ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানুষ বিভিন্ন কর্মস্থল থেকে ফিরছেন গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু বাড়িতে ফিরতে পথে পথে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এর অন্যতম কারণ সড়কে খানাখন্দ এবং যত্রতত্র থামিয়ে গাড়িতে লোক ওঠানো-নামানো। খানাখন্দ আর যত্রতত্র গাড়িতে মানুষ ওঠানো-নামানোয় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
ময়মনসিংহ যেতে মানুষকে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরীর পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড় ও দীঘারকান্দা বাইপাস সড়কে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিষয়টি তারা দেখছেন। যাঁরা নিয়ম মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, দীঘারকান্দা মোড় থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাইপাস রাস্তায় উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। কাজ চলমান থাকায় কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে চলাচলের মতো করে রাস্তায় ইট-সুরকি ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, দীঘারকান্দা মোড় থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাইপাস রাস্তায় খানাখন্দে ভরা। রাস্তার দুই পাশে বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোয় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
তা ছাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়কের সিডস্টোর, ভালুকা, ত্রিশাল, বৈলর ও চুরখাইসহ শম্ভুগঞ্জের চায়না মোড় ও রঘুরামপুর মোড়েও দূরপাল্লার যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নেত্রকোনা, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীরা।
ঢাকাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের চালক আসলাম উদ্দিন বলেন, দীঘারকান্দা বাইপাসসহ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে খানাখন্দ ছাড়াও চার লেন মহাসড়কের দুই পাশের দুই লেন দখল করে কাভার্ড ভ্যান, বালু ও পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিং এবং মহাসড়কের ওপর অনুমোদনহীন সিএনজি, মাহিন্দ্র ও অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
ইমাম পরিবহনের চালক হাসিন মিয়া বলেন, রাস্তা সবচেয়ে বেশি খারাপ পাটগুদাম ব্রিজ থেকে দীঘারকান্দা বাইপাস পর্যন্ত। খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। গত ঈদেও গাড়ি চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এবারও ভোগান্তি আরও তীব্র হবে।
বাসের যাত্রী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘পাটগুদাম ব্রিজের পর রাস্তার দুই পাশে যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে রোগী নিয়ে সময়মতো হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না। আমরা যাঁরা সাধারণ মানুষ রয়েছি, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনার সমস্যা সমাধানে ঈদ উপলক্ষে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসন পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কথা দিলেও গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। এটা দুঃখজনক।
সড়কের পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড়ে আসেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। সঙ্গে ছিলেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই সড়কের এক লেন দখল করে দূরপাল্লার যানবাহন যাত্রী উঠানামা করছিল। তবে এ সময় পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
সড়ক পরিদর্শন শেষে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা সভায় কথা দিয়ে আসার পর যানজটের এমন চিত্র দেখা দুঃখজনক।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষকে স্বস্তি দিতে প্রয়োজনে সড়কে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি জরিমানা আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, দীঘারকান্দা মোড় থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাইপাস রাস্তাটির উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। কাজ চলমান থাকায় কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে চলাচলের মতো করে রাস্তায় ইট-সুরকি ফেলা হয়েছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে মানুষ বিভিন্ন কর্মস্থল থেকে ফিরছেন গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু বাড়িতে ফিরতে পথে পথে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এর অন্যতম কারণ সড়কে খানাখন্দ এবং যত্রতত্র থামিয়ে গাড়িতে লোক ওঠানো-নামানো। খানাখন্দ আর যত্রতত্র গাড়িতে মানুষ ওঠানো-নামানোয় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
ময়মনসিংহ যেতে মানুষকে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরীর পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড় ও দীঘারকান্দা বাইপাস সড়কে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিষয়টি তারা দেখছেন। যাঁরা নিয়ম মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, দীঘারকান্দা মোড় থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাইপাস রাস্তায় উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। কাজ চলমান থাকায় কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে চলাচলের মতো করে রাস্তায় ইট-সুরকি ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, দীঘারকান্দা মোড় থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাইপাস রাস্তায় খানাখন্দে ভরা। রাস্তার দুই পাশে বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোয় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
তা ছাড়া, ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়কের সিডস্টোর, ভালুকা, ত্রিশাল, বৈলর ও চুরখাইসহ শম্ভুগঞ্জের চায়না মোড় ও রঘুরামপুর মোড়েও দূরপাল্লার যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নেত্রকোনা, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীরা।
ঢাকাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের চালক আসলাম উদ্দিন বলেন, দীঘারকান্দা বাইপাসসহ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে খানাখন্দ ছাড়াও চার লেন মহাসড়কের দুই পাশের দুই লেন দখল করে কাভার্ড ভ্যান, বালু ও পণ্যবাহী ট্রাক পার্কিং এবং মহাসড়কের ওপর অনুমোদনহীন সিএনজি, মাহিন্দ্র ও অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
ইমাম পরিবহনের চালক হাসিন মিয়া বলেন, রাস্তা সবচেয়ে বেশি খারাপ পাটগুদাম ব্রিজ থেকে দীঘারকান্দা বাইপাস পর্যন্ত। খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। গত ঈদেও গাড়ি চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এবারও ভোগান্তি আরও তীব্র হবে।
বাসের যাত্রী হারুন অর রশিদ বলেন, ‘পাটগুদাম ব্রিজের পর রাস্তার দুই পাশে যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে রোগী নিয়ে সময়মতো হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না। আমরা যাঁরা সাধারণ মানুষ রয়েছি, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, সড়ক ব্যবস্থাপনার সমস্যা সমাধানে ঈদ উপলক্ষে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসন পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কথা দিলেও গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। এটা দুঃখজনক।
সড়কের পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে নগরীর পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড়ে আসেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। সঙ্গে ছিলেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই সড়কের এক লেন দখল করে দূরপাল্লার যানবাহন যাত্রী উঠানামা করছিল। তবে এ সময় পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
সড়ক পরিদর্শন শেষে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বী বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা সভায় কথা দিয়ে আসার পর যানজটের এমন চিত্র দেখা দুঃখজনক।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষকে স্বস্তি দিতে প্রয়োজনে সড়কে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি জরিমানা আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, দীঘারকান্দা মোড় থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাইপাস রাস্তাটির উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। কাজ চলমান থাকায় কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে চলাচলের মতো করে রাস্তায় ইট-সুরকি ফেলা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে