সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
২০১৮ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির গোপালঘাট্টা গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন ভালো উপার্জনের আশায় রংমিস্ত্রির কাজ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলেন। পরের বছর তিনি যখন দেশে ফেরেন, স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি এখনো কারাগারে। দেশে-বিদেশে বসে চোরাচালানিতে সক্রিয় একটি সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে ইচ্ছে বা অনিচ্ছায় তিনি এ কাজে জড়িয়ে পড়েছিলেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালে ১৮ অক্টোবর শারজাহ থেকে বিমানে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর জয়নালের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এ সময় চার্জার লাইটের ভেতর থেকে ১৩০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এগুলোর আনুমানিক মূল্য তখন ধরা হয় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। এ ঘটনায় পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা হয়।
মামলাটির তদন্ত শেষে সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ১৩০টি স্বর্ণের বারের সঙ্গে জয়নালসহ আরও ৬ জন জড়িত থাকার তথ্য পায়। যাদের চোরাচালানির হোতা বলছে সিআইডি। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ সজীব, সাইফুল ইসলাম ওরফে মনছুর, রাজিবুল ইসলাম রাজিব ওরফে রাজু, মোক্তার হোসেন ও মো. আলাউদ্দিন।
এর মধ্যে চারজনের বাড়ি রাউজানে। জয়নালসহ বাকি দুজনের বাড়ি পাশের উপজেলা ফটিকছড়িতে। সিআইডি এদের সবাইকে আসামি করে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রামের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ বলেন, দেশে আসার সময় কোনো কোনো প্রবাসী অসহায় হয়ে চোরাচালান সিন্ডিকেটের ফাঁদে পা দিচ্ছে। তিনি বলেন, রাজু ও মোক্তারের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের আরও একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলার তদন্তে আরও একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে।
সিআইডির অভিযোগপত্রে বলা হয়, চক্রটির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে দুবাই থেকে বিভিন্ন যাত্রীদের টার্গেট করে স্বর্ণ চোরাচালানের কাজ করে আসছিল। যাত্রীদের কখনো বিমানের টিকিটের ভাড়া দিয়ে আবার কখনো নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান করত। মনছুর দুবাই থেকে মোক্তার হোসেনের সহায়তায় স্বর্ণের বার সংগ্রহ করে দেশে থাকা রাজুর কাছে পাঠাত। আলাউদ্দিন দেশে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণের বারগুলো গ্রহণ করত। কোনো কোনো সময় মোক্তার দেশে এসে বিভিন্ন যাত্রীদের স্বর্ণের বার রিসিভ করতেন। চক্রটির বায়েজিদ থানাধীন হিলভিউ এলাকায় একটি অফিস করেছিল। সেখানে স্বর্ণের বারগুলো পৌঁছে দেওয়া হতো। সেখান থেকে পরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন।
অভিযোগপত্রে সিআইডি উল্লেখ করে, ২০১৮ সালের জয়নাল আবেদীন আরব আমিরাতে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ফটিকছড়ির বাসিন্দা সজীবের পরিচয় হয়। সজীব রাউজানের মনছুরের সঙ্গে জয়নালকে পরিচয় করিয়ে দেন। সজীব ও মনুছর মালামালগুলো জয়নালে হাতে তুলে দেয়। দেশে নামলে বিমানবন্দরে এক লোক ফোন দিলে তাঁকে দিয়ে দিতে বলা হয় জয়নালকে। এ জন্য জয়নালকে আসা-যাওয়ার বিমানের টিকিটসহ কিছু টাকা দেন তারা। পরে মনছুরের দেওয়া দুটি ছোট লাগেজ নিয়ে দুবাই থেকে ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামেন জয়নাল। সেখানে আলাউদ্দিন বিমানবন্দরের বাইরে স্বর্ণবারগুলো নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় জয়নাল ছাড়াও রাজিবুল ইসলাম রাজিব ওরফে রাজু ও মোক্তার হোসেন গ্রেপ্তার রয়েছে। গত বছর গ্রেপ্তারের পর রাজু ও মোক্তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে জয়নাল, রাজু ও মোক্তার কারাগারে রয়েছে। মামলায় পলাতক আছেন মনছুর, সজীব ও আলাউদ্দিন। এদের মধ্যে মনছুর ও সজীব দুবাইয়ে এবং আলাউদ্দিন দেশে আত্মগোপনে রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষদিকে ৭০টি স্বর্ণের বার নিয়ে বিমানবন্দরে ধরা পড়া আখতারুজ্জামান নামের এক প্রবাসী রাজু ও মোক্তারের সিন্ডিকেটের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। এই মামলাতেও রাজু ও মোক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তাঁরা স্বর্ণের বার চোরাচালানির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা জানান।
২০১৮ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির গোপালঘাট্টা গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন ভালো উপার্জনের আশায় রংমিস্ত্রির কাজ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলেন। পরের বছর তিনি যখন দেশে ফেরেন, স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি এখনো কারাগারে। দেশে-বিদেশে বসে চোরাচালানিতে সক্রিয় একটি সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে ইচ্ছে বা অনিচ্ছায় তিনি এ কাজে জড়িয়ে পড়েছিলেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালে ১৮ অক্টোবর শারজাহ থেকে বিমানে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর জয়নালের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এ সময় চার্জার লাইটের ভেতর থেকে ১৩০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এগুলোর আনুমানিক মূল্য তখন ধরা হয় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। এ ঘটনায় পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলা হয়।
মামলাটির তদন্ত শেষে সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ১৩০টি স্বর্ণের বারের সঙ্গে জয়নালসহ আরও ৬ জন জড়িত থাকার তথ্য পায়। যাদের চোরাচালানির হোতা বলছে সিআইডি। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ সজীব, সাইফুল ইসলাম ওরফে মনছুর, রাজিবুল ইসলাম রাজিব ওরফে রাজু, মোক্তার হোসেন ও মো. আলাউদ্দিন।
এর মধ্যে চারজনের বাড়ি রাউজানে। জয়নালসহ বাকি দুজনের বাড়ি পাশের উপজেলা ফটিকছড়িতে। সিআইডি এদের সবাইকে আসামি করে সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রামের পরিদর্শক মুহাম্মদ শরীফ বলেন, দেশে আসার সময় কোনো কোনো প্রবাসী অসহায় হয়ে চোরাচালান সিন্ডিকেটের ফাঁদে পা দিচ্ছে। তিনি বলেন, রাজু ও মোক্তারের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের আরও একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলার তদন্তে আরও একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে।
সিআইডির অভিযোগপত্রে বলা হয়, চক্রটির লোকজন দীর্ঘদিন ধরে দুবাই থেকে বিভিন্ন যাত্রীদের টার্গেট করে স্বর্ণ চোরাচালানের কাজ করে আসছিল। যাত্রীদের কখনো বিমানের টিকিটের ভাড়া দিয়ে আবার কখনো নগদ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান করত। মনছুর দুবাই থেকে মোক্তার হোসেনের সহায়তায় স্বর্ণের বার সংগ্রহ করে দেশে থাকা রাজুর কাছে পাঠাত। আলাউদ্দিন দেশে আসা যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দর থেকে স্বর্ণের বারগুলো গ্রহণ করত। কোনো কোনো সময় মোক্তার দেশে এসে বিভিন্ন যাত্রীদের স্বর্ণের বার রিসিভ করতেন। চক্রটির বায়েজিদ থানাধীন হিলভিউ এলাকায় একটি অফিস করেছিল। সেখানে স্বর্ণের বারগুলো পৌঁছে দেওয়া হতো। সেখান থেকে পরে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন।
অভিযোগপত্রে সিআইডি উল্লেখ করে, ২০১৮ সালের জয়নাল আবেদীন আরব আমিরাতে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ফটিকছড়ির বাসিন্দা সজীবের পরিচয় হয়। সজীব রাউজানের মনছুরের সঙ্গে জয়নালকে পরিচয় করিয়ে দেন। সজীব ও মনুছর মালামালগুলো জয়নালে হাতে তুলে দেয়। দেশে নামলে বিমানবন্দরে এক লোক ফোন দিলে তাঁকে দিয়ে দিতে বলা হয় জয়নালকে। এ জন্য জয়নালকে আসা-যাওয়ার বিমানের টিকিটসহ কিছু টাকা দেন তারা। পরে মনছুরের দেওয়া দুটি ছোট লাগেজ নিয়ে দুবাই থেকে ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর শাহ আমানত বিমানবন্দরে নামেন জয়নাল। সেখানে আলাউদ্দিন বিমানবন্দরের বাইরে স্বর্ণবারগুলো নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় জয়নাল ছাড়াও রাজিবুল ইসলাম রাজিব ওরফে রাজু ও মোক্তার হোসেন গ্রেপ্তার রয়েছে। গত বছর গ্রেপ্তারের পর রাজু ও মোক্তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে জয়নাল, রাজু ও মোক্তার কারাগারে রয়েছে। মামলায় পলাতক আছেন মনছুর, সজীব ও আলাউদ্দিন। এদের মধ্যে মনছুর ও সজীব দুবাইয়ে এবং আলাউদ্দিন দেশে আত্মগোপনে রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষদিকে ৭০টি স্বর্ণের বার নিয়ে বিমানবন্দরে ধরা পড়া আখতারুজ্জামান নামের এক প্রবাসী রাজু ও মোক্তারের সিন্ডিকেটের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। এই মামলাতেও রাজু ও মোক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তাঁরা স্বর্ণের বার চোরাচালানির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা জানান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে