Ajker Patrika

ফুলবাড়ীতে জমজমাট মিষ্টি লিচুর বাজার

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুন ২০২২, ১৫: ১০
ফুলবাড়ীতে জমজমাট মিষ্টি লিচুর বাজার

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় বাজারে উঠেছে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি লিচু। জমে উঠেছে বেচাকেনা। এখানকার লিচু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর দাম কম থাকলেও এ বছর চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লিচু। ব্যবসায়ীরা জানান, অতিরিক্ত খরা ও বৃষ্টিপাতের কারণে ফলন কম হওয়ায় এবার দাম একটু বেশি।

পৌর শহরের নিমতলা, রেলঘুমটি, টিটির মোড়, কালীবাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি লিচুর পসরা সাজিয়ে বসে আছেন খুচরা বিক্রেতারা। ক্রেতারাও পছন্দের লিচু কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। এ ছাড়া পাইকার আর ব্যাপারীরা উপজেলার বিভিন্ন বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার প্রিয়জনের জন্য লিচু কিনে পাঠাচ্ছেন।

বাজারে বর্তমানে চায়না-৩, মাদ্রাজি, বেদানা ও বোম্বাই লিচু বেচাকেনা চলছে। পর্যায়ক্রমে কাঁঠালি জাতের লিচু আসবে। মাদ্রাজি ১০০টি লিচু বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা, বোম্বাই ২৪০ থেকে ২৮০, বেদানা ৫৫০ থেকে ৭০০ এবং চায়না-৩ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।

বাজারের লিচু ব্যবসায়ী সুজন, জাইদুল ও মেহেদুল জানান, করোনার কারণে গত বছর চাহিদা কম থাকায় লিচুর দামও কম ছিল। এবার চাহিদার কারণে দামও বেশি। অতিরিক্ত খরা ও বৃষ্টিপাতের কারণে ফলন কম হওয়ায় বাগান থেকে বেশি দামে লিচু কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।

বাজারে লিচু কিনতে আসা আসাদুজ্জামান নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এ বছর লিচুর দাম অত্যন্ত বেশি, বছরের মৌসুমি ফল খেতেই হবে, তাই বোম্বাই জাতের ১০০ লিচু ২৫০ টাকা দরে কিনলাম। কথায় আছে, আড়তে ঘি মঙ্গা। আমাদের এলাকা লিচুর রাজ্য হলেও আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।’

আরেক ক্রেতা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘চলতি বছর লিচুর দাম আগের চছরের চেয়ে বেশি। এতে কম আয়ের মানুষেরা বছরের মৌসুমি ফলটির স্বাদ নিতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে বোম্বাই জাতের ১০০ লিচু ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এ লিচুর দাম আরও কম ছিল। তবে আরও কিছু দিন গেলে দাম কিছুটা কমতে পারে’

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রুম্মান আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, উপজেলায় মোট ৬৮ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৭১ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলায় বিভিন্ন জাতের লিচু ব্যাপক হারে চাষাবাদ হয়েছে। এ ছাড়া বাগানমালিক ও চাষিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য বাজারজাতকরণের বিষয়েও সব রকম খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত