হাত ভেঙে গেছে। হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে না থাকায় আমি পরীক্ষা করতে পারছি না। বাধ্য হয়ে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করে নিলাম। জালকাটা গ্রামের রমেছা বেগম বলেন, তলপেটের ব্যথা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু গাইনী ডাক্তার না থাকায় চলে যাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্হিবিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী আসেন। ডাক্তার ও জনবল সংকটে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কার্ডিওগ্রাফীসহ জনবল না থাকায় মেশিন দুটো বন্ধ রয়েছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার বিভিন্ন মেশিন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীরা। তারা বলছেন, হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষার অনেক মেশিন থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই সুযোগে আশপাশে থাকা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বলা হচ্ছে, হাসপাতালটিতে লোকবলের সংকট রয়েছে।
প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি মেশিন জনবল না থাকায় বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় প্রায় তিন লাখ মানুষ বসবাস করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যার ভবন উদ্বোধন করা হলেও জনবলের অভাবসহ নানা সমস্যায় হাসপাতালটি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাচ্ছেন না রোগীরা। উল্টো টিকিটের নামে গুনতে হচ্ছে অর্থ।
এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১টি মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ১৪ জন। কর্মরত নেই কোনো গাইনী কনসালট্যান্ট। ফলে মহিলা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ১৪ জন ডাক্তার কর্মরত থাকলেও ডা. আশিকা পারভীন সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ডা. ওবায়দুল হক কিশোরগঞ্জ ইউএইচসি হাসপাতালে, ডা. আকরাম হোসেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে, ডা. সৈয়দ আলী আহাদ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে প্রেষণে আছেন।
ডা. ইফতেখার রেজা বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়াও বর্তমানে যারা কর্মস্থলে রয়েছেন মাঝে মধ্যেই তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ থাকায় বাইরে যেতে হয়। ডাক্তারের সঙ্গে সঙ্গে নার্স সংকটও রয়েছে।
যে কারণে ভর্তিকৃত রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ডাক্তার সংকট থাকায় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররাই শেষ ভরসা। তারা প্রতিদিন বর্হিবিভাগে শত শত রোগী দেখে হাঁপিয়ে উঠছেন।
আরও জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ বন্ধ রাখা হয়েছে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন না থাকায় পুরোনো মেশিনে কোনো রকমে চলছে এক্স-রে সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ডাক্তাররা ডিজিটাল এক্স-রে করতে বললে রোগীরা বাইরে থেকে এক্স-রে করতে বাধ্য হন। এতে তাদের বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়। লাভবান হন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেরা। বেসরকারি ক্লিনিকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সাতানী শ্রীবরদী মহল্লার বিউটি বেগম বলেন, আমার হাত ভেঙে গেছে। হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে না থাকায় আমি পরীক্ষা করতে পারছি না। বাধ্য হয়ে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করে নিলাম। জালকাটা গ্রামের রমেছা বেগম বলেন, তলপেটের ব্যথা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু গাইনী ডাক্তার না থাকায় চলে যাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্হিবিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী আসেন। ডাক্তার ও জনবল সংকটে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কার্ডিওগ্রাফীসহ জনবল না থাকায় মেশিন দুটো বন্ধ রয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে