সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২২, ০৮: ৩২
আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, ১২: ১৫

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে প্রবেশের তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালীরা। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট অফিসের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাংবাদিক কল্যাণ ব্যাণার্জি, জেলে পরিবারের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আজিজুর রহমান, জাগো যুব ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ ফারুক হোসেন, সাংবাদিক আক্তার হোসেন, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রবিউল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, ‘নদীকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা বলে এবং ইলিশ ও কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বেড়ে উঠার সুযোগ করে দিতে তিন মাস জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালীদের সুন্দরবনে প্রবেশের পাস বন্ধ রাখা হয়। অথচ সুন্দর সাতক্ষীরার রেঞ্জের নদীতে ইলিশ মাছ ধরা পড়ে না। এ ছাড়া নদীতে বিশ্রাম দেওয়া তো দুরের কথা নিয়মিত কার্গো চলছে নদীতে। মাছ বা কাকড়া ধরাও বন্ধ নেই।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘ফরেস্ট অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কিছু জেলেদের বনে প্রবেশের পাস দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে হাজারো জেলে বাওয়ালীরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ছাড়া যে সময় বাংলাদেশের জেলেদের পাশ বন্ধ রাখা হয়েছে সে সময়ে পাশের দেশ ভারতে পাশ দেওয়া হচ্ছে। ফলে সে দেশের জেলেরা আমাদের রেঞ্জের মাছ, মধু, কাকড়া ধরে নিয়ে যাচ্ছে।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘পাশ বন্ধ থাকলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালীকে ৮৬ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলেও সঠিকভাবে তা দেওয়া হয়নি। সাতক্ষীরায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৩১ হাজার। অথচ চাউল পেয়েছে মাত্র ১ হাজার ৯৭৯ জন। এ ছাড়া অনিবন্ধিত লক্ষাধিক জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালী রয়েছে। তাঁরা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে।’

এমতাবস্থায় বক্তারা অবিলম্বে পাস ছেড়ে দেওয়াসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে ফরেস্ট অফিসারের কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের একটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালীদের বাকি পাঁচটি দাবি হলো মাছ ধরার জন্য সুন্দরবনের সকল নদী উন্মুক্তকরণ, সুন্দরবন প্রবেশে সরকারি অনুমতি গ্রহণে টাকার হার কমানো, সাগরে মাছ ধরার জন্য ফিশিং বোটের লাইসেন্স প্রদান, ক্ষতিগ্রস্থ জেলেদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে জেলেদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত